জ্বলদর্চি

মারণবীজের আজব ধাঁধা /শেষ পর্ব ১১/ বাসুদেব গুপ্ত

মারণবীজের আজব ধাঁধা 

শেষ পর্ব ১১ 

বাসুদেব গুপ্ত


দশজন স্পট ডেড। চারজনের হাত পা বাঁধা। বাকীরা পালিয়েছে জংগলের আড়ালে। একে ১০৩ সাবমেশিন গান আর ইন্স্যাস এসল্ট রাইফেলের সঙ্গে ৩০৩ আর তীর ধনুক আর কতক্ষণ পারে। 

গাড়ী চালাচ্ছে গয়াল নিজে। এত সহজে হাল ছেড়ে দিলে সে এত বড় একটা দেশের সিকিউরিটির প্রধান হতে পারত না। তার এক হাত সবসময় যে পকেটে থাকে সেই পকেটে জেগে বসে থাকে ৯ এম এম ওয়ালথার রিভলভার, যা কোনদিন লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না। 
গাড়ীর মেঝেতে অনেকখানি ফাঁকা জায়গা। সেখানে ডাম্প করা অর্চি নভীন, নিশা, উরবী।  রামালু কোথায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। ৪ বন্দী। নড়া চড়ার কোন উপায় নেই। মুখে টেপ, হাতেও মোটা টেপ দিয়ে জড়িয়ে বাঁধা, খোলার কোন উপায় নেই। পিছনে আরো দুটো জীপ। চার নম্বর গাড়ীটি আগুন লেগে জ্বলছে জংগলের ভেতর, নেভানোর জন্য কেউ আসছে না এক্ষুণি। কোথায় গাড়ী যাচ্ছে, কি তাঁদের ভাগ্যে লেখা আছে চারজনের কেউ জানে না। যে যার পুরনো জীবনের কথা ভাবছে। শুধু নভীন আর উর্বী পাশাপাশি। ওরা দুজনে একই কথা ভাবছে। যদি মরতেই হয়, একা জীবন কাটানোর থেকে একসাথেই মরা ভালো। 
অন্ধকার একটু একটু মুছতে শুরু হল। চার দিকের মাঠ, ছায়া ছায়া গ্রাম। মাথায় ছোট ছোট বোঝা নিয়ে কৃষকদের আলের ওপর দিয়ে বহু দূর থেকে হেঁটে আসার ছবি পরিষ্কার হতে লাগলো। একটা ছোট টিলার মত পাহাড়, তার পাশে বিরাট একটা হ্রদ, সেখানে এসে গাড়ীর কনভয় হঠাৎ থেমে গেল। বন্দীদের কান খাড়া হয়ে উঠল, পেশী কঠিন, অজানা এক পরিণতির কথা ভেবে বুকের স্পন্দন এলোমেলো। 

