জ্বলদর্চি

মায়া দে-র কবিতা


মায়া দে-র কবিতা 

খবর

রাত দশটা।
মাকে ওষুধ খাইয়ে, মশারি গুঁজে মুখ তুলে দেখে 
জানলার ধারে পুলিশ ।
কিছু বোঝার আগেই ধরপাকড়।
ছিল না কোনো ওয়ার্নিং। পিছন ফিরে চায় না সে
শূন্য থেকে মহাশূন্যে এগিয়ে চলে
কি দোষ তার ? জানে না সে নিজেই।
পরিবারের আর্তনাদ ছাপায় গুঞ্জনের শব্দে। 
ওরা কারা? ছেলেটাকে ধরে নিয়ে গেল?
গুঞ্জন ওঠে। প্রতিবাদ ওঠে না।

পরদিন খবর হয়। ছেলেটা এখন জেলে


🍂

চেয়ার

ধরুন, সাজানো চেয়ারগুলো সব ফাঁকা 
মানুষজন ভদ্রতা করেও আর বসে না।
কাজের কোনো গাছপাথর নেই। মানুষ এখন কাজপাগল।
চেয়ার সরিয়ে দেয় ঝাঁট।
রোদ পোড়া মাটিতে মেশে ঘামের এসেন্ট।
মানুষদের ভারী প্রেম পায়। দাওয়ায় বসে
পুরানো গান শোনে
একটানা ঘুঘু ডাকে--
মেয়েরা ঘাটে যায়---

যে চেয়ারের লোভ একটা নিষ্পাপ ছেলেকে আটকে রাখে।
যে চেয়ারের লোভ নানান ঘটনা সাজায়

বৌটা ছটফটায়। শীর্ণ দুহাতে বাচ্চাদের জড়িয়ে ধরে।  বিছানায় চোখের জলে ভেজে বালিশ

আসলে দোষ মানুষের নয়
দোষ সাজানো চেয়ারের।

Post a Comment

1 Comments

  1. মান্না দে।আপনার কবিতা গুলো ভীষণ ভালো লাগলো।

    ReplyDelete