জ্বলদর্চি

দীর্ঘ কবিতা / সুমন দিন্ডা

ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   


ফাঁকি 

সু ম ন দি ন্ডা 


কিছু পাতা তাড়াতাড়ি বুড়ো হয়ে গেল
কিছু ফুল নেমে গেল মাটির ওপর
গাছের তো কাজ চাই 
রোজ জোয়ার আসে পেটে
ডালপালা নিভে গেলে দুপুরে 
বিশ্রামটুকু চাই বলে হাওয়ার দরজায়
মাথা গলিয়ে দেয় অসুস্থ বারান্দা 
ফল আসার সময় বড়ো কষ্ট
তবু খাটুনি সহ্য করে নিজেকে সামলাতে হয়
গাছেরা গরীব হলে তা ভালোই বোঝে
পেটের চারাটাকে বাড়াতে
একটু বসে নেয় কাজের ভেতর 
বড়ো বাবুরা তাকে ফাঁকি বলে

কে কাকে ফাঁকি দেয়
বীজ বুনে চলে গেছে যে
ক্ষেতের ভালোমন্দের খোঁজ যে রাখেনা
সে কি দেয়নি ফাঁকি 

বাতাসও তো ফাঁকি দেয় 
ফাঁকি দেয় মেঘ, বৃষ্টি এমনকি রোদও
অথচ সমস্ত অপরাধ এসে পড়ে 
কিশোরী গাছটার ওপর
যে কেবল বৃষ্টিতে ভিজে মেঘের আদর খেয়েছিলো

আরও একবার সে ফাঁকি দেবে
তারপর পাশের গাছটির সাথে 
গড়ে তুলবে একটা ছোটো সংসার
চারগাছটাকে মহীরুহ করে তুলতে

আর যদি সে সুযোগ না ঘটে 
তাহলে দুর্যোগের নদীতে বান ডেকে যাবে

এই ফাঁকির পরে আর কেউ ফিরবে না 

ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   


Post a Comment

1 Comments

  1. খুব ভালো হয়েছে সুমন।

    ReplyDelete