আবালের গান
একটা উদ্ভ্রান্ত ডাক তাড়িয়ে ব্যাড়ায় ঈশান থেকে নৈঋতে
কিম্বা আলো থেকে নিরন্নের দাঁড়ে
একে দেখতে বেশ, অনেকটা ফুসমন্তরের মত অথবা উমম... হুঁ! অনেকটা ঘড়ির কাঁটার আদলের।
আসলে সবারই একটা চেনা ডাক থাকে আর দুচার ছটাক অচেনা তাম্বুল বিলাস।
বিবাগীরা গান গায়--
'আহা গো বিধি গো তোরে চেনা বড় দায়
সে যে উড়িয়া ব্যাড়ায় যারে রাখিস খাঁচায়'
আর গেরস্থরা হারিয়ে যায় হাওয়ায় হাওয়ায়
কারণ তাদের দেনার ঘুম প্রায়শই ধোকা দ্যায়
যে ভাবে ফিরিয়ে দ্যায় কারুর কারুর প্রথম প্রেম কিম্বা সবার..
"সোনার দিনার নেই, দেনমোহর চেয়ো না হরিণী
যদি নাও, দিতে পারি কাবিনবিহীন হাত দু’টি,
আত্মবিক্রয়ের স্বর্ণ কোনকালে সঞ্চয় করিনি
আহত বিক্ষত করে চারদিকে চতুর ভ্রুকুটি;"
🍂
জাহান্নামের ঘোড়া(ছয়)
নারীটির পাশ থেকে নদীর পাশে শুয়ে দেখি সেও একদিন নারী হয়ে গ্যাছে। যে পথ নিয়ে যায় সেও তো ফিরে আসে টুটাফুটা দরজার কাছে!
কোনও এক জাদু বলে বেঁচে উঠি যদি
নারীটিও একদিন ছুঁয়ে দেবে নদী
শোন, শোন হে অশীতিপর
হে শরীর হও অজ্বর অমর
কতদিন হয়ে গ্যালো রুমালের ভাঁজে রাখা শ্রান্ত দুপুর খুলে দ্যাখা তো হয়নি, মিতান! জানাশোনা শ্বাস দাঁতে চেপে ধরি, আর ঘোর পায় মায়াবি আপেল। এ আপেল রং-বেরং, পথের শরীর ক্রমে ক্ষীণ- যদিও বয়সে আজও বড়। দু হাতে নাও কাদা মাটি, আমাকে নতুন করে গড়ো। চৌকাঠে প্রাচীন আলপনা অবসরে ঝিমুনি দ্যায়। দেখা হয় ফেলে আসা পথের ছায়ায়। কতকাল ডাকনি নদী! তর্জনি ছুঁইয়ে নিয়ে যেও ময়ূর কুঠুরি যেই-খানে, যেখানে ছুটে ব্যাড়াবে যত হরিণ হরিণী সব। কার বাঁশি বাজে তবে ইদানিং শরীরের খাঁজে। কেই বা নারীটিকে আজও নদী হতে বলে। আসলে ছুঁয়ে দিলে এ শরীর অন্য তটিনী...
আসলে শাসক হওয়া যতটা সহজ, রাজা হওয়া ততটা নয়...
“জোইনি তইঁ বিনু খনহিঁ ন জীব্মি।
1 Comments
অসাধারন।
ReplyDelete