জ্বলদর্চি

ইস্কুল ফিস্কুল(পর্ব – ৩)/সৌমেন রায়



ইস্কুল ফিস্কুল(পর্ব – ৩)

সৌমেন রায়

চিত্র - অসিত কুমার সেনাপতি

মুখবন্ধ

  শিক্ষক নয়, সমগ্র স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাই কোন একটি জাতির মেরুদন্ড। কারণ স্কুল শিক্ষা শুধুমাত্র বিষয়গত জ্ঞান সরবরাহ করে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে না। সেই সঙ্গে  সহমর্মিতা,সমানুভূতি মূল্যবোধ গড়ে তোলে, সামাজিকতা শেখায়, আত্মবিশ্বাসী করে, আত্মমর্যাদা বোধ গড়ে দেয়, প্রকৃতির শুশ্রুষা করতে শেখায়। এইসব গুনই তাদের ভবিষ্যতের সুনাগরিক করে তোলে। পশ্চিমবঙ্গে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী পড়ে সরকারি বাংলা মাধ্যম স্কুলে। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গের মেরুদন্ড যদি বলতে হয় তাহলে তা হল বাংলা মাধ্যম বিদ্যালয়। কেমন চলছে এই বিদ্যালয়গুলি? ঝকঝকে পরিকাঠামোর অন্তরালের খবর কি?  গভীরে গিয়ে সেসব অনুসন্ধান করাই এই লেখাগুলির উদ্দেশ্য। কোন গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে আক্রমণ করা, অসম্মান করা কোন ভাবেই এই লেখাগুলির অভিপ্রায় নয়।

লেখাগুলিকে বোধহয় ‘কথকতা মূলক প্রবন্ধ’ বলা উচিত। প্রথম তিনটি লেখা আশি দশকের স্কুল নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক লেখা। পরের লেখাগুলি বর্তমান অবস্থার বিশ্লেষণ। লেখাতে সচেতন ভাবে আগের সময় ও এখনের সময়ের মধ্যে তুলনা করা হয়নি। কারণ দুটি ভিন্ন সময়ের উপাদান ভিন্ন, চাহিদা ভিন্ন। তাই তাদের মধ্যে লিখিত তুলনা করা অনুচিত। পাঠক চাইলে মনে মনে সে তুলনা করতে পারেন ।সেই কারণে প্রথম তিনটি লেখায় অতীতের কিছু তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে গল্পের ছলে। শেষের দিকে অন্ধকারের মধ্যে আলোক বর্তিকা সন্ধানের চেষ্টা করা হয়েছে। বেঁচে বর্তে থাকতে গেলে যা করতেই হয়। লেখার মধ্যে যে ঘটনাবলীর উল্লেখ আছে সেগুলি সম্পূর্ণ সত্য। কোথাও কোনো অতিরঞ্জন নেই। তবে বিড়ম্বনাএড়াতে স্থান, কাল পাত্র কখনো উহ্য আছে, কখনো বা পরিবর্তনকরে দেওয়া হয়েছে।

জানি এ লেখার ক্ষমতা নেই কোথাও কোন তিল মাত্র পরিবর্তন করার। সর্বজনীন শিক্ষা এখন এতটাই গুরুত্বহীন যে কেউ হয়ত এ লেখা পড়েই দেখবেন না। তাহলে লিখছি কেন?  আসলে লেখকও এই ব্যবস্থারই অংশ। বহমান পরিবর্তনের সাক্ষী। তাই এইগুলোকে লেখা না বলে আত্ম সমালোচনা বলতে পারেন বা আর্তনাদও বলতেপারেন!

আশি দশকের স্কুলবেলা (৩)

     (আগের পর্বের পর)

