আষাঢ়ে গল্পের আল ধরে -১৬
তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য
"কবির অন্তরে তুমি কবি"
" মোর আঠারো সাল হই গেলেক রে
হে দাদা, হে বাবা, রে বাবা
সাদি করাই দে রে
মোর জোড়ি জুমাই দে "
এই গানটি আমি নন্দিদির মুখেই প্রথম শুনি।
নন্দিদি যখনই বাসন মাজতো দরাজ গলায় গান গাইত। কোনো দিন তো তালিম নিয়ে গান শেখেনি। গরিব মানুষ নিজের খাবার জোগাড় করতেই বাড়ি বাড়ি ঠিকে ঝি এর কাজ করে। সব কাজেরই একটা ছন্দ আছে সেই ছন্দটি যে ধরতে পারে তখনই তার কাজ শিল্প হয়ে ওঠে। যে অন্তরে শিল্প বিরাজ করে সেই তো শিল্পী। বহুদিন আগের ঘটনা আমাদের বাড়িতে রাজমিস্ত্রী কাজ করছিল, অনেক পুরনো বাড়ি কিছু মনে হয় ঠিকঠাক হচ্ছিল। দেখতাম 22/23 বছরের একটি ছেলে কি অসাধারণ নজরুল গীতি গাইত আর ইটের পর ইট গাঁথত। যেন কাজ করতে করতেই তার রেওয়াজ চলত। বললো মাসে একবার বহরমপুরে ওস্তাদজীর কাছে তালিম নিতে যায়। আমার মনে হল শিল্প ওকে ছেড়ে বাঁচতে পারবেনা। আমার ব্যক্তিগত মত যিনি শিল্পের ভেতর প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তিনি সরাসরি ঈশ্বর, আল্লাহ্, গড, সেই সুপ্রিম পাওয়ার কে ছুঁতে পারেন।ভাটিয়ালি গান হল জেলেদের গান নৌকা বাইতে গেলে শক্তি লাগে, অতিরিক্ত শ্রমে ক্লান্তি আসে। ক্লান্তি লাঘব করার একমাত্র উপায় হচ্ছে গান। তেমনই সারিগান হচ্ছে ছাদ পেটানোর গান বা মাঝি দের গান। সারি বদ্ধ ভাবে এ গান গাওয়া হয় তাই নাম সারি গান। ছন্দ এবং তালের সমন্বয়ে সুরে কথা বেঁধে নিলেই গান সৃষ্টি হয়। গানের গতির ভেতর এমন আনন্দ চমক আছে মানুষকে সব দুঃখ কষ্ট ভুলে জীবনকে স্বর্গীয় আনন্দে ভরিয়ে দিতে পারে। গান মানে হচ্ছে এক পরম আশ্রয় ।
মাটি কাটার গান আছে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন রকম। কোদালের কোপে মাটি কাটার হিঁস- স্-সিঁস্- ধ্বনি বাদ্য ধ্বনি বলা চলে। শ্রমে সঙ্গীতে মূর্ত হয়ে ওঠে দেহের ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ছন্দোময় গতি।" মাটিকাটাও বড়ি বিষমরে কাম /যেসম দাম তেসম কাম /খালা চাপাও যোগা বুঝাও / তবে ঘরে ঘাঁউ পান্তা খাঁউ/ কোদাইল উলটালা কি পালটালা ব্যাঙরানী গীত গাহেলা কোদাই মাদল বাজাইল।
এই গানের মানে হলো....
