জ্বলদর্চি

রামকৃষ্ণ মহাপাত্র


রা ম কৃ ষ্ণ  ম হা পা ত্র  


মহাসময়

আমার অবয়ব জুড়ে
শীতের রোদ্দুর এল নেমে
এই বিষণ্নতা, এই মহাসময়ের ভিতর

কখনো অন্ধকারের গভীরে
ভেসে থাকতে গিয়ে দেখি
জিহ্বার গহ্বরে ফুটে উঠছে চাঁদ

এভাবেই আমার দিন ও রাতের মাঝখানে
দাঁড়িয়ে আছে একটা অশ্বত্থগাছ ও তার ছায়া

প্রেতমহিমার মতো।

পরস্পর

বিকেলের অভিমান ঝরে যায়
একমুঠো বালির মতন,
সমুদ্রের কাছে যাই
দেখি নিচু হয়ে আছে তার স্বর
কথা নেই, আমাদেরও 
কথা নেই 
পায়ের চিহ্নে খুঁজি নীরবতা

দু'জনে, পরস্পর


নিশিডাক

জ‍্যোৎস্না চলে,তার পিছু পিছু চলে ঘুমন্ত
পুকুরের ছায়া।সঙ্গে নিশিডাক চলে
নিঝুম বৃক্ষের শীর্ষ ছুঁয়ে ছুঁয়ে।
খোকাটি ঘুমিয়ে পড়ে,গভীরে,অনন্ত জলে

পাথরের শীতলতা নেমে আসে চোখে তার।
খোকাহারা মা যেন ওই দূরে
চাঁদ হয়ে জেগে থাকে আকাশের গা'য়,
মা ভাবে খোকা আছে জলেডোবা,মরণপুকুরে।


স্মৃতি

রোদ মাখব বলে
গায়ে মেখেছি
                    উদাসীন ধুলো,

তুমিও পাখির মতো
ঠোঁট ডুবিয়ে দেখে নিলে আমার চোখে
কতটা ক্লান্তি ছিল, কতটুকু জল

শূন‍্যতা নেভা বিকেলের ভেতর
তোমার ডানার ওই শব্দটুকু
                        আমার সম্বল।

মহার্ঘ

শেষ বৃষ্টির ভেতর মাকে
ভাসিয়ে এলাম ভোরের আকাশে

মা নেই, ভাবলেই শূন‍্য ঘর
অন্ধকার হয়ে বুকে থাবা বসায়;
সেই বিছানা, সেই বালিশ
যার মধ‍্যে মিশে আছে মায়ের চুলের গন্ধ
আমি তাকে পাঁজরে লুকিয়ে রাখি

মা নেই, আজ গোপন সিন্দুকজুড়ে
পড়ে আছে তাঁর রোদ-আঁধারের জীবন।

------

Post a Comment

1 Comments

  1. ভালো লাগলো । বেশ ভালো কবিতা...

    ReplyDelete