সাম্য- বিদ্যালয় ছিল আমাদের মহা মিলন ক্ষেত্র। তখন সমাজের জাতপাত ,ধর্মের গোড়ামি তো কম ছিল না। কিন্তু স্কুলের গণ্ডি ঢুকলেই জাদু বলে সে সব যেন মুছে যেত। ফুটবলার শম্ভু মান্ডি, নিষিদ্ধ জগতের বার্তাবহ রাখহরি, তারাপদ দুলে, ভিন্ন ধর্মের আজিজ, সফিকুল প্রত্যেকে নম্বর পাওয়া ছেলেদের সঙ্গে সম মর্যাদায় অধিষ্ঠিত ছিল। পরিহাস প্রিয় সিরাজউদ্দিন এর সেই বয়সেই একটা জীবন বোধ গড়ে উঠেছিল, সেটা এখন বুঝতে পারি। হোস্টেলে সুব্রত, প্রশান্ত, স্বরূপ, ভানু, বংশীদের সারি সারি বেড দেখে আমাদের হিংসা হতো। দারুন মজা লাগত যখন তাদের কাছে শুনতাম হোস্টেল সুপার সত্যবাবুর( তিনি শিক্ষক ছিলেন,বাড়তি দায়িত্ব হিসাবে হোস্টেল দেখতেন) কাছে রামায়ণ দেখার পারমিশন নিয়ে তারা দেখে এসেছে  'কলযুগ কা রামায়ণ'। বৈকালিক আড্ডাও খেলার দৌলতে হোস্টেলের ছেলেরা সবাই আমাদের বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। টিফিনে টিফিন করার চল খুব একটা ছিল না। মিড ডে মিলও ছিল না( পাউরুটি প্রাইমারি স্কুলে দেওয়া হতো)। কেউ কেউ ছোলা-বাদাম ভাজা বা ঘুগনি খেত। আর গ্রীষ্মকালে সকলের পছন্দ ছিল কুড়ি পয়সার কাঠি আইসক্রিম। বিকাশ থাকতো মামাবাড়িতে, কাছে ছিল একটা জঙ্গল। ওর ভালো ইংরেজি - বাংলা লিখতে পারাটা আমরা ভাবতাম জঙ্গলের জল হাওয়ার গুণ। প্রদ্যুৎ কৃষি কাজ আর পড়াশোনা দুটোই সমদক্ষতা নিয়ে করতো,যা তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাশীল করে তুলেছিল। স্কুল পরিবেশে আমরা কখনও নিজেদের নিরাপত্তা হীন মনে করিনি। নিজেদের কখনও নিঃসঙ্গ মনে হয়নি। অকৃতকার্য হয়ে বা শিক্ষকের ধমক খেয়ে কেউ ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছে এমন কখনও শোনা যায়নি। বেগনা (নিশিন্দা) গাছের ডালগুলো বেশ সুন্দর ছড়ির কাজ করতো। স্কুলের আশে পাশে সে গাছের জঙ্গল হতে পারেনি কিছু শিক্ষকের সৌজন্যে। অবশ্য নির্মম প্রহার করতেও দেখিনি কখনো। শিক্ষকরা কেউই বিশ্ব সাহিত্য, সমাজবিজ্ঞান বা আধুনিক বিজ্ঞানের দিকপাল ছিলেন না। আর ছিলেন না বলেই বোধহয় নিজ কাজে নিষ্ঠাবান হয়ে কিশোর বয়সী ছেলেমেয়েদের নিবিষ্ট মনে পাঠদান করতে পেরেছিলেন।

বনের পাখি -বিদ্যালয় এর বাইরের জীবনটাও স্কুলবেলা। তাই খানিকটা আলোকপাত না করলে বোধহয় অসম্পূর্ণ থাকবে। আমরা বাড়ি থেকেই ছিলাম ছজন পোড়ো। দলবেঁধে কাঁচা রাস্তা দিয়ে যেতাম স্কুলে। সে রাস্তার দু'ধারে দৃশ্যপট পাল্টে পাল্টে যেত ঋতু বিশেষে, রাস্তার রূপটিও পাল্টাত। যাওয়া-আসার পথে সদ্য মুকুলিত আম গাছে, কুলগাছে ঢিল ছোড়া আমাদের অবশ্য কর্তব্য বলে মনে করতাম। স্কুল থেকে ফিরে চট দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি ফুটবলে লাথি মারতাম, কারণ ফুটবল কেনা স্বপ্নেরমতছিল। সময় বিশেষে বউ বাচকি, এক্কাদোক্কার মতো অধুনালুপ্ত খেলাগুলো খেলতাম। খেলার থেকে ঝগড়া হত বেশি। গ্রীষ্মকালে পুকুর ধারে ঝুঁকে থাকা খেজুরগাছ, তেঁতুল গাছ গুলো হয়ে যেত আমাদের ড্রাইভিং বোর্ড। সকাল স্কুলটাও ছিল বেশ মজার ।স্কুল থেকে ফিরে সোজা পুকুরে, যতক্ষণ না বড়রা কেউ ধমকে জল থেকে তোলে। জলের উপরিভাগটা থাকত তপ্ত আর নিচটা শীতল ,ঠিক মা-বাবাদের মত। তারপর সন্ধ্যাতে হারিকেনের আলোতে বইয়ের পাতাতেই হত বিশ্বদর্শন। সেই সময় খানিক দুর থেকে ভেসে আসত লখা জেঠার( এক শ্রমজীবী মানুষ)আড় বাঁশির সুর। ‘বিকাল বেলায় বিকায় হেলায় সহিয়া নীরব ব্যথা’ কিংবা miles to go before I sleep এসব পড়ে অজান্তেই মনটা কেমন সংবেদনশীল হয়ে উঠেছিল। বিজ্ঞানের নিত্য নতুন জিনিসগুলি জানতে গিয়ে যুক্তির দ্বার খুলে যেত ক্রমাগত।হ্রদঅঞ্চল, তুন্দ্রা  অঞ্চল পড়তে গিয়ে বিশ্ব ভ্রমন হত। একটু নিচু ক্লাসে মধ্যযুগের ইতিহাস বেশ লাগতো। কারণ তাতে তথ্য ছিল কম, গল্প ছিল বেশি। ইংরেজি বাংলা মিলিয়ে বেশ কিছু হৃদয় স্পর্শকারী টপিক ছিল। পরে বুঝেছি স্কুল শিক্ষার গুরুত্বটা এখানেই ।কখন কোথা থেকে মূল্যবোধ, যুক্তিবোধ ,সহমর্মিতাতৈরি হয়ে যায় বোঝাই যায় না। আমাদের পরের বছর থেকে ইংরেজি সিলেবাস পাল্টে যায়। তারা এসব পড়তে পেতনা বলে আমরা তাদের দুয়ো দিতাম। আর তারা কোথা থেকে শিখেছিল জানিনা, বলত ‘শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ’ । সিলেবাস মনেহয় শিশু মিত্র ছিল। তাই সময় ছিল অঢেল। আমরা সবাই মনে মনে যে যার পছন্দ মতো ডারউইন ,টরিসেলি, তারাপদ, তেনজিং নোরগে, বাঘাযতীন,মারাদোনা কিংবা সুনীল গাভাস্কার হওয়ার আনন্দ লাভ করতে পারতাম। পথের পাঁচালীর অপু ভেবেছিল ‘মহাভারতের যুদ্ধটা নেহাতই কম হইয়াছে’।  এখানেও কেউ ভাবতে পারেন  যে ‘লিস্ট নেহাতই ছোট হইয়াছে’। লজ্জা পাবেন না আমিও আপনার দলে।

