জ্বলদর্চি

গৌতম বাড়ই ও তনুশ্রী ভট্টাচার্য-র কবিতা

গৌতম বাড়ই ও তনুশ্রী ভট্টাচার্য-র কবিতা 

ঈশ্বরের স্বপ্ন গ্রাম
গৌতম বাড়ই

অন্ধকার থেকে স্ফূরণ হচ্ছে কোনো জ্যোতির্ময় বিশ্বের 
চাঁদের আলোয় ভেসে চলেছে উজানি গঙ্গা আর 
আড়িয়াদহের পাড়ের  গ্রাম,
কামারপুকুরের এক গেঁয়োমুখ্যু বামুন, নগরের যুবাকে 
ওই চাঁদের বুকে আঙুল তুলে দেখাচ্ছেন,
আর যুবক বিস্মিত এক ঘোরে তলিয়ে যাচ্ছেন, 
এই জীবন সত্য হিসেবে ধরা দিচ্ছে তাঁর মনে,
ঈশ্বর উপলব্ধি, বোধ, আর সচেতন এক মানসিক বিপ্লব! 
বহুর মধ্যে সচেতন এক হয়ে আলোর অনুসরণ...

ছুঁয়ে দিলে তারপরে ঠাকুর, মা ভবতারিণী উদ্ভাসিত !
বিশ্ব চরাচর ভেসে যাচ্ছে, অনন্ত অনালোকিত ভান্ডার 
উন্মোচিত হচ্ছে, গঙ্গার প্রবাহ স্পন্দনে। 
বিশ্বজয়ী অভিভাষণ শেষে ফিরে দেশে
স্বামীজী উদ্যানবাটি থেকে চেয়ে চেয়ে দেখছেন 
গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে বেলুড় গ্রামের দৃশ্যপট,  
কর্মযোগের স্বপ্নে বিভোর হয়ে ঈশ্বর ধ্যানস্থ আছেন
প্রকৃত ঈশ্বর খুঁজে পেয়েছেন তিনি এ দরিদ্র বিশ্বে...



পল্লব কীর্তন
তনুশ্রী ভট্টাচার্য 

বসন্তের মৃদু শীতলতায় এখনো তন্ময়তা
সকরুণ সুরে আনন্দ খোঁজে বৈশাখ
 অরণ্যের শরীরে বয়:সন্ধি উদ্ভাস
পল্লবিত হয়  চিরহরিৎ বৃক্ষের মতো
ঘর গেরস্থালির নৈমিত্তিক অবলম্বন। 
ক্যালেন্ডারে লগ্ন হয়ে আছে  বছরের শেষ তারিখ 
       

নিপুণ অভ্যাসে দাঁড়াই নতুনকে যাচনা করে
উন্মনা বাতাস আনে স্থিতি,কিশলয়ের ধৈর্য
আবর্জনার সঙ্গে পুড়ে যাক কলঙ্ক যত।

অরণ্যের গল্প বলো তুমি। আম্রমুকুল 
সেগুন মঞ্জরী সন্ধি কালে উপনীত 
মাধবীলতার সোহাগ জানে কর্কশ কার্নিশ
ধরিত্রী মন্ত্রে গেয়ে উঠি অত্যাগসহন স্তুতি
ঝরে পড়ে  পুস্প বৃষ্টি । হে সুখী সর্জন ,
জলে শূন্যে অরণ্যে  শোনো পল্লব কীর্তন।।

🍂
ad

Post a Comment

0 Comments