প্রেমের কবিতা তিনটি /শুভ্রা ভট্টাচার্য
প্রেমের কবিতা তিনটি
শুভ্রা ভট্টাচার্য
মননশীল প্রেমে রই
মনের ঘরে করল না বাস
তবু প্রেমিক বলে দাবী!
প্রেম কি শুধু শরীরমুখো!
যদিও মনের ঘরে চাবি।
রইলেম পড়ে জনম ধরে
ঐ প্রেমিক খোঁজার তরে,
শূন্য মনেই ফিরি যে একা
প্রেম মরীচিকা না ধোঁকা!!
প্রেমের ভাব বোঝা বড় দায়
মনের গহীনে মিলে না ঠাঁই,
সুখ-দুখে এক আত্মায় কই!
তবুও সে প্রেমিক সেজে রয়!
শরীরের বড্ড আলগা বাঁধন
জেনো ক্ষণস্থায়ী তাহার সুখ,
তাই এ ডাল ও ডাল ঘুরেও
ভরে না কভু প্রেমিকের বুক।
মনেরই ডোরে পড়লে বাঁধা
সে এক স্বর্গীয় অনন্য সুখ,
একমুখিতার অটল বিশ্বাসে
নাই সেথা সন্দেহ বিষের দুখ।
ভালবাসার ঐশ্বরিক সত্তা
পরাণের অনুভবে ভালবাসার দুটি সত্তা
একটি নিজস্ব সুখ শান্তি স্বার্থ সমন্বিতা,
সেখানে আছে শুধুই আমিত্বের মগ্নতা
পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা,নইলে জীবন বৃথা!
অন্যটি বৃহত্তর স্বার্থবিহীন জাগতিক
নেই সেথা আমিত্বের অস্তিত্ব বাস্তবিক,
সুখ দুঃখের সমতায় সদা সরলরৈখিক
চেতন অবচেতনে চিন্তনে মননে ঐশ্বরিক।
প্রথমটিতে সংকীর্ণ এক অধিকার বোধ
অন্যরে করে দাবি, সুবুদ্ধিরে করে রোধ,
পরনির্ভরতায় দুখের জীবনে বাড়ায় ক্রোধ
হিংসাপরায়ণতায় প্রাণহানিকর প্রতিশোধ।
কিন্তু দ্বিতীয়টির নিজস্ব অবাধ স্বাধীনতা
প্রাণমন আলোকিত করার আশ্চর্য ক্ষমতা
নিরুদ্বেগ আনন্দঘন স্বর্গীয় জীবনের মসৃণতা
বাহ্যিক আড়ম্বরহীন পরম শান্তির চলমানতা।
স্বাধীন প্রেম
মননের প্রেম সদা স্বাধীন ডানায় ওড়ে
সাধ্যি নেই কারো বাঁধবে তারে ঘরে,
চিরকালীন তাই শত বাধাতেও সে ফেরে
অতি যতনে লালিত সুখের নীড়টি গড়ে।
এমন ভালোবাসারই নাম বিশ্বজনীন
মুক্ত বিহঙ্গের মতো ঔদার্যে স্বাধীন,
ত্যাগের আলোর দ্যুতিতে উদ্ভাসিন
অন্তর আত্মা মাঝে রয় চিরবিলীন।।
তবুও কিছু প্রেম মনের মনিকোঠায়
অকালে পথ হারায় অতল গভীরতায়,
নামধামবিহীন এ ভালোবাসা অনুভবে
চিরকাল মরীচিকা হয়েই বাঁচে নীরবে।
উচ্চ কম্পাঙ্কের ভালোবাসির উষ্ণায়নে
রহি তাল লয় সুরে প্রাণের মেলবন্ধনে,
অদৃশ্য অপার্থিব শক্তির গম্ভীর অনুনাদে
কাঁপে হৃদয় গহীন আবেগের অনুরণনে।
বাহ্! চমৎকার।
ReplyDelete