🍂

প্রত্যেকেরই ঘরে বা পাড়াতে ইন্দ্রনাথরা তখনও ছিল স্কুলের বাইরের জীবনকে প্রভাবিত করার জন্য।  যে দুজন আমার স্কুলবেলা কে প্রভাবিত করেছিল তারা আমার ছোট কাকা আর ন কাকা। শ্যামা ঘাসের মধ্য থেকে শালিখের বাচ্চার জন্য গঙ্গাফড়িং ধরা, কালমেঘ গাছ , সপ্তর্ষিমণ্ডল চেনা ,ঝিঁঝিঁপোকা খুঁজে বের করা, জঙ্গল পেরিয়ে চাবড়ির জাত ( ছোট গ্রাম্য মেলা) দেখতে যাওয়া, মাছরাঙ্গার মাছ ধরা দেখা, সবই ছোট কাকার হাত ধরে। হোলির সময় সে একবার বাঁশ দিয়ে পিচকারি বানিয়ে দিয়েছিল। সদ্যস্কুলের গণ্ডি পেরোনোন-কাকা ছিল খানিকটা মুক্ত হাওয়ার মত। অনায়াসে বন্ধু আফসারউদ্দিনের ঘরে বাভয়াদুলের ঘরে খেয়ে আসতে পারত এতবছর আগে। অন্যের উপকার করার একটি অনন্য মনতার ছিল।কার্তিক মাসের আগে কঞ্চি আর রঙিন কাগজ দিয়ে সে বানাত নয়না ভিরাম স্বর্গবাতি । আমরা বসে বসে দেখতাম। কারোরই সময়ের অভাব হয়নি। বিদ্যুৎহীন গ্রামে সে স্বর্গবাতি অপার্থিব রূপে ধরা দিত নিচে হারিকেনের আলোতে বই খুলে বসা বালক গুলির মনে। এই সব মিলে হৃদয়ের গভীর গোপনে কোথাও একটা শান্তির অস্থানা তৈরি হয়ে আছে। জীবনের খর রৌদ্রে অবসন্ন হলেই ঝর্না কলমের কালি হাতে মেখে সে আস্তানায় বাঁশের পিচকারিটি খুঁজি, উঠোনে ফোঁটা গন্ধরাজের গন্ধ খুঁজি; মেলে না যদিও।

