জ্বলদর্চি

শ্রীতনু চৌধুরী-র কবিতা


শ্রীতনু চৌধুরী-র কবিতা 

হাসি

গঙ্গাজল বাহিত খাতে হাসির কোনো হেতু লাগে না। ছয়-দাঁড় ছিপ যতই গভীরে যায় ততই বিলীন হতে থাকে মৎসগন্ধ। তাদের ঋজুরেখ পরম সত্য তবু জলের ছোঁয়ায় উত্তুঙ্গ ত্রিতাল। সমস্ত ভালোবাসা অচিন  দ্বীপে বসে আছে দ্বৈপায়ন হয়ে। সেখানে এমনিই ফুল ফোটে পাখি ডাকে, যাবতীয় রাতের শেষে সমস্ত কাঞ্চনজঙ্ঘায় খেলে যায় তথাগত হাসি। তোমার স্পর্শিতত বুকের কিনারায় কিভাবে বাজবে আমার খলখল সে বন্দিসও আমি সেখানেই শিখে গেছি রাই। এখন হাসতে আমার আর কোনো হেতু লাগে না।


🍂

দীর্ঘতম চুম্বন

জলের প্রজ্ঞানে নতি 
মন্ত্রশুদ্ধ, ছুটে গেছি তার কাছে
গাঙ্গুড় গোমুখ ।
ভ্রমর আয়নায় ভাঙ্গা মুখ 
শতছিন্ন বাস্তুভূমি 
আপ্রাণ সেলাই-ফোঁড়াই 
বাঁধের ভাঙ্গা আর গড়ায়
বিলগ্নপ্রভ চিরদিন, 
অযাচিত ভুল বুঝে 
সরে সরে চলে যায় 
নদী ও দোয়াবের ঋণ।

দীর্ঘতম একটি চুম্বনের জন্য 
আজন্ম যার প্রতীক্ষা 
আঁচলা ও ওষ্ঠের মাঝে 
আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে 
অকৃপণ গলে গেছে 
প্রিয় সেই নারী ।

শুধু ভিজে গেছি 
ভেসে গেছি সমূহ শঙ্খ ফসিলে

Post a Comment

0 Comments