ম ঞ্জী র বা গ
অহো মন্দার
সমুদ্রগান ছোঁওয়ার জন্য তীব্র অবগাহন, রাধা নামের বৃষ্টি ফোঁটা
ধুয়ে যাক বুক
কোন চন্দ্ররাতে তিন যুগের মায়াস্নান সেরে
নীল শাড়িটি জমা রাখি
এখন আমি মাছ অথবা নারী
জলের তলায় ভেসে মৎস্যকন্যার পোষাক।
আনন্দম, পরমানন্দম
বহু ক্ষতক্ষেত লুকিয়ে রাখি জল, তোমায় প্রেম বলে ডাকি
মন্দারমণির সমুদ্রে রাত ভরা মায়া
জল ভরে ওঠে নীলাভ স্বপ্নের মতো
পূর্ণিমায় মায়া ডেকে যায়, রামধনু নেমে আসে জলে, সম্পানে ভাসি
সৃষ্টির অন্বয় কালে হেঁটে যাই, এখনই বর্তমান
আমারা ভাসতে ভাসতে নোঙর করেছি
চাষাবাদ,পশ্চিমের সূর্যের সাথে আমাদের আনাগোনা
মন্দারবন, মান্দারমণি এখনও তোমাকে ছুঁলে
তৃষ্ণাগান জেগে ওঠে, রাধা নামের বৃষ্টি নামে
সাদার রঙের আড়ালে জাগে হরিৎ শ্বাসের ঘ্রাণ
হাসিনা,কবি ও একটি অনিবার্য বিকেল
বিকেলের পাখির ডানা রোদ যখন মুছে যাচ্ছে,স্বপ্ন স্বপ্নমাখা রাত নেমে আসছে মোমোগন্ধ স্টলের পাশাপাশি। তখন ফোনটা বেজে উঠল
মায়াবী গন্ধ বের হয় বিশেষ ওই নম্বর থেকে
একটি ত্রিভুজ। কবি,হাসিনা ও স্নেহমাখা যৌনতা।
হাসিনা কবির মেয়ের বান্ধবী। স্নেহ চোখে তাকাতে তাকাতে
যৌনগন্ধে জুঁইফুল ঘ্রাণ।অনুপমার চুলের গন্ধে কাল সারারাত কাটিয়েছেন কবি
তবু হাসিনা এতো এতো সৌরভ, টুপটুপ করে ঝরে পড়ে,অহো আনন্দ
হাসিনা তোমার বদ্বীপ অঞ্চলে সামান্য গুল্ম লতা
নিভৃত গমনের নদী ক্ষেত।ঢেকে রাখো
হাসিনা হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের আঙুর ক্ষেতে বাতাস
তোমার রক্তে মিশে থাকে। তোমাকে স্নেহ চুমু দিতে গিয়ে কবি উত্তপ্ত হন, পুরুষ হন
এমনতো হতে পারে তুমি হরিদাসী ছিলে কোনো কালে
আসলে, হাসিনা তুমি বোধ হয় ভারত কিংবা বিশ্ব
বহুদিক দিয়ে তোমার দিকে যাওয়া যায়
খুঁজে পাওয়া যায় না
বসন্ত কুমারী ও কথামালা
কথার ওপর বড় টান,
ফেবেলস নামক কথামালায়
ঈশপ নামক ভদ্রলোক গল্প শোনায়
বসন্ত রাতে
পূর্ণচাঁদে...
কুমীর গল্প কথা,অক্লান্ত বংশীবাদক
তার দাঁত লুকিয়ে রাখে
খাওয়া দাওয়ার পর পড়ে থাকে
মৎস্যকন্যার হাড় মাংস,
গল্পের শেষে, কুমীর মুখ শুদ্ধি চেবায়
তবুও
হাড়ের মাঝে জেগে থাকে প্রেম বাস
একটা আধ ফোটা স্বর্গপারিজাত । প্রেমের মতন....
কাঁটা
বিষণ্ণতা কোনো গাছ নয়
কেননা তার ছায়া নেই
অন্ধকার আছে, কাঁটাও
একদিন এক খণ্ডহরে দাঁড়িয়ে,এক বাঁশির সুর শুনেছিলাম।
এক মরীচিকার সুরে আমার সর্বাঙ্গ পাথর
কেবল হৃদপিণ্ডে দুপদুপ, আমি এই শব্দ বন্ধ করে দিতে চাই
শীত
আমার খুব শীত লাগে।
তোমার শরীরের নিচে খনন বপনের কাজে অর্জিত কেবল শীত
শেষরাতে পোষ্ট করা ফেসবুক সুন্দরীদের প্রোফাইলে হাসি হাসি মুখে বল, সুপ্রভাত
কবিতা না হলেও, মধুরতর বিজ্ঞতায় বল, কলমে
আলো দেখি খুব। আসলে উকি ঝুকি দেয় পড়ন্ত আচল কিংবা ক্লিভেজ. সে চমৎকৃত কবিতা গুচ্ছ
পাশে শুয়ে আছে যে তার গহনপথ চুরি গিয়েছে
শুষ্কমরু পথে গমনাগমন। দক্ষিণের উপদেশ অনুযায়ী উত্থানে প্রয়োজন একটি ছোট বাড়ি।
আমার সত্যিই শীত লাগে খুব
সমুদ্রের জলের মতো উদ্দাম স্রোত এসো
উড়ন্ত ডলফিনের মতো খেলা করি
ওরা দূরে চিৎকার করুক, আমরা
চাদবালির গান খেলি
শীতটা চলে যাওয়ার বড্ড দরকার
-----
0 Comments