মাটি কাটা বড় কষ্টের যেমন দাম তেমন কাজ।নিচু জায়গা ভর্তি করে গর্ত বুজিয়ে তারপর বাড়ি গিয়ে পান্তা খাও।কোদাল উল্টাচ্ছে পাল্টাচ্ছে ব্যাঙরানী গান গাইছে আর মাদল বাজার কাজ করছে মাটি কাটার শব্দ। সুন্দরবনে নদীবাঁধ বা ভেড়িনির্মাণের গান এটি।সৃষ্টিশীল অভিব্যক্তি যৌথ জীবন সংগ্রামের প্রেরণা এই মাটি কাটার গান।
ভারী জিনিস তুলতে গেলে লোকে যেমন সমস্বরে বলে " আরে দম লাগাকে হেইস্যা
আরে জোর সে মারো হেইস্যা।
রবীন্দ্রনাথের চন্ডালিকা তে প্রথম দৃশ্যে পুরুষ ও মহিলার প্রবেশ, ফসল কাটার আহবান এ গান "মাটি তোদের ডাক দিয়েছে আয় রে চলে আয়, আয়, আয়"।
একটানা বৃষ্টি না হলে মানুষ বৃষ্টির আশায় ব্যাঙের বিয়ে দেয়। গান গেয়ে গেয়ে বাড়ি বাড়ি পয়সা, চাল, ডাল আদায় করতে হয়। আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে ছায়া দে রে তুই/ ভুরুর ভুঁই এ ছিপছিপ পানি, ধান এর ভুঁই এ হাঁটু পানি/ আল্লাহ্ মেঘ দে আল্লাহ্ পানি দে/
জমিন হইল ফাডা ফুডা, আসমান হইল শুখা।
আল্লাহ্ মেঘ দে পানি দে...."
বন বাঁদাড়ে ঘেঁটু ফুল প্রচুর ফুটে থাকে। হালকা মিষ্টি গন্ধ আছে। সাদা,গোলাপী,ও বেগুনি রঙ মেলানো থোকা থোকা ফুলে গাছ আলো হয়ে থাকে। যেহেতু বনফুল তাই তেমন কদর নেই কথায় বলে গেঁয়ো যোগী ভিখ পায়না।ফাল্গুন মাসের সংক্রান্তিতে এই ঘেঁটু পুজো হয়। পুজোর জন্য কোনো পুরোহিতের দরকার পড়ে না। বাড়ির মহিলা ও পুরুষরাই এই পুজো করতে পারেন। লৌকিক বিশ্বাস এই পুজো করলে নাকি চর্ম রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পুজোর উপকরণ স্বরূপ লাগে একটি ঝুল কালি মাখা মুড়িভাজার খোলা, তেল হলুদে চোবানো একটি পরিষ্কার কাপড়ের টুকরো, তিনটি কড়ি, সিঁদুর, ধান দূর্বা, ছোট ছোট গোবর দিয়ে পাকানো তিনটি গোবরের বল বা মন্ড মতো আর লাগে ঘেঁটু ফুল।
খোলার উপর বস্ত্র খন্ডটি বিছিয়ে দেওয়া হয়। রাস্তার ধারে ছড়া কেটে এই পুজো করতে হয়।
ধামা বাজা তোরা কুলো বাজা
এল এল দ্বারে ঘেঁটু রাজা।
আমাদের এই ঘন্টাকর্ণ ওগো এই ঘন্টা কর্ণ
যেন ছেঁড়া ছাতা বর্ণ
কানের ঘন্টা তোরা বাজা বাজা
কানে ঘন্টা বাজা আমাদের ঘেঁটু রাজা
পুজোর শেষে ঐ খোলাটা ছেলেপুলেরা লাঠি দিয়ে ভেঙে দেয়। তারপর দৌড়ে পুকুরের জলে গিয়ে তারা হাত পা ধুয়ে আসে।
এরপর বাড়ির মহিলারা ঐ কাপড়টি বাচ্চাদের চোখে বুলিয়ে দেন। আর খোলার কালি থেকে বাচ্চাদের চোখে কাজল পরিয়ে দেন যাতে চোখ ভালো থাকে। এরপর হরিনাম গাইতে হয়।
ভাগ্যবানে কাটে পুকুর চন্ডালে কাটে মাটি
কুমোরের কলসি, কাঁসারির ঘটি
জল শুদ্ধ, স্থল শুদ্ধ, শুদ্ধ মহামায়া
হরিনাম করলে পরে শুদ্ধ হয় আপন কায়া।
সন্ধ্যাবেলা ছোট ছোট ছেলেমেরা রঙিন কাগজ ও কঞ্চি দিয়ে ছোট্ট ডুলি বানিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে
ঘেঁটু ঠাকুর কে সাজিয়ে কাঁধে করে ঘেঁটু ঠাকুরের গান গেয়ে বাড়ি বাড়ি ঘোরে চাল ডাল পয়সা চায়।
"ঘেঁটু যায় ঘেঁটু যায় গৃহস্থের বাড়ি
এক কাঠা চাল দাও কুমড়োর বড়ি
যে দেবে থালা থালা তার হবে কোঠা বালা
যে দেবে মুঠো মুঠো তার হবে হাত ঠুটো
যে দেবে এক পলা তেল তার হবে সোনার দেল।"
কোথায় কবিতা আর গান নেই বলুন তো? যারা কবিতা বা ছড়া দেখে মুখ বিকৃতি করেন
তারা হয়তো মনে মনে বলেন...
যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা।
অনেক সাধারণ মানুষকেই বলতে শুনেছি।
এ জীবনে কি বা আছে? যে কদিন আছ প্রাণ ভরে বাঁচো। এই সামান্য কথাটি কিন্তু সামান্য নয়।
জীবন দর্শনের অনুভব থেকেই মানুষ এ কথা বলেন। আমার কাজের বউ বলে "বউদি কোনো দিন চুরি করব না বাজে কাজ করব না। খেটে খাব দরকার হলে তোমার কাছে চাইব। উপর ওয়ালার কাছে ফাঁকি দেওয়া যায়না।
এর উপলব্দি এর জীবন দর্শন সত্যিই আমাকে ভাবাই। এক গরিব মানুষ যার নিজের কিছু নেই সেও পথের ভিখারিকে দু এক টাকা দেয় আমি নিজে দেখেছি আর বিস্মিত হয়েছি।
কখনো কোনো কোনো কবিতা কে আমার গান বলে মনে হয়েছে। মনে হয়েছে কবিতার এই কথা গুলির ভেতর সুর খুব জরুরি। অবশ্য পরে তা সুর হয়েছে " আবার আসিব ফিরে ধান সিঁড়িটির তীরে এই বাংলায়" এই কবিতা টি অসম্ভব লিরিকাল।
আরেকটি গানের কথা আমার মনে হয় এটি কবিতার মতো করে বললে বেশি ভালো হতো " নীল আকাশের নীচে এই পৃথিবী আর পৃথিবীর পরে এই নীল আকাশ, তুমি দেখেছ কি?"