সীমাহীন অদ্ভুতের বাড়াবাড়ি চলছে কদিন, তবুও এরকম অদ্ভুত ব্যাপার ওদের মাথায় আসেনি। জংগলের ভিতর থেকে গটগট করে বেরিয়ে এল দশজন বিদেশী মানুষ। নেপালী, ভুটানী, জাপানী যা কিছু হতে পারে। তাদের একজন এসে গাড়ীর দরজা খুলে চারজনকে দেখল, যেন পাঁঠা বা মুরগী দেখছে। তারপর এক এক করে গুনে গুনে ওদের বার করে, লাইন করে দাঁড় করাল, হাতে উদ্যত একে ৪৭ নিয়ে দুজন দুদিক থেকে পাহারা দিয়ে রইল যাতে কেউ না পালাতে পারে। গয়ালের সঙ্গে কিছু হাসিমুখে কথা হল, তারপর একটা সুটকেস তুলে দিল গয়ালের হাতে। গয়াল সেটা খুলে দেখতেই চারজনই চোখ বড় বড় করে দেখল, বাক্স ভর্তি ১০০০ ডলারের নোট। 
উর্বী মনে মনে গোনার চেষ্টা করল, কিন্তু তার আগেই বিদেশীদের নেতা নেতা দেখতে সে বলল-
-দু মিলিয়ন আছে পরে কাজ শেষ হলে আরো তিন মিলিয়ন। 
গয়াল কোন আপত্তি করল না, বেশ খুশি মনেই বাক্সটা নিয়ে এটেনশান হয়ে দাঁড়িয়ে বলল “লং লিভ চাইনীজ রেভলুশান।“ দশজন বিদেশিও টান টান দাঁড়িয়ে বলল “লং লিভ চাইনীজ রেভলুশান।“ তারপর আবার সেটাই ওদের ভাষায় বলল। গাড়ী ছেড়ে দিল, গয়ালের টিম দিগন্তের আড়ালে মিলিয়ে গেল। যাবার সময় ওদের দিকে হাত নেড়ে বলে গেল
-বাই বাই, এনজয় চাইনীজ ডিনার। 
ধূধূ হাইওয়ের একধারে জংগলে পড়ে রইল ৪ ভারতীয় বন্দী আর সম্ভবতঃ ১০ জন চীনা। 
“নেহি ডরনা। হম আপকে ডোস্ট হ্যায়। আপ গোলমাল না করনা। আপকে লিয়ে ব্রেকফাস্ট রেডি হ্যায় কুছ দের কে বাদ।“
চীনা উচ্চারণে হিন্দি শুনে চার জনে চমকে গেল বললে অল্পই বলা হবে। কিছুক্ষণ পরে আরো যা যা জানা গেল তা রহস্যোপোন্যাসের থেকেও চমকপ্রদ।
ব্রেকফাস্ট বলতে আধ গলা ভাত, সেজুয়ান সস দিয়ে রান্না টোফু আর হাল্কা পাতলা চা। তাতে কিছু একটা ফ্লেভার হয়ত ছিল কোন সময়। রান্নার স্বাদে কলকাতার ট্যাংরার মশলার গন্ধ অর্চির নাকে এসে ধাক্কা দিলো।   
 চারজনকে মাটিতে বসিয়ে হাতে হাতে প্যাকড ব্রেকফাস্ট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুদিকে দুজন দুটো রিভলভার হাতে পাহারা দিচ্ছে, সেই কম্যান্ডরের মত দেখতে লোকটা কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলছে। ফোনটা অদ্ভুত দেখতে, লম্বা মত, গায়ে লেখা হুয়াহেই। নভীন চিনতে পারল, স্যাটেলাইট ফোন, ওর কাজে লাগে, পাণ্ডব বিবর্জিত জায়গায় যখন উইন্ড মিল বা সোলার বসাতে হয় তখন কোথায় পাবে ফোনের সিগনাল। নভীন এদিক ওদিক তাকালো, কিন্তু কথা বলার সাহস হল না। 

উর্বীর গলা শুকিয়ে কাঠ। সাহস করে বলল, জল, ওয়াটার। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে এল একটা ক্যাম্বিসের ব্যাগ আর তার থেকে পাঁচটা হাফ লিটারের বিস্ট্রল জলের বোতল । বোতলের দু দিকে দুরকম বানান ছাপা। যারা দু মিলিয়ন ডলার এক কথায় দিয়ে দিতে পারে, তারা এমন সস্তার জল কিনল কেন, ভেবে অবাক লাগল। ভাবতে ভাবতে ওর একটা চিন্তা এসে ঝটকা দিলো মাথায়। বার বার আমেরিকা যাওয়া আসা আর ডলার ঘাঁটাঘাঁটি করে উর্বীর আমেরিকান ডলার  সম্বন্ধে বেশ কিছু ধারণা আছে। ১০০০ ডলারের নোট আর ছাপা হয় না, এখন শুধু তা কালেক্টর আইটেম। আর ডলারে যে ছবি থাকে তারা সবসময় তাকিয়ে থাকেন বাঁ দিকে। একমাত্র দশ ডলারের ছবি ডান দিকে তাকিয়ে, তার একটা কারণ বোধহয় উনি কোন প্রেসিডেন্ট নন। যে ডলার নোটগুলো বাক্স ভরে গয়াল নিয়ে গেল, তাতে আব্রাহাম লিংঙ্কনের ছবি, আর তা তাকিয়ে রয়েছে ডান দিকে। আশ্চর্য গয়ালকে এরা জাল নোট গছিয়ে দিল? রহস্য এবারে জাভা প্রোগ্রামের থেকেও কঠিন ও জটিল হয়ে যাচ্ছে, উর্বী চোখ বন্ধ করে টোফু খেতে মনোনিবেশ করল।

