গুচ্ছ কবিতা
দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়
স্বপ্নের আলোয় কাঁপে জীবনমালা
আধখানা চাঁদের গর্ভে বাস করি
আলোর প্রতীক্ষায়
আরো আলো
মুছে দেবে প্রাণের ম্লানিমা।
গভীরতার গল্প অধরা থেকে গেলে
ডুব দিই গভীরে
তুলে আনি মুক্তো রাশি রাশি
অপার বিস্ময়ে।
ঝলকিত জীবন আলোমাখা হলে
মুঠো মুঠো স্বপ্নের বুদবুদ ছুঁড়ে দিই আকাশে
প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে পড়লে
রজনীগন্ধার গন্ধে ভরে আমার উঠোন।
পুরনো অভ্যাসে খুঁজে ফিরি
আকাশটাকে বাদ দিলে যা পড়ে থাকে
তা তোমার অভ্যুপগত হাসি
হাসিময় প্রপঞ্চ সকাল
হাসিময় নিরালস্য বিকেল
হাসিময় সব্রীড় রাত
তারারা শরীরে দোলে
মিটিমিটি আলো চেয়ে দেখে জীবন জারণ
মেঘগুলোকে সরিয়ে দিলে যা পড়ে থাকে
তা তোমার চোখের বিদ্যুৎ
আলো জ্বালে কোষে কোষে
আলো জ্বালে কর্তুকাম নিউরোনে
ঝম্পক নাচায় শরীর মাদল
ভালোবাসাই শুধু রয়ে যায় সমলংকৃত সেবধি
তোমার বুকের কাছে পড়ে থাকে জীবনরেখা
মহুয়া ভেজা যৌনতায়
আমরা দুজন আদম আর ইভ
অঙ্কুরোদগম ঘটছে মাটি ভেদ করে
সবুজ আসছে
পরম শান্তির বুকে
আশ্লেষে যৌন রিঙ্গনে
আলোর উপপাদ্য স্বপ্ন গাঁথা
চলার পথে বৈমনস্য অন্ধকারটা সরে সরে যায়
প্রদৃপ্ত আলোর পথ করে দিয়ে
সকাল সন্ধ্যা এখন মৃতভেজা নয়
হাসিমুখে দুয়ারে আলপনায় বসে জীবন
সুখ দুঃখের গল্প বলে প্রাজক
বিকরাল দিন স্বপ্ন দেখা শুরু করে নতুন যোগিয়ার
ভালোবাসারা জিয়নকাঠি হয়ে আসে বারে বারে
তোমায় ভালোবাসার কথা বলা হলেই
সেদিন বসন্ত নেমেছিল বনে
আকাশ মেঘের বেলুন নিয়ে হাজির
সাদা কালো মেঘের বেলুন বড়ো বড়ো
বাচ্ছার খুশি ছিল তোমার মুখের পরিমিতিতে
ফুল ভালোবাসো বলে রজনীগন্ধাও এসেছিল
গন্ধে মাতাল সময় মাথা দুলিয়ে গান ধরেছিল
বেলফুলের হাসিতে তোমার হাসির ছোঁয়া তখন
জলপাই রঙের শাড়িতে তুমি যেন এক নদী
ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চাইছো যা আমার আছে সব
দূরের নৌকার মাঝি মুচকি হেসে ডাক দিলে
হঠাৎ দেখি তুমি ভাসিয়ে নিয়ে চলেছো মেঘের মান্দাসে
1 Comments
বেশ ভালো লাগলো।
ReplyDelete