জ্বলদর্চি

দিল্লি দর্পণ - ১০ / কালীপদ চক্রবর্ত্তী


দিল্লি দর্পণ – ১০

কা লী প দ  চ ক্র ব র্ত্তী 

দিল্লির কয়েকটি কালীবাড়ি 

সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অন্যান্য আরও কয়েকটি কালীবাড়ির কথা আজ লিখবো। আপনাদের আগেই জানিয়েছি। সব কালীবাড়িগুলো সম্পর্কে লেখা সম্ভব হয়ে উঠবে না। তাবলে এই নয় যে সেখানে সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা হয়না বা এ ক্ষেত্রে তাদের অবদান বিন্দুমাত্র কম আছে। স্বল্প পরিসরে তাদের আলোচনা করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। 

দিল্লির অন্যান্য কালীবাড়িগুলোর মধ্যে সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে যাদের অবদান অপরিসীম তাঁরা হলেন নিউদিল্লি কালীবাড়ি। এই কালীবাড়ির সুনাম জগত জুড়ে। দিল্লিতে এসে যদি কেউ কালীবাড়ির খোঁজ করেন তাহলে সকলেই ধরে নেবেন আপনি নিউদিল্লি কালীবাড়ির কথাই বলছেন। যেটি এখন মন্দির মার্গ-এ অবস্থিত। এই কালীবাড়ি যেমন খুব পুরাতন ঠিক তেমনি এর সুনামও সর্বত্র ছড়িয়ে আছে। এই কালীবাড়ির সাথে যুক্ত আছেন বহু সম্মানীয় ও জ্ঞানী-গুনী মানুষজন। জানাগেছে ১৯৩০ সালের গোঁড়ার দিকে দিল্লির বাঙালিরা একটি কালীমন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা করেন এবং ১৯৩৫ সালে  নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে সভাপতি করে প্রথম মন্দির কমিটি গঠন করা হয় এবং শ্রদ্ধেয় স্যার জাস্টিস মন্মথ নাথ মুখার্জ্জী মহাশয় কালীবাড়িটির বিল্ডিংটির উদ্বোধন করেন। এরপর সেখানে গড়ে-তোলা হয় পর্যটকদের জন্য ঘর এবং হোস্টেল। এই কালীবাড়ির লাইব্রেরীটি আজও  বাঙালিদের আকর্ষণ করে। 

১৯৩৫ সালের ৮ই এপ্রিল, স্যার নৃপেন্দ্রনাথ সরকার কালীমন্দিরের ভিত্তি স্থাপন করেন। সে সময় নৃপেন্দ্রনাথ সরকার বড়লাটের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। অগাধ ক্ষমতা ছিল তাঁর ।১৯৩৮ সালের অক্টোবর মাসে মা কালীর মন্দির নির্মাণকার্য সম্পন্ন হয়।জানাযায় কলকাতার কে রায় নামে একজন কালীভক্ত বিগ্রহের ব্যবস্থা করে দেন। গীতা সমিতি শ্বেতপাথরের বেদিটি দান করেন। ২২শে অক্টোবর যথাবিহিত শাস্ত্রীয় পূজাদির পরদিন ২৩শে অক্টোবর ১৯৩৮ সালে ভারত সরকারের আইন বিভাগের প্রধান স্যার মম্মথনাথ মুখার্জী জনসাধারণের জন্য মায়ের মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করেন। এভাবেই নিউ দিল্লি কালীবাড়ির যাত্রা শুরু হয়েছিল। 

এখানে বাংলা ভাষা শেখানোর জন্য “রানুর পাঠশালা” নামে একটি ছোট বিদ্যালয় পরিচালনা করা হয়। এটি বহু পুরাতন। প্রতিবছর বইমেলা ও বাংলা নাটক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এখানেও সারা বছর ধরে বিভিন্ন সাহিত্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই কালীবাড়ির নাম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। তাই দিল্লী কালীবাড়ি বললে লোকে এই কালীবাড়িটিকেই বোঝায়। এই কালীবাড়ির সাথে বহু নামী এবং গুণী লোকেদের নাম জড়িয়ে আছে। এই কালীবাড়ি দিল্লির বহু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে। এটি মন্দির মার্গে অবস্থিত ( পুরাতন নাম রিডিং রোড)। এই মন্দির মার্গে বিড়লা মন্দিরও অবস্থিত। বাঙালিদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এই মন্দিরের দান অপরিসীম।পর্যটকদের থাকা, খাওয়া এবং ভ্রমণেরও সুব্যবস্থা আছে এখানে। দিল্লির প্রত্যেকটি বাঙালির কাছেই এই কালীবাড়ি একটি গর্বের জায়গা। 
এ প্রসঙ্গে জানাই, বর্তমানের কালীবাড়ির লাইব্রেরিটির সূচনা অবশ্য মন্দির নির্মাণের আগেই হয়েছিল কয়েকটি ক্লাব-এ। ১৯৫২ সালে বেঙ্গলি ক্লাব, তরুণ সংঘ এবং নিউ দিল্লি পাবলিক লাইব্রেরি একসাথে হয়ে যোগ দিয়েছিল নিউ দিল্লি পাবলিক লাইব্রেরি এন্ড নগেন্দ্র রক্ষিত পাবলিক রিডিং নাম দিয়ে কালীবাড়ির নতুন ভবনে।১৯৫২ সালের ১৮ই জুলাই ডা. মেঘনাদ সাহা এই লাইব্রেরিটির উদ্বোধন করেন। এই লাইব্রেরির পুস্তকের সম্ভার যে কোনও পাবলিক লাইব্রেরির কাছে এক গর্বের বিষয়। 

বর্তমানে নিউদিল্লি কালীবাড়ি দিল্লির বাঙালির ধর্ম, কৃষ্টি, সাহিত্য, সংস্কৃতি, নাটক, শিক্ষা এবং ভ্রমণকারীদের মহামিলন ক্ষেত্রে পরিণত হয়ে উঠেছে।   
অতীতে ভারতবর্ষের রাষ্ট্রপ্রধানরা বিশেষ করে দুর্গাপূজার সময় এখানে উপস্থিত থাকতেন।এখনও দিল্লির বহু নামী ব্যক্তিরা দুর্গাপুজোর সময় ছুটে আসেন এখানে সক্রিয় সহযোগিতা করতে। ২০১৭ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর রিতম হালদার-এর হিন্দুস্থান টাইমস-এ লেখা একটি প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি যে ১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গাপুজোর সময় নিউ দিল্লি কালীবাড়িতে তদানীন্তন ভারতের রাষ্ট্রপতি ড.রাজেন্দ্র প্রসাদ পুষ্পাঞ্জলি দিতে উপস্থিত ছিলেন। পত্রিকাটিতে তার ছবিও ছাপা হয়েছিল।
দিল্লির বাইরের বাঙালিরা প্রায় সকলেই দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের নাম শুনে থাকবেন। এখানে এলে আপনি বুঝতেও পারবেন না যে আপনি বাংলার বাইরে আছেন। এখানকার বাজারগুলোতে আপনি কচুর লতি, কচুর শাক থেকে শুরু করে তাল, খেজুরের গুর ইত্যাদিও  পাবেন। তাইতো একে অনেকে দিল্লির মিনি কলকাতা বলে থাকেন। বাঙালিদের দিল্লি আগমন সম্পর্কে আগেই লিখেছি। কিন্তু কলকাতা থেকে ১৯১১ সালে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সরিয়ে আনাতে সে সময় বহু সরকারি কর্মচারী দিল্লিতে চলে আসেন। এর ফলে দিল্লিতে বাঙালিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এরপর ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে বহু বাঙালি দিল্লি চলে আসেন। এরপর শ্রদ্ধেয় চন্দ্র কুমার মুখার্জী, সুবোধ গোপাল বসু মল্লিক,বিমল ভূষণ চক্রবর্তী, শ্যামা প্রসন্ন সেনভর্মা (সে সময়কার নির্বাচন কমিশনার) ও অন্যান্যরা মিলে পুনর্বাসনের জন্য জমির খোঁজ শুরু করেন এবং অবশেষে ১৯৬৭ সালে ২১৮ একর জমি পান। সে সময় মাত্র ২১৪৭ জন ৯৯ বছরের লীজে এই জমি পেয়েছিলেন। তখন এই বাঙালি প্রধান কলোনি-র নাম ছিল ই.পি.ডি.পি. কলোনি, যা বর্তমানে ‘চিত্তরঞ্জন পার্ক’ নামে পরিচিত। একটি পরিসংখ্যান থেকে জানতে পারি এখানে প্রায় ২০০০ বাঙালি পরিবার বসবাস করেন। এখানেই গড়ে উঠেছে চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীমন্দির সোসাইটির কালীবাড়ি। যদিও এই কালীবাড়ি শিবমন্দির নামেই অনেকের কাছে বেশি পরিচিত। ১৯৭৩ সালের ২১শে জানুয়ারি এই মন্দির স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ১৯৭৩ সালের ৪ঠা মার্চ,  চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীমন্দির সোসাইটির সৃষ্টি হয়। বর্তমান সভাপতি, শ্রদ্ধেয় অশীতাভ ভৌমিক এবং সাধারণ সম্পাদক,শ্রদ্ধেয় শ্রীবাস ভট্টাচার্য।