যে হিন্দি জানে, তার নাম শি টং। আর কমান্ডারের নাম মনে হল শুই লুন। শুই বলে যাচ্ছে আর টং তর্জমা করে যাচ্ছে হিন্দীতে। 
-আমার নাম শি, শি টং। আমি চাইনীজ আর্মির ফরেন কোরে কাজ করি। আর শুই লুন আমাদের শি হুই গুয়ান মানে কমান্ডার। এক মাস ধরেই একটা নতুন ভাইরাসের খবর আমাদের নেটওয়ার্ক ওয়ার্নিং দিয়ে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের সময় পুরো দায়টা চীন সরকারের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, আমাদের আন্তর্জাতিক ব্যবসাতে তার জন্য অনেক মার খেয়েছি। প্রাণপণে চেষ্টা করেছি আমাদের দেশে ইনফেকশন রুখতে, সাংহাইএর মত বড় শহর আমরা মাসের পর মাস ফুল লকডাউন করে রেখে দিয়েছি। তবুও বদনাম যায় নি আমাদের। তাই এবারে আমরা ঠিক করেছি, এই ভাইরাসের পুরো ট্রেস করে বার করে হু কে জানিয়ে দেব। যাতে আমাদের মহান নেতার গায়ে কোন কালি না লাগে।
-আমাদের কেন ধরলেন আর আমরা কিই বা করতে পারি?
-আমরা জানি, আপনারা এই ভাইরাসটা ট্রেস করছেন সাত দিন ধরে। আপনাদের মধ্যে কয়েকজন ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা আছে। আর আপনাদের মধ্যে আছে পৃথিবীর মধ্যে সেই বিজ্ঞানী যে এই ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করেছে এবং হয়ত প্রতিষেধক বার করে ফেলেছে।
আঙ্গুল দিয়ে কমান্ডার দেখিয়ে দেন নিশাকে, নিশা যে এতদূর এগিয়ে গিয়েছিল তা কিন্তু ও এখনো পর্যন্ত কাউকে বলে নি। আশ্চর্য। যারা ওকে বলি দিতে দ্বিধা করেনা, তাঁদের সিক্রেট ওথ ও এখনো পালন করে চলেছে। আরো কত রহস্য বাকী আছে এই কাহিনীতে? অর্চি আর ভাবতে পারে না। 
তার পরেও বাকী থাকে আরো বড় চমক।
-এত কথা জানলেন কি করে আপনারা? আমরা তো সিক্রেট রেখেছি যতদূর সম্ভব? নিশা প্রশ্ন তোলে।
- মিঃ গয়াল আমাদের এজেন্ট অনেক দিন থেকেই। আমরা ওকে বন্দি করেছিলাম বেইজিঙ্গে স্পাইং করার জন্য। আমাদের বিচার খুব সোজা, কিল দি স্পাই। সিমপ্ল। কিন্তু এই কেসে আমরা একটা নতুন আবিষ্কারের পরীক্ষা করে দেখতে চাই। একটা নিউক্লিয়ার ইমপ্লান্ট আমরা গয়ালের লিভারে করে দিই।  রিমোট এক্টিভেটেড। ১০ কিমি পর্যন্ত সিগ্নাল ধরতে পারে, আর আমাদের এম্বাসি থেকে ওর অফিসের দূরত্ব মাত্র ৫ কিমি। যে কোন সময়ে আমরা এক্টিভেট করে দিলেই ওর শরীর ভরে যাবে তেজস্ক্রিয় পদার্থে। রাশিয়া আমাদের থেকে এই টেকনলজিটা পরে কিনে নেয়। যাই হোক, কাজেই দেশের যা কিছু খবর গয়াল নিজের গরজেই আমাদের পৌঁছে দেয়, আমাদেরও সুইচ টিপতে হয় না। 
-তাহলে অত জাল টাকা ওকে দিলেন কেন?
-জাল টাকা, আপনারা ধরে ফেলেছেন, বাঃ এই তো চাই। আপনাদের দিয়ে কাজ হবে। আপনারা বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ার, আপনাদের ধাপ্পা দিয়ে আমাদের কোন লাভ হবে না।  গয়ালের কাজ এখন শেষ। আমাদের নিউক্লিয়ার ডিভাইসটাও এক্সপায়ার করে যাবে আর এক মাস পরেই।  এখন ওকে ডি এক্টিভেট করার একটাই উপায়। ইডির হাতে তুলে দাওয়া। আমরা গোপনে খবর পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি যখনই টাকাটা ব্যাঙ্কে ডিপোজিট করতে যাবেন, এরেস্ট করবার জন্য টিম তৈরী। 

নভীনের এই শেষ প্ল্যান্টা একটু গাঁজাখুরি মনে  হল, অত সহজে গয়াল ধরা দেবে, আর ই ডি তাকে ধরে নিয়ে যাবে, এটা কি চায়না নাকি?
যখন গুয়ান এসব জ্ঞান বিতরণ করছিলেন তখন পরদার আড়ালে আরো অনেক কিছু হচ্ছিল।
গুঁড়ি মেরে জংগলের ঝোপ গুলো একটু একটু এগিয়ে আসছিল ওদের দিকে। রামালুর আরমি। ওরা এই দেশ মাটি হাতের তালুর মত চেনে। পালিয়ে গিয়ে ওদের লুঠ করা আরমারি থেকে নিয়ে এসেছে বড় বড় মেসিন গান, আর রকেট লঞ্চার। তার সঙ্গে আছে স্নাইপার রাইফেল, তার দুটো গুলি অভ্রান্ত টিপে এসে লাগল টং আর গুয়ানের বুকে। দুটো গ্রেনেডের আওয়াজ হল দুদিকে, চীনা দল ঘুরে দাঁড়াতে গিয়েই দেখল মেসিনগান মর্টার উঁচিয়ে ৫০ জনের একটা দল, মাইকে স্বর ভেসে এল, সারেন্ডার অর ডাই। গুয়ান মরতে মরতে পকেটে হাত দিয়ে কি একটা টিপে দিল, দিয়েই তার শেষ নিঃশ্বাস মিশে গেল সিংভূমের হু হু করে দৌড়ে যাওয়া বাতাসে। তার আগে ও নিউক্লিয়ার ডিভাইস্টাকে একটিভেট করে দিয়ে গেল। 

গয়ালের গাড়ী হঠাত রাস্তা ছেড়ে উঠে গিয়ে ধাক্কা মারল এক বট গাছে। গয়ালের পেট থেকে উঠে এল একটা আগুনের দলা, হঠাত জ্বালিয়ে খাক করে দিল ওর ফুস্ফুস, হারট সব। চারজন স্পট ডেড। বাকীরা কিছু বোঝার আগেই একটা এম্বুশ এসে ওদের ঘিরে ফেলল চারদিক থেকে। রামালুর ইস্পাত কন্ঠের আদেশ, সোজা মাঠের দিকে দৌড়তে থাক। ১০০ ফুট গেলে আমি ফায়ার করা শুরু করব। যে জোরে দৌড়তে পারবে সে বাঁচবে। ১-২-৩- রান। 

গয়ালের ১২ জন যোদ্ধা প্রাণপণে দৌড়তে লাগল। দুজন পাহারা দিচ্ছিল ডলারের বাক্স, ভয়ে সেটা তারা ফেলেই দৌড় লাগাল, ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে উড়ে বেড়াতে লাগল চামচিকের মত অজস্র জাল টাকা। রামালূ ১০০ ফুট যাবার পরে আকাশে ফায়ার করতে শুরু করল। গয়ালের সেনাবাহিনী প্রাণপণে ছুটতে লাগল, আর তাই দেখে রামালু আকাশ কাঁপিয়ে হেসে উঠল, ‘হাঃহাঃহাঃ কেমন লাগে এখন?” যখন আর কাউকে দেখা গেল না, তখন নিস্তব্ধ বটের মত কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রেখে রামালু একটু কেঁদে নিল। যেমন পথহারা মেঘ কেঁদে নেয় কাঠফাটা মাঠের ওপর ভেসে একা একা। সে ঠিক করে নেয় আর নয়, এবারে সে সারেণ্ডার করবে সরকারের কাছে। দেশের কাজ করার জন্য অনেকে আছে, জঙ্গলে ঘুরে এই নিরবধি যুদ্ধ আর নয়। 

এরপর অনেক কিছু হবে, যেমন হওয়া উচিত। অর্চির ব্লগে পুরো ঘটনাটা বেরোবে ও দেশবাসী জানতে পারবে। গয়ালের কাহিনী শুনে দেশের লোক আতংকে শিউরে উঠবে। কিন্তু বুঝতে পারবে না গয়াল ভিলেন না ভিক্টিম। দেশদ্রোহী অবশ্যই। রাষ্ট্রপতি এমারজেন্সী ঘোষণা করবেন। নতুন নির্বাচন ঘোষণা হবে ও সারা দেশের জাতীয় একটি জোট জয়ী হবে। ডঃ বেরাকে কাজ চালাতে বলা হবে, তাঁকে প্রতি সপ্তাহে একবার করে মানাসিক ডাক্তারের কাছে দেখা করতে হবে এই শর্তে। নিশা গবেষণা শুরু করবে ও একসময় টিকাও বেরোবে। কিন্তু তার আগে নভীনকে কন্ট্রাক্ট দেওয়া হবে সারা দেশে বিষাক্ত ডিজেল খুঁজে বার করে সেগুলো জ্বালিয়ে দেবার ব্যবস্থা করা। এই কাজে ওর মামা বকুল পালুসকার প্রচুর সাহায্য করেন।  চাকরী ছেড়ে দিয়ে উর্বী নভীনের সঙ্গে কাজে লেগে যায়। একসময় ওদের একটি সন্তান হয় যার নাম হয় নিশান্ত। 

রামালু? রামালুর ফাঁসী হলো সন্ত্রাসবাদী হিসেবে। আইন আইনের পথে চলে। বাকী যা বললাম ওপরে সেগুলো কি সত্যিই হলো? কে জানে? গল্প গল্পের পথে চলে, বাস্তব বাস্তবের।
------- শেষ -------

পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments