জ্বলদর্চি

নূতন শিক্ষা নীতি ২০২০ (NEP- 2020) - কিছু প্রশ্ন পর্ব - ২/অধ্যাপক সজল কুমার মাইতি

নূতন শিক্ষা নীতি ২০২০ (NEP- 2020)  - কিছু প্রশ্ন 
পর্ব - ২

অধ্যাপক সজল কুমার মাইতি


আমাদের জাতীয় শিক্ষা নীতির ভিশন
আমাদের জাতীয় শিক্ষা নীতির মূল লক্ষ্য হল এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা যার মূল ভিত্তি হবে ভারতীয় সমাজ, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও পরম্পরা। এমন এক শিক্ষা ব্যবস্থা যা ন্যায়সংগত, স্থায়ী ও উদ্দীপক সমাজ গঠনের সহায়ক হবে। সবার জন্য উচ্চ গুনমান সম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা এই নীতির মূল লক্ষ্য। এর ফলে বিশ্বের দরবারে ভারত জ্ঞানের এক সুপার পাওয়ার এ পরিনত হবে। এই নীতির লক্ষ্য হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এমন পাঠ্যক্রম ও শিক্ষাবিদ্যার কাঠামো তৈরি করতে হবে যার মাধ্যমে প্রতিটি ছাত্রকে নিজের মৌলিক কর্তব্য সম্পর্কে এক গভীর সম্মানবোধ জাগাবে ও  দায়িত্বশীল করে তুলবে। সাংবিধানিক মূল্যবোধ গড়ে তুলবে, নিজের দেশের প্রতি ভালবাসার বন্ধন গড়ে তুলবে আর এই পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নিজের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতাবোধ গড়ে তুলবে। এই ভিশনের আরও লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভারতীয় হিসেবে এক গভীর দেশাত্ববোধ জাগ্রত করা। এই ভাবধারা কেবল চিন্তায় নয়, মানসিকতায় ও কাজের মাধ্যমে বদ্ধমূল হতে হবে। শুধু তাই নয়, জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে মানবিক অধিকার, সুস্থায়ী উন্নয়ন ও জীবনযাত্রা আর বিশ্ব মঙ্গলের জন্য অধিক দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রকৃত অর্থে এক বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠতে হবে। 

শিক্ষা নীতির ভিশন হিসেবে উপরোক্ত লক্ষ্য নিয়ে বলার বিশেষ কিছু নেই। কিন্তু এই লক্ষ্য পূরনের বাস্তবায়ন বড়ই কঠিন, বড়ই জটিল। পরিকাঠামোজনিত সমস্যা সবচেয়ে বড় সমস্যা। তার জন্য অর্থের যোগান সত্যিই দুষ্কর। উপযুক্ত পরিকাঠামো, যথেষ্ট উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষকের ব্যবস্থা করা বাস্তবে সুকঠিন।

খন্ড ১: স্কুল শিক্ষা 
নূতন শিক্ষা নীতি বর্তমান নীতির লক্ষ্য নির্দেশ এ কিছু পরিবর্তন করতে চায়। এখনকার প্রচলিত ১০+২ স্কুল শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন করা হচ্ছে। পাঠক্রমে ও শিক্ষাবিদ্যায় নতুন ৫+৩+৩ এই পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বতর্মান প্রচলিত পদ্ধতিতে ভিত্তিমূলক শিক্ষার ( বয়স ৩ - ৬) কোন ব্যবস্থা ছিল না। প্রথম থেকে দশম ( বয়স ৬ - ১৬) প্রথাগত শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ ( বয়স ১৬ - ১৮) শ্রেনী পর্যন্ত স্কুল শিক্ষার ব্যবস্থা ছিল। প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে ভিত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বয়স ৩ - ৮ পর্যন্ত ভিত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আবার দুটি ভাগ ( বয়স ৩ - ৬) এবং ( বয়স ৬ - ৮)। বয়স ৩ - ৬ অব্দি অঙ্গনওয়াড়ি বা প্রাক স্কুল শিক্ষা বা বালবাটিকা শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত। তিন বছর ধরে এই শিক্ষা চলার কথা। এর পরে ভিত্তিমূলক শিক্ষার দ্বিতীয় ভাগ। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনী ( বয়স ৬ - ৮)। একটি সুদৃঢ় প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষা ( ECCE) ব্যবস্থা তিন বছর বয়স থেকে নূতন শিক্ষানীতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হল সার্বিক শিক্ষা, উন্নয়ন ও সর্বাধিক মঙ্গল।

গ্রামাঞ্চলে বিশেষকরে আর্থ সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলি এর রূপায়ন শুধু কঠিন নয়, দুঃসাধ্য। পরিকাঠামো গড়ে তুললেও উপযুক্ত সংখ্যক শিক্ষক পাওয়া কঠিন।

