জ্বলদর্চি

আমার অনুভূতিরা /সুবর্ণা নাগ


আমার অনুভূতিরা 
সুবর্ণা নাগ

(১) 
এমন যদি হয়, 
ট্রেন আসার ঢের দেরি, আর
হঠাৎ ঘোষণায় কোনো special গাড়ি আসছে! 
ওই চকচকে চোখ,
ঠোঁটের কোনে তৃপ্তির হাসি খেলে যায়। 
নিয়ম মাফিক পাওনা গুলো
তেমন সুখের নয়। 
দেখা হোক তবে 
"হঠাৎ দেখার" মত ।


(২) 
আজকাল ব্রিজের নীচ দিয়ে যেতে ভয় করে, 
আতঙ্ক থেকে অবিশ্বাসের জন্ম হয়েছে।
তবু বিশ্বাস করি, 
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার আগে, 
একটা ফোন আসবে। 
ঠিক আসবে।


(৩) 
এক ঝড় এসেছে, 
এলো মেলো করছে চারদিক, 
ঠিক মাঠের মাঝে দাড়িয়ে আছি আমি!!
অবাক হয়ে দেখছি , 
কিসের এতো দাপট?
সৃষ্টির জন্য শ্রম আর
ধ্বংস করতে শুধু ইচ্ছে লাগে।

(৪) 
সবাই আছে , 
শুকতারাটা সন্ধ্যে হলে 
নাম বদলায় মাত্র। 
জীবনটা তো পাঠশালা, 
আমরা সময়েরই ছাত্র।
একটু ধৈর্য্য ধরো পান্থ, 
আসলে তুমি মৃতের বেশে
ভীষণ রকম জ্যান্ত।।


(৫) 
অন্যরকম শুনতে চাইলে, 
যেতে হবে সেই পাইন বনে,
যেখানে রোদ্দুর আসে আলপনা হয়ে ।
অন্যরকম শুনতে চাইলে ,
লিখতে হবে নতুন উপন্যাস, 
যেখানে  তার মলাটেই
রহস্যের সমাধান থাকবে।
আমি অন্যরকম শোনাতে নয়,
হতে চাই অন্যরকম।
বলতে চাই, 
তুমি আমি উপগ্রহ হবো,
তোমার মত আমিও বুকে 
"এস্কেপ ভেলোসিটির "
ইচ্ছে পুষি।


জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 

(৬) 
এমন এক বাঁক নিয়েছে নদী,
সে সাগরের পথ  নয়, 
আদিম কিছু আঘাত আজও, 
জীবনকে করে ক্ষয়।
তবু চরৈবেতি! 
বিশ্বাস করে হেরে যাব
এটাই বুঝি জয়।।



(৭) 
রোজ কিছু অলীক চিত্র ধরা পরে অ্যালবামে, 
অজানার নিমন্ত্রণ আসে 
নীল খামে, 
ভোরের পরেই আবার
সন্ধ্যে নামে,
ভাবনায় জাগে বিস্ময়! 
চরিত্র এমনও হয়?
 কিছুক্ষন পর বুঝি, 
বিস্ময় চিরন্তন নয়!!
সৃষ্টিই থেকে যায়..
বিস্ময় মানে সময়ের ক্ষয়!!


(৮) 
সেদিন একা অমাবস্যার রাতকে
কাঁধে নিয়ে হাটছিলাম,
অন্ধকার এক গলি দিয়ে..
দেহের আহিরিনি ৺দাড়িয়ে নির্বিকারে, 
একাকীত্বের ঘরে তাকে ডেকে 
নিতে চাই , 
এক বুক ঘৃণায় ভরে দিতে চাই
তার স্মৃতি!
ভুল করে নাম জিজ্ঞেস করেছিলাম, 
সে বলেছিল ' জ্যোৎস্না '।
না আমার আঁধারই ভালো।
আবার ফিরে এলাম শূন্যতায়।।

Post a Comment

3 Comments

  1. জ্বলদর্চি পত্রিকার দীর্ঘ ও নিরঙ্কুশ যাত্রা পথ কামনা করি।।

    ReplyDelete
  2. দারুন কবিতা দিদিভাই

    ReplyDelete
  3. অপূর্ব! খুবই ভাল লাগল।

    ReplyDelete