এই কালীবাড়িতে/  শিবমন্দিরে পূজা-অর্চনা ও অন্যান্য সামাজিক কাজকর্ম ছাড়াও প্রতি রবিবার বাংলা শেখানোর ক্লাসের আয়োজন করা হয়। লাইব্রেরী ও রিডিং রুমের সুব্যবস্থা আছে। এই লাইব্রেরী হল-এ মাসের শেষ রবিবার 'দ্যুতি সাহিত্য সভার' আয়োজন করা হয়। এই সভায় দিল্লির বহু লেখক ও লেখিকারা অংশগ্রহণ করেন। শুধু লেখক-লেখিকারাই বা বলি কেন, এতে বহু সাহিত্যপ্রেমী শ্রোতা এবং মন্দিরের সদস্যরাও থাকেন। তাদের মধ্যে ড. প্রদীপ মজুমদার, অলোক মুখোপাধ্যায়, সোমা গুহ, লীলাময় গোস্বামী ইত্যাদির নাম উল্লেখযোগ্য। এখানকার লাইব্রেরীটিও বড় সুন্দর। আরও উল্লেখযোগ্য হল, এখানে লাইব্রেরী ও দুটি হল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য দেওয়া হয়।  

এখানে বিভিন্ন ধর্মীয় পুজো-অর্চনা ছাড়াও পর্যটকদের থাকা এবং খাওয়ার সুবন্দোবস্ত আছে। দিল্লির বাইরে থেকে বাঙালিরা চিত্তরঞ্জন পার্কে এলে মনে হবে যেন পশ্চিমবঙ্গেই আছেন। তাইতো অনেকে মিনি কলকাতা-ও বলে থাকেন। আপনারা অনেকেই জানেন, দিল্লিতে করোনার প্রাদুর্ভাব হঠাৎ চারগুণ বেড়ে গেছে। তাই এবছর মন্দির কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই করোনা মহামারীর প্রকোপের জন্য মা দুর্গা-র মূর্তি যেমন ছোট করা হবে, তেমনি সকলের অবাধ প্রবেশের অনুমতিও থাকবেনা এবং বাড়ি বাড়ি ভোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। বাকিটা নির্ভর করবে সরকারের নিয়ম-কানুনের ওপর। প্রতিবছর দুর্গাপূজার সময় যে সব প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় তার বেশিরভাগই হবে অনলাইনের মাধ্যমে। এটি একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলা যেতে পারে।  

গ্রেটার কৈলাসের দুর্গা-বাড়ি থেকে ডঃ রঞ্জন ঘোষের সম্পাদনায় “ধ্বনি” নামে একটি ত্রৈমাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় এবং প্রতিমাসের তৃতীয় রবিবার একটি সাহিত্যসভার আয়োজন করা হয়। এই দুর্গাবাড়িতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো ছাড়াও নানা সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিমাসে শ্রদ্ধেয় রঞ্জন ঘোষের পরিচালনায় একটি সাহিত্য সভারও আয়োজন করা হয়। 

বসন্তকুঞ্জ কালীবাড়িও দক্ষিণ দিল্লিতে বেশ নামকরা একটি কালীবাড়ি। ১৯৯৪-৯৫ সালে বসন্তকুঞ্জের কয়েকটি ক্লাব এবং হিতৈষী বাঙালিরা মিলে প্রথম সেখানে কালীবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা করেন এবং ২০০০ সালের ২৫শে অক্টোবর জমি সংগ্রহ করা হয়।  ২০০১ সালের ১২ই আগস্ট সেখানে মা কালীর বিগ্রহ অস্থায়ী-রূপে স্থাপন করা হয়। ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে এই কালীবাড়ির নির্মাণকার্য শুরু হয় এবং ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে এই মন্দিরের নির্মাণকার্য শেষ হয়।কর্নেল (ডা.) প্রণব দত্ত মহাশয়ের থেকে জানতে পারলাম, এই মন্দির তৈরির ব্যাপারে একজনের নাম না করলে অন্যায় হবে, তিনি হলেন শ্রদ্ধেয় এ কে দাম মহাশয়। কর্নেল (ডা.) প্রণব কুমার দত্ত একজন নামকরা সাহিত্যিকও বটে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় লিখে থাকেন এবং বেশ কয়েকটি বই-ও প্রকাশ করেছেন।

অন্যান্য মন্দিরের মত এই কালীবাড়িতেও পূজা-অর্চনা, বিভিন্ন পুজোর অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিমাসে এখানে সাহিত্য আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। এটি পরিচালনা করেন আমাদের শ্রদ্ধেয় অবনী দা (অবনী কুমার মিত্র, বর্তমানে সহ-সভাপতি)।প্রতি সপ্তাহে স্বামী বিবেকানন্দ এবং গীতা নিয়ে আলোচনারও ব্যবস্থা করা হয়। এই মন্দিরেও প্রতি দু বছর অন্তর কার্যকরী সমিতি নির্বাচিত হয়। বর্তমানে সভাপতি আছেন শ্রদ্ধেয় কল্যাণ কুমার শ্যাম মহাশয় এবং সাধারণ সম্পাদক আছেন শ্রদ্ধেয় সিদ্ধার্থ গুহ মহাশয়। দিল্লির বহু নামী এবং সম্মানীয় ব্যক্তিরা এই কালীবাড়ির সাথে যুক্ত। এই কালীবাড়ির শ্রদ্ধেয় বি কে রায়-ও একজন একনিষ্ঠ কর্মীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় ছিল। আজ আর রায়-দা আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু আজও তাঁর কথা আমাদের মনে পরে। মন্দিরের আরেকজনকে দেখেছি সমাজকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসতে তিনি হলেন শ্রদ্ধেয়া ইন্দিরা রায়। তিনি লাইব্রেরীর দায়িত্বেও আছেন।                                         

দক্ষিণ দিল্লি কালীবাড়িটি রামকৃষ্ণ পুরমে মালাই মন্দিরের পাশেই অবস্থিত। রামকৃষ্ণ পুরমের সেক্টর ৭ এর বাঙালিরা একটি দুর্গাপূজা করতেন। ১৯৬৭ সালের একদিন তারা সবাই মিলে একটা কালীবাড়ি তৈরি করার পরিকল্পনা করেন। অবশেষে মালাই মন্দিরের পাশে একটি জমিও তারা পান, যদিও শুরুর দিকে এই জমি পেতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়। ১৯৬৮ সালে নলিনীরঞ্জন ঘোষ, চিত্ত বসু, অনিল কুমার ঘোষ এবং আরও অনেকে মিলে কালীবাড়ি নির্মাণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেন। ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। সে সময় জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন কিশোর কুমার পালিত।  জানা যায়, ১৯৬৯ সালে তদানীন্তন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি দুর্গাপূজার সময় এই কালীবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। ১৯৮২ সালে মন্দির তৈরির জন্য যে কমিটি গঠিত হয়েছিল তার প্রণব মুখার্জ্জী মহাশয় (ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি) চেয়ারম্যান ছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি এই মন্দিরের চীফ প্যাট্রন ছিলেন। এই মন্দিরেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিল্লির অন্যান্য মন্দিরগুলোর মতই এখানেও দুর্গাপুজোর সময় বিচিত্রানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় খুব ধুমধামের সাথে। বর্তমানে এই মন্দিরেরও পর্যটকদের জন্য থাকা এবং খাওয়ার সুবন্দোবস্ত আছে।

পটপড়গঞ্জ-এর পূর্বাশা কালীবাড়িতেও বাংলা শেখানোর ক্লাসের আয়োজন করা হয়। দ্বারকা, সেক্টর ১২ কালীবাড়িতেও বাংলা শেখানোর ক্লাসের ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও দিল্লির বিভিন্ন সংস্থায়ও সাহিত্য সভার আয়োজন করা হয় এবং পত্রিকা প্রকাশ করা হয়, তা নিয়ে পরের কোনও পর্বে লেখার ইচ্ছে রইল। 


তথ্যসূত্র – সংশ্লিষ্ট মন্দিরের ওয়েবসাইটগুলো 
কৃতজ্ঞতা স্বীকার –জয়েন্ট সেক্রেটারি,চিত্তরঞ্জন পার্ক কালীমন্দির সোসাইটি, কল্যান কুমার শ্যাম, কর্ণেল (ডা.) প্রণব কুমার দত্ত, হিন্দুস্থান টাইমস,২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭   
ছবি –  সংশ্লিষ্ট সংস্থার সৌজন্যে

Post a Comment

2 Comments

  1. স্বল্প পরিসরে কালীবাড়ী গুলির ইতিহাস, সাহিত্য ও সংস্কতির চর্চার চলচিত্র বেশ ভালো লাগলো।
    লেখককে ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
  2. খুব ভাল লাগছে, দিল্লীর বাইরের অনেক বাঙালীরাও এইসব তথ‍্য জানতে পারছেন । ডাঃ মেঘনাদ সাহা যে লাইব্রেরীটা উদ্বোধন করেছিলেন দিল্লী কালীবাড়িতে সেটা বোধহয় 1952 তে হবে, কিন্তু ভুল ক'রে 1852 ছাপা হয়েছে । অসংখ‍্য ধন‍্যবাদ, ধারাবাহিকগুলোর জন‍্য।

    ReplyDelete