প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষা 
৮৫ শতাংশের অধিক শিশুর ক্রমবর্ধমান মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে ৬ বছর বয়সের আগেই। শৈশবকালই শিশুর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যসম্মত বিকিশ ও বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে, কোটি কোটি শিশুদের এই উন্নতমানের ECCE ( Early childhood Care and Education) আদৌ সহজলভ্য নয়, বিশেষকরে পিছিয়েপড়া আর্থ- সামাজিক অবস্থা থেকে উঠে আসা শিশুদের ক্ষেত্রে। ECCE তে অধিক বিনিয়োগ সব শ্রেনীর শিশুদের উন্নতমানের শিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে পারে ও সারাজীবন এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে নিজেদের বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হতে পারে। বিশ্বব্যাপী উন্নত প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে সকল শিশুকে স্কুলে প্রথম শ্রেনীতে পড়ার উপযুক্ত করে তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।
প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষা (ECCE) হল এমন এক নমনীয়, বহুমুখী, বহুস্তর বিশিষ্ট, কর্মবহুল, অনুসন্ধিৎসামূলক শিক্ষা। এতে থাকবে বিভিন্ন বর্ণমালা, ভাষা, সংখ্যা, গনন, রং, বিভিন্ন আকৃতি, ইন্ডোর আউটডোর খেলা, পাজল (Puzzle), চিত্র অঙ্কন, রঞ্জিতকরন, যুক্তির চিন্তাধারা, সমস্যা সমাধানমূখী, বিভিন্ন শিল্পকর্ম, নাটক, পুতুল নাচ ও সংগীত - এই সবের এক সমষ্টি। এর অন্যতম লক্ষ্য সামাজিক ক্ষমতা বৃদ্ধি, সংবেদনশীলতা, ভাল ব্যবহার, শিষ্টাচার, মূল্যবোধ, ব্যক্তিগত ও সার্বজনিক পরিচ্ছন্নতা, দলবদ্ধতা ও সহযোগিতার শিক্ষা। প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষা (ECCE) এর সার্বিক লক্ষ্য হল এই সকল ক্ষেত্রে সর্বাধিক ফল প্রাপ্তি: শারীরিক ও গতিশীলতার উন্নয়ন, সম্মিলিত উন্নয়ন, সমাজবদ্ধ আবেগপূর্ণ মূলবোধের উন্নয়ন, কৃষ্টিগত ও শিল্পগত উন্নয়ন, যোগাযোগ ক্ষমতার উন্নয়ন ও প্রারম্ভিক ভাষা, শিক্ষা ও সংখ্যা শিক্ষনের উন্নয়ন।

প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষার জন্য একটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও বিদ্যাচর্চা কাঠামো তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। এটি কেবল ৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে NCERT এর ওপর। দুই অংশে এই কাঠামো কার্যকরী হবে। একটি উপকাঠামো ০-৩ বছর বয়সের শিশুদের জন্য। আর একটি উপকাঠামো ৩-৮ বছর বয়সের শিশুদের জন্য। এই কাঠামো তৈরি হবে মূলত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শুদ্ধ অভ্যাস, ECCE এর ওপর বিভিন্ন গবেষণার ফল ও নির্দেশিকার ভিত্তিতে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ বছরের উন্নত মানের শিল্প, গল্প, গান, কবিতা, খেলা ও আর ও অনেক কিছু। এই সকল নির্দেশিকা শিশুদের বাবা মায়েদের জন্য যেমন তেমন প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য ও নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।

আমাদের দেশের প্রতিটি অঞ্চলে উন্নত মানের প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষা (ECCE) ক্রমান্বয়ে চালু করাই আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতির মূল উদ্দেশ্য। বিশেষ নজর ও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জেলাগুলির ক্ষেত্রে ও আর্থ সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলিতে। প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষা দেওয়া হবে খুব গুরুত্ব সহকারে। ব্যাপকহারে ও শক্তিশালীভাবে এই শিক্ষা দেওয়া হবে এইরূপ চার ধরনের মাধ্যমে। ক) কেবলমাত্র শুধু অঙ্গনওয়াড়ি দ্বারা; খ) অঙ্গনওয়াড়ি সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়; গ) কমপক্ষে ৫/৬বছর পর্যন্ত প্রাক প্রাথমিক বিদ্যানিকেতন সঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যানিকেতন; ঘ) কেবলমাত্র প্রাক প্রাথমিক বিদ্যানিকেতন। এই সকলপ্রতিষ্ঠানে বিশেষভাবে শিক্ষন প্রাপ্ত কর্মচারী / শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষার (ECCE) সার্বজনিক সুযোগ পাওয়ার জন্য সারা দেশ জুড়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিকে অধিক শক্তিশালী করতে হবে উন্নত পরিকাঠামো দিয়ে, খেলার সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বা শিক্ষক সরবরাহ করতে হবে প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে। প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি করতে হবে। যথেষ্ট আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকবে তাতে। সুগঠিত বাড়ি হতে হবে যাতে উন্নত শিক্ষার পরিবেশ থাকবে। প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুরা কার্যসমৃদ্ধ পাঠের মাধ্যমে নিকটবর্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবে। এতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ অনেক সহজ হবে। প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ির ছাত্র, শিক্ষক ও ছাত্রদের পিতামাতা প্রাথমিক স্কুলের বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারে, তাদের ছাত্রদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারে। বা ঠিক উল্টো প্রক্রিয়া চালু থাকতে পারে। এরফলে পরস্পর লাভবান হতে পারে।

পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতিটি শিশুকে " প্রস্তুতিমূলক ক্লাস"  বা "বালবাটিকা" ( অর্থাৎ প্রথম শ্রেনীর আগে)  এ ভর্তি করতে হবে। এই সব ECCE কেন্দ্রগুলিতে একজন প্রশিক্ষিত শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূলক। প্রস্তুতি ক্লাসে পড়ানো মূলত খেলার মাধ্যমে হবে। মূল লক্ষ্য থাকবে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা, মানসিক গতিশীলতা বৃদ্ধি বিশেষ করে প্রারম্ভিক শিক্ষা ও সংখ্যার পরিচয়ের ওপর জোর দিতে হবে। মিড ডে মিলের ব্যবস্থা এই প্রস্তুতি ক্লাসের শিশুদের জন্য ও বরাদ্দ করতে হবে। নিয়মিত হেল্থ চেক আপ ও শারীরিক বৃদ্ধি যা বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়িগুলিতে চালু আছে তা প্রস্তুতি ক্লাসের অঙ্গনওয়াড়ির শিশুদের ও প্রাথমিক ক্লাসের শিশুদের জন্য ও চালু রাখতে হবে।

নতুন ও পুরোন সকল অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী/ শিক্ষক কে NCERT দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনুসারে প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি কর্মী/ শিক্ষক যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে ১০+২ বা অধিক তাদের ৬ মাসের সার্টিফিকেট এবং যারা এর চেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন তাদের এক বছরের ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট ECCE এর দিতে হবে। এইরকম প্রোগ্রাম DTH ও স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে দিতে হবে যাতে তাদের বতর্মান দায়িত্ব তারা সঠিকভাবে চালিয়ে যেতে পারে। মাসে কমপক্ষে একটি কন্টাক্ট ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্য সরকার গুলিকে প্রশিক্ষক দিয়ে এই ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। 
উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় ধর্মশালায় এই ধরনের উন্নতমানের ECCE গড়ে তুলতে হবে। অথবা অন্য ধরনের প্রাক স্কুল পাঠের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
উন্নত মানের ECCE এর জন্য তার পাঠক্রম ও বিদ্যচর্চার দায়িত্ব MHRD এর। প্রাকবিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার মধ্যে কন্টিনিউটি বজায় রাখতে হবে। এই সকল পরিকল্পনা ও রূপায়নের পুরো দায়িত্ব MHRD এর। এই কাজে অন্য মন্ত্রণালয়ের ও একনিষ্ঠ সহযোগিতা একান্ত কাম্য। এই মন্ত্রণালয়গুলি হল-  Women and Child Development ( WCD), Health and Family Welfare ( HFW) ও Tribak Welfare। বিদ্যালয় শিক্ষার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে যার মূল কাজ হবে প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষার রূপায়নে অনবরত লক্ষ্য রাখা ও নির্দেশ দান চালিয়ে যাওয়া যাতে বিদ্যালয় শিক্ষা ও প্রারম্ভিক শিশু তত্ত্বাবধান ও শিক্ষার মধ্যে সম্পূর্ণ সংহতি গড়ে ওঠে।

নীতি নিয়ে বিশেষ কিছু বলার হয়তো সুযোগ নেই। কিন্তু, এর সফল রূপায়ন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে কতদূর সম্ভব কেবল ভবিষ্যতই বলতে পারবে। পরিকাঠামো তৈরি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার, তার জন্য অর্থের যোগান সেও বড় প্রশ্নচিহ্ন। উপযুক্ত সংখ্যায় উপযুক্ত শিক্ষক পাওয়া, নিয়োগ সত্যিই কঠিন। এই বিশাল দেশে যেখানে বহু সংখ্যক ব্যক্তির এখনো দুবেলা দুটি স্কোয়ার মিল জোগাড় করতে প্রান ওষ্ঠাগত, সেখানে এই সুদূরপ্রসারী স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সত্যিই কঠিন নয়, দুঃসাধ্য। প্রতিটি জিনিস মনিটরিং করা ও সহজ নয়। তবুও আশা করা অন্যায় নয়।
  ( চলবে) 

সজল কুমার মাইতি।
প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, বানিজ্য বিভাগ, হুগলী মহসীন কলেজ। পূর্বতন অধ্যাপক, গোয়েঙ্কা কলেজ অফ কমার্স এ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন, কলকাতা। চৌত্রিশ বছরের অধিক কাল ইউ জি ও পি জি শিক্ষা দানের অভিজ্ঞতা। বতর্মানে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কলেজের বানিজ্য বিষয়ে সিনিয়র সার্ভিসের একমাত্র অধ্যাপক।

ক্লিক করে পড়ুন। কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের স্মৃতিগদ্য। 👇
 
পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments