দুঃ খা ন ন্দ ম ণ্ড ল
দাগ ৩৩
মৃত্যু কি এমন ভাবে আসে! আমার জানা নেই।
আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে ঘুম
আমি স্বপ্নে দেখি মাথার সামনে মৃত্যুদূত অপেক্ষারত
ঘুম ছাড়ছে না, ভোরের আলোও ফুটেনি এখনো
একটু ঘুমতে দাও। কত কথা স্বপ্নে তোমার সাথে
মাথার সামনে অপেক্ষা করছে আত্মাবাহক।
জীবনযাপন শেষ। সময় ধার দেওয়ার কোনো সুজন নেই
দেহটি ঘুমিয়ে আছে। ভোরের আলো পড়ছে জানালা দিয়ে।
এখন আর চেনা যায় না আবছা মুখটা।
অনেক দিন ধরে জলের গ্লাসটা খালি পড়ে আছে।
দাগ ৩৪
খোঁজ পায়ে এগিয়ে যাই আমার ছেলেবেলার দিকে
কি যেন বাঁধা আছে আমার শরীরে খুব ভারী হয়ে আসছে
ওরা খেলছে ওদের বইগুলো হওয়ায় উড়ছে
আমি খুঁজছি, কি যেন খুঁজছি, ওরা খেলছে রোদটা কমে আসছে।
দাগ ৩৫
ছোটবেলার কথা খুব ছোটবেলার
স্কুলে যাই ক্লাস করি টিফিনে মাঠময় ছুটে বেড়াই
তারপর বাড়ি ফিরে আসি বিকেলের ক্লান্তি নিয়ে।
তরুলতা। আমার বান্ধবী। প্রথম ভালোলাগা
যেমনটি হয়; তুই আমার সই হবি?
কেটে গেছে দিন কেটে গেছে সময়
ছোটবেলা আর ছেলেবেলা দুই পেরিয়ে বড়বেলায়
আমার গাঁয়ের কথা আমার গাঁয়ের মেয়ে
তরুলতা যুবতী হয়েছে আমি যুবক।
হাজার চেষ্টার পর খোঁজ মিলে নি
কে ভাঙল সম্পর্কে বেড়াজাল…
তরুলতা এখন তার মায়ের কাঁধ ছুঁতে পারে
তরুলতা এখন একা পথ অতিক্রম করে
কথা হয়নি ছোটবেলা থেকে বড়বেলার মাঝে।
শূন্যস্থান। তরুলতা এখন অপেক্ষা করে
একটি ছেলেবেলা হারিয়ে যায় আর একটি ছোটবেলার খোঁজে ।
দাগ ৩৬
মনে পড়ে না
কিছু কিছু কথা অতিক্রম করি
অনেক দুরের কথা মনে পড়ে।
স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটি ফিরে যায়
আত্মকথা রয়ে যায় ভুলেও যাই একটা সময়
ফিরার পথ ক্রমান্বয়ে দীর্ঘ পরিসর…
মনে পড়ে যায়
খুব কাছ থেকে দুরের কথাগুলো
ক্লান্ত প্লাটফর্ম এখনো ছুঁতে পারেনি
প্রসারিত সরলীকরণ রেখা।
দাগ ৩৭
ঘুম ভেঙে গেলে তুমি উঠে বসো
পাখাটা অন্ধকারে ঘুরে চলেছে
তুমি জেগে আছো ঘুমন্ত শিশুটি জানে না।
রাত গভীর হচ্ছে সারি ধরে সারথিরা হাঁটছে
মশারীর উপর পাখাটি ঘুরছে অনবরত।
শিশুটি জেগে গেছে
সারি ধরে সারথিরা ঘুমিয়ে পড়েছে
আকাশের দিকে তাকিয়ে শিশুটি পাখি দেখে
বাসার সন্ধানে ওরা পরিযায়ী, ঘুমিয়ে আছে মা।
তীব্র দহন যন্ত্রণায় স্বপ্ন আছে স্বপনে
জেগে আছে পথ, তন্দ্রাচ্ছন্ন পৃথিবী
অভুক্ত শরীর থেকে টেনে নিচ্ছে রসদ ক্ষুধার্ত শিশু।
পা চালাও পথ বাকি
জঙ ধরেছে ঘরের চাবিকাঠিতে
মাদুর পেতেছে সই তোমার কথা শুনবে বলে।
2 Comments
👌👍. . .
ReplyDeleteবেশ ভাল হয়ে। শুভেচ্ছা।
ReplyDelete