বিনোদ মন্ডল
উদাসীনা
তুমি সারা রাত
কান্না ধারাপাত
তুমি সারা দিন
প্রত্যাশাবিহীন।
তুমি মানে শোক
চ্যুত অমর্তলোক।
তুমি আনখশির
পরিখা - প্রাচীর।
না-মানুষ
পথের বাঁকে মতের ফাঁকে
বিপথগামী !
ঊর্ধ্বশ্বাসে পালায় ত্রাসে
শ্রীমদ্ স্বামী !
পলাতকা নয় তো বোকা
গোবরগণেশ
প্রিয়ংবদা - ভয় তো খোকা
পলিতকেশ !
সাত রাজা ধন মাণিক রতন
মস্ত দামী
কোন্ শালা বে ! কেবল ভাবে
নষ্ট আমি !
জৌলুস
আলো আসে শার্সিতে
ছায়া নিউ জার্সিতে
কালের পিঠে কালশিটে
ক্যালানি খায় মারপিটে
মিডিয়া খোঁজে হারজিতে
ইঙ্গ - বঙ্গ - ফার্সিতে !
কারণ পারদর্শিতে
বিবাদ বাঁধায় পড়শিতে !
আলো ছায়ার দোষ নাই
মনের জোলুস রোশনাই !
অনাগতের ডাক
যেমন বালির চড়া
যেমন বারুদ বুক
হাপর ওঠাপড়া
ঘুমন্ত বুজরুক
যেমন হড়পা বান
আজানডাকা ভোর
রঙিন জলকামান
জাগতে রহো শোর !
পাথর শ্যাওলা মাখা
না- ফাঁস হওয়া ষড়
আদর আগলে রাখা
জ্যৈষ্ঠদিনের ঝড় !
যেমন জাগ্রত ম্যানগ্রোভ
বারব্রতহীন মিছিল
নগ্ন মায়া : মোহ এবং লোভ
স্বপ্নউড়ান যেমন শঙ্খচিল !
এত্তেলা
যেসব কথা বলার কথা কবির --
সব সে কথা পাঁক এবং পায়েস ;
সব সে কথা রাতের মতো রঙিন,
আঁতের এবং আতরমাখা আয়েস!
সেসব কথা বলার ছিল অভি'র
ভাবনাগুলো জানিতো তার গভীর
বলতে গিয়ে আগুনখেকো শলা
কানমলা দেয় রাতজাগা পথভোলা
মঞ্চ থেকে প্রলাপ ঝরায় নবী;
হাড়হাভাতে পাঁজর বানায় ভেলা
সেসব কথা অভি'তো জানে সবই
তবুও কেন উদয়নের উধাও এত্তেলা!
অস্তিত্ব
এখন আমার অখণ্ড অবকাশ
পলাশ ফাগুন জলসা ফুরানো দিন ;
কমন্ডলু উপচানো প্রস্তর উপবাস
আঙুলে ওষ্ঠে উধাও নিকোটিন !
আমার আমিকে শাসায় শোণিতদেশ
নীরবে বয়স থাবায় মগজক্ষীরে
স্মৃতির পারদে পাখসাট প্রণিবেশ
অলাতচক্র ব্রহ্মপুত্র নীরে !
এখন আমার কাটে দিন মন্থর
রাতে চাঁদ ডাকে। অনিবার হাতছানি।
মদালস চোখে লিবিডো নিরন্তর
জীর্ণকুটির শোনে বাতাসের কাতরানি !!
🍂
0 Comments