খাঁচার পাখি –মাধ্যমিকের পর আমার বনবাসের ব্যবস্থা হল মেদিনীপুর শহরের কলেজিয়েট স্কুলে। মেসের স্বাদহীন খাবার, পরিচিত পরিবেশ থেকে বিচ্যুতি এসব অসুবিধা তো ছিলই, সঙ্গে ছিল বড় স্কুলের সহপাঠীদের চালচলন। দেখি শহুরে সহপাঠীদের সিলেবাস অর্ধেক শেষ। মারাত্মক অভিঘাতে অল্প বয়সে পড়া ছেড়ে পানের দোকান করা সহপাঠীদের সৌভাগ্যবান মনে হতো। ব্যপারটা সামলে ঘুরে যে দাঁড়ানো গিয়েছিল তার পেছনেও ছিল গ্রাম্য জীবন। প্রায় উপকরণহীন গ্রাম্য জীবনের প্রথম ও শেষ অবলম্বন ছিল বই। সেই অভ্যাস আত্মবিশ্বাস সরবরাহ করে রক্ষা করেছিল।

উপসংহার -  বলার থেকে না-বলা কথা থাকল অনেক বেশি। সে কথাগুলোই কটা দিন বাজবে বুকের মধ্যে। বর্তমানকালের সঙ্গে তুলনা করে নিজের আনন্দ মাটি করার ইচ্ছে আমার নেই। পাঠকএকান্তই যদি করতে চান তাহলে পরের লেখাগুলি থেকে করতে পারেন।

আরও পড়ুন 
বিজ্ঞাপনের বিকল্প বিজ্ঞাপনই || ঋত্বিক ত্রিপাঠী 

Post a Comment

4 Comments

  1. AnonymousJune 26, 2024

    ইস্কুল ফিস্কুলের তৃতীয় কিস্তি লেখাটি পড়লাম। বিগত দুটি পর্বের মতো এই পর্বের কাহিনীও এগিয়ে আপন গতিতে মুখবন্ধে লেখক সবিনয়ে জানিয়েছেন যে তিনি তার ফেলে আসা সময়ের স্কুল জীবনের সঙ্গে একালের স্কুল জীবনের কোনো তুলনা টানতে বসেন নি। আজ থেকে প্রায় চার দশক আগে লেখক এর স্কুল জীবন একটি বিশ্বাসযোগ্য দলিল তিনি আমাদের সামনে হাজির করেছেন। এই পর্বে আমরা পেয়েছি তার সহপাঠীদের কথা ।বন্ধুদের নামে আগে একটি মাত্র বিশেষণ জুড়ে তুমি যেভাবে তাদের বর্ণনা করেছেন তা অসাধারণ। বয়সন্ধিকালের নির্মিতির একটা স্বতন্ত্র রূপ থাকে। লেখক সজ্ঞানে তাকে চিত্রায়িত করেছেন ।
    শিক্ষক মহাশয়দের কথা বলতে গিয়ে তিনি অত্যন্ত জরুরি একটি কথা বলেছেন ।তার শিক্ষকদের কেউই বহু ডিগ্রিধারী ছিলেন না ।কিন্তু নিজেদের কর্তব্য কারণে নিরলস, আন্তরিক ছিলেন। আর হয়তো সেই কারণে শিক্ষার্থীদের মনের কাছে পৌঁছে যেতেন অনায়াসে। এত বছর পরও তাই একজন শিক্ষার্থীর স্মৃতিচারণায় সতত ভাস্বর হয়ে ওঠেন তারা।
    বনের পাখি পর্যায়ে অন্য নির্মাণের গল্প শুনি। আসলে বই আমাদের যতটা শেখায় তার থেকে অনেক বেশি আমরা শিখি আমাদের পরিবার পরিজন আর প্রতিবেশ থেকে ।দুই কাকার ভালোবাসার কোন মূল্য হয় না। শহরে যাদের বেড়ে ওঠা তারা ওই মুক্ত, উদার জীবনের স্বাদ থেকে বঞ্চিত । সৌমেন আমাদের সে স্বাদ নেবার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ নেবেন। পরের লেখাগুলি অনুগ্রহ করে লক্ষ্য রাখুন।বর্তমানের স্কুল শিক্ষার আঁখো দেখা হাল পেয়ে যাবেন।

      Delete
  2. নির্মাল্য ঘোষJuly 16, 2024

    শিক্ষার একাল ও সেকাল যেহেতু এই পর্বভিত্তিক উপস্থাপনার মূল ভাবনা তাই সেকালের স্কুল জীবন ঘিরে গল্পচ্ছলে কথাগুলি হয়ত তিনপর্বে থেমে গেল। কিন্ত তবুও তাতে যতটুকু সামাজিক জীবনের কথা উঠে এল তার থেকেই সমাজ জীবনের সেকাল ও একাল কে বোঝাতে অন্য কোন সময়ে আরও বিশ্লেষণধর্মী বিস্তৃত লেখার দাবী সৌমেনের কাছে রাখলাম।

    ReplyDelete