আসলে আমার মনে হয় যা কবিতা তাই যেন গান। হাজারটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।গানকে যেন মনে হয় সাহিত্যচর্চার স্বর্গদ্বার।
আবার কোনো কোনো কবিতার অন্তর যেন গানে বাঁধা। রবীন্দ্রনাথ নিজেও কিছু কিছু কবিতা পরে সুরারোপ করেছিলেন।
রাস্তায় ট্রাক, অটো অথবা বাসের গায়ে কত সুন্দর এক লাইনের কবিতা বা ছড়া লেখা থাকে।
" ছিঃ ছিঃ তুমি এতো কাছে?" প্রথমে পড়লে হাসি পাবে। ভেবে দেখুন এই কথাটি কিন্তু সতর্ক বাণী।
আরেক জায়গায় দেখলাম " দেখলে হবে? খরচা আছে" অথবা " দেখবি জ্বলবি আর লুচির মতো ফুলবি",
" বেশি খেয়োনা বকবে বাবু"। এই সব বাক্য গুলির মাধ্যমে সমাজ জীবনের ঈর্ষাকরা কিংবা শাসন করার যে প্রবণতা আমাদের মজ্জাগত তা এখানে প্রকাশ পেয়েছে। বর্ধমানের রাস্তায় একটি বাসে লেখা ছিল " পাহাড় থেকে ঝর্ণা ঝরে আকাশ থেকে নয়, বর্ধমানে ধান ফলে কমলালেবু নয়"।
কি অসাধারণ ছোট্ট এই ছড়াটি। এই ছড়ার মাধ্যমে একটা জায়গার জলবায়ু, মানুষের জীবিকা, এবং উৎকৃষ্ট ফসল, কৃষিজাত পণ্যের বাজার সবকিছুই কিছুই বোঝানো হয়েছে।
জীবনের যেকোনো প্রয়োজনে মানুষ কবিতা অথবা গানের হাত ধরে। জীবন মানেই গতি আর গতির ভেতরেই আছে প্রাণ।
হকারের চিৎকারের চোটে তন্দ্রাকেটে গেল " দাদা খাবেন, বৌদি খাবেন, ছোট ছোট ভাই বোনেরা খাবেন / যত চুষবেন তত রস / না খেলেই আপনার লস..... জেলি লজেনস্ এর গায়েও যে ছন্দ থাকতে পারে তা কি ভেবেছি কখনো! রাস্তার সমস্ত ক্লান্তি এক নিমেষে দূর হয়ে যেতে পারে।
আবার এরই পেছন পেছন আসছে " নুন মাখিয়ে ছাল ছাড়িয়ে, কচি কচি দেব নাকি"? গরম কালে এই শশা টা সত্যিই খুব আরাম দেয়।
একসঙ্গে কত ছড়াকার যে হাজির সে আর বলব কী!
এটিএম কার্ড মোবাইল কভার
lasting forever
যদি লাগে remort guard
কিংবা ear bud
সবই পাবেন এক যাত্রায়
satisfaction পুরো মাত্রায়।
আমি তো এই ভদ্রলোকে বললাম দাদা আরেকবার বলুন। তারপর লিখে রাখলাম।
আমার বেশিরভাগ collection বর্ধমান লোকাল বা শিয়ালদা মেন লাইনে পেয়েছি। আগে অনেক স্মৃতিতে ছিল, এখন অনেক ভুলেগেছি।
এই ছড়াটির জুড়ি মেলা ভার।
দুচারটে খুন করুন
ল্যাজ ধরে বাইরে ফেলুন
কখনোই হবেনা জেল
এমন এক মজার খেল।
এই প্যাকেটেই তন্ত্র
আছে ইঁদুর মারার বিখ্যাত মন্ত্র।
বিজ্ঞাপনের জগতে গান এবং কবিতা বিপণি কে আরো গ্রহণযোগ্য করে তোলে এবং বাণিজ্যিক প্রচার ও প্রসার পায় সফলভাবে। খুব সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বন্ধু হেমেন্দ্র বোসের পিড়াপীড়ি তে সুলেখা কালির জিঙ্গল লিখে দিয়েছিলেন " সুলেখা কালি এই কালি কলঙ্কের চেয়েও কালো"।
সেই সময়ের বাজারে চায়ের জনপ্রিয়তা ছিলনা।
বিট্রিশদের প্রায় নাছোড়বান্দা অনুরোধে তিনি লিপটন কোম্পানির জন্য চায়ের বিজ্ঞাপন লিখে দিয়েছিলেন।
চা স্পৃহ চঞ্চল
চাতকদল চল
কাতলি (কেটলি) জল তল
কলকল হে।
রবীন্দ্রনাথ ছাড়া কে পারবেন এমন করে লিখতে?
মাথার তেল কুন্তলীন এর বিজ্ঞাপনের জন্য তিনি বিজ্ঞাপন লিখে দিয়েছিলেন।
আমাদের বোকা বাক্স খুললেই বিজ্ঞাপনের গানের জয়জয়কার। বোরোলীনের এড আমাদের মনের বিরাট জায়গা নিয়ে আছে শ্রাবন্তীদির বিখ্যাত মিষ্টি গলা " সুরভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বোরোলীন।
কাঁটা ছেঁড়া বা শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিন"।
গেঞ্জির বিজ্ঞাপন মনে আছে?
নবাব কিনলে আরাম ফ্রী
শুনছি বলছে দিচ্ছে কী?
নবাব কিনলে আরাম ফ্রী
এবার আরাম পাব ফ্রী
গ্নিসারিন সাবানের প্রচারে যে ছড়া মনে পড়ছে।
এল শীতের রুক্ষ শুষ্ক দিন
প্রিয় ত্বকের যত্ন নিতে চাই চেসমী গ্লিসারিন।
দিনের শেষে রুক্ষ বেশে
ত্বকের লাবণ্য আনে মৌলি
সে যে মৌলি গ্লিসারিন।
প্রেসার কুকারের এড " বৌ কে ভালোবাসে যে/ প্রেসটিজ কে ভুলতে পারে কি সে?"
এটা বোধহয় পেনের বিজ্ঞাপন
পেন পেন পেন পাইলট পেন
সিঁড়ি দিয়ে নেমে এল সুচিত্রা সেন
সুচিত্রা দি সুচিত্রা দি তোমার হাতে কী?
উত্তমদার জন্য মিষ্টি এনেছি।
এই যে কাব্য সৃষ্টি কি অসাধারণ ভাবা যায়?
কবিতার বা ছড়ার কথা আর গানের কথা লিখতে বললে আমি তো লিখেই যেতে পারি। গান ও কবিতা আসলে আমার অন্তরের আশ্রয় আমার গৃহ। একটা দিনও কি আছে যেদিন গান কিংবা কবিতার কথা ভাবিনি? অনেক মানুষ আমাকে বলেছেন তাদের নাকি কবিতা ভালো লাগেনা গল্প ভালো লাগে। তাদের বলি এই ছড়া কে লিখেছে জানিনা, কিন্তু খেলার সময় তো সবাই খেলেছ।
"এলোটিন বেলোটিন সইলো
কিসের খবর পাইল
রাজা মশাই রাজা মশাই একটি বালিকা চাইল।
কোন বালিকা চাইল? "
" ঐ আসছে মেজো জামাই
গামছা মুড়ি দিয়ে ও গগামছা নেবনা
মেয়ের বিয়ে দেবনা
মেয়েকে দেব সাজিয়ে টাকা দেব বাজিয়ে।"
ইকিড় মিকিড় খেলেনি বাংলার কোন বাচ্চা বলতে পারেন?
ইকিড় মিকিড় চাম চিকির
চামে কাটা মজুমদার
ধেয়ে এল দামুদর
দামুদরের হাঁড়িকুড়ি
দুয়ারে বসে চাল কাঁড়ি
চাল কাঁড়তে হল বেলা
ভাত খাও গো দুপুর বেলা
ভাতে পড়ল মাছি
কোদাল দিয়ে চাঁচি
কোদাল হল ভোঁতা
খ্যাঁকশিয়ালের মাথা।
যতদিন জীবন থাকবে ততদিন ছন্দ থাকবে। থাকবে মানুষের গতি থাকবে ভ্রমণ।
প্রত্যেক মানুষের অন্তরে কবিতার বাস।
গানের ভেতর কবিতার আবাস।
মানুষের দুটি আকাশ একটি চন্দ্র, সূর্য, তারাদের। আর একটি গান ও কবিতার সম্মিলিত আকাশ।
গান কবিতার মেলবন্ধনেই তো সৃষ্টি হয় সম্পর্ক, এক মন আরেক মনের খবর জানতে পারে।
জানাতে পারে গানে কবিতায় প্রিয়জন কে আপন হৃদয়ের আকুতি " আমি হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল শুধাইল না কেহ "।
0 Comments