জ্বলদর্চি

শরত শিউলি শিবানী/অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়

শরৎ শিউলি শিবানী

অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় 

শরৎ

"রিমিকি ঝিমিকি ঝরে ভাদরের ধারা"।  অথবা  "কোন্ খ্যাপা শ্রাবণ ছুটে এল আশ্বিনেরই আঙিনায়"। শুধু ভাদ্র মাসেই নয়, শরতে শ্রাবণের মেঘ কাজল চোখে মেখে হাজির হয় আশ্বিনেও। রবীন্দ্রনাথের কলমে বৃষ্টিস্নাত শরত এভাবেই হাজির গানে গানে। ভরা শরতে কদিন ধরে ভারি বৃষ্টির বর্ণনা তাঁর যুবক বয়সের চিঠিতেও আছে। শ্যামল ছায়া অনেক বছরেই দীর্ঘায়িত হয় ক্যালেন্ডারের তোয়াক্কা না করে আর ঝরিয়ে দেয় যা কিছু আছে সম্বল। শুধু শেষের পাতের করুণা বর্ষণ নয়, রীতিমতো হুড়হুড় করে নেমে আসে, ভাসিয়ে দেয় নাগরিক জনপদ। যেমন এবারে হল, ১৯৭৮এও হয়েছিল, একেবারে বানভাসি। মাঝেও কয়েকবছর হয়েছে এতটা না হলেও। শারদোৎসব দিনে বৃষ্টি সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। আসলে আমার কিছুটা জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই আমি আকাশের সাথে পরিচিত হতে থাকি। তার ক্ষণে ক্ষণে মন-মেজাজের শরিক হতে থাকি, তাকে বুঝতে চেষ্টা করি। দিনে রাতে আকাশের দিকে চেয়ে সময়ের আন্দাজ ছিল এক ধরনের পরীক্ষা আমার কাছে। এভাবেই আকাশ দেখে তার রঙ পরিবর্তন আসলে ঋতুর বদল সেটা জেনেছিলাম অনেক পরে। কোন দিন থেকে কি ঋতু প্রবেশ করল তা আমি আকাশ দেখে বলে দিতে পারি। শুধু তো আকাশের বর্ণ নয়, তার সাথে রঙ গন্ধ তাপ-শৈত্যের অনুভূতি সব মিশিয়ে আকাশ। কিন্তু এবছর যখন শ্রাবণের শ্যামল ছায়া নাছোড় তখন সেই উজ্জ্বল নীলের গায়ে সাদা কাশ দেখা গেলেও ক্ষণিকের, স্থায়ী নয়। তখন কি বুকে চাপড় মেরে বলতে পেরেছি, এই এলো শরত। অমল কমল বনে জ্বলল আলো। সত্যি বলতে কি বাঙালিকে ঋতু চিনিয়েছে রবীন্দ্রনাথের গান, প্রতিটি ঋতুর বিশিষ্টতা নিয়ে গান লিখেছেন তিনি। 

🍂


শিউলি 

শরতের সাথে কাশ আর শিউলির গল্প প্রায় সমার্থক হয়ে গেছে কি সাহিত্যে আর কি চলচ্চিত্রে। রবীন্দ্রনাথ যত শিউলি ফুল ফুটিয়েছেন শরতের গানে সত্যজিৎ একটা ছবিতে কাশের বন দেখিয়ে কাশকে অমর করে দিয়েছেন। সত্যি বলতে ছোটবেলায় আমি কাশ দেখিনি বা দেখলেও মনে দাগ কাটেনি। আমার গঙ্গার ধারে বাড়ি, সেখানে কাশের কোনও গল্প নেই। তবে শিউলি ছিল। কিন্তু শিউলির সাথে আমার সম্পর্ক খুব মধুর ছিল না। কারণে-অকারণে মা আমাদের ভাইবোনকে শিউলি পাতা রস অথবা সেই পাতা থেঁতো করে ছোট ছোট বড়ি বানিয়ে রেখে তার থেকে একটা করে বড়ি সকালে খালি পেটে খাওয়াতেন। সে তেতো যে না খেয়েছে তার বোঝার বাইরে। খাওয়ার পরেই চিনি বা গুড় খেয়ে নিতাম। ফলে শিউলির সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে নি। তার উপর শিউলি গাছে শুঁয়াপোকা থাকে দেখে শত হস্ত দূরে। আমাদের বাড়ির উল্টো দিকের বাড়ির পাঁচিলে শিউলি গাছ উঁকি মারত। শরতে তার সাদা ফুল ছড়িয়ে থাকতে দেখতাম রাস্তায়। দেখতে খুবই সুন্দর, একটা হাল্কা গন্ধও আছে। অনেকে সেই ফুল কুড়িয়ে নিয়ে যেত। শুনেছিলাম মাটিতে পড়া ফুলে পুজো হয়না কিন্তু শিউলির ক্ষেত্রে সে নিয়ম নাস্তি। 

ক্লাস সেভেনের অ্যানুয়াল পরীক্ষায় আমার ফল ভাল হয়নি তার নানা পারিবারিক কারণ ছিল। কিন্তু এইটে সংস্কৃত ঘাড়ে এসে চাপল। শাস্ত্রী স্যার আমাদের সংস্কৃত পড়াতেন। তাঁর বাড়ি দুর্গা পুজো হত। আমার খুড়তুতো ভাই আমার সাথেই পড়ত। সে একটা মতলব করল। সেই অনুসারে আমি তার সাথে পুজোর তিন দিনই সকালে শিউলি ফুল রাস্তা থেকে তুলে শাস্ত্রী স্যারের বাড়ি নিয়ে গেছিলাম। উনি খুশিও হয়েছিলেন। সেই প্রথম শিউলির সাথে আমার ভাব। তখন তো তার পাতার রস বা বড়িও আর খেতে হয়না। 

সুদূরের পিয়াস

বাড়িতে শুনেছি আমি নাকি হাঁটতে শিখেছি রাজস্থানের অজমীরে পুষ্করের সাবিত্রী পাহাড়ে। সে মনে থাকার কথা নয়। তবে প্রথম ভ্রমণের কথা স্পষ্ট মনে পড়ে ছ বছর বয়সে পুরী যাওয়া। সীমাহীন জলরাশি দিগন্তে আকাশের গায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে চুমু খাচ্ছে। সমুদ্রের থেকে লাফ মেরে ওঠা সূর্য অবাক করে দিয়েছিল। ততোধিক স্তম্ভিত হয়ে গেছিলাম একটা গোল রূপোলী থালা জলে ভাসতে ভাসতে টুক করে আকাশের গায়ে সেঁটে গেল। তার নরম স্নিগ্ধ ছটা এমনই মোহময়ী যে ওই বয়সেই সে আমার মাথাটি খেল। তার থেকে আজও দূরে থাকা অসহনীয়। এরপর কত জায়গায় গেছি। সে সময়ের ট্রেনে ফার্স্ট ক্লাস সেলুন কারে গিয়েছি হায়দ্রাবাদ। কামরার ভেতরেই বাথরুম। সাত ফুট লম্বা এক একটা বেড। এই সেলুন কারে শেষ চড়েছি জয়পুর থেকে দিল্লি আসার পিঙ্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে। দিদা কামরাতেই স্টোভ জ্বালিয়ে রান্না করছেন। সকালে সাদা ড্রেস মাথায় অদ্ভূত টুপি পরে লাল কোমরবন্ধনী লাগিয়ে রেলের কর্মচারী ট্রেতে সাদা ধবধবে তোয়ালে চাপা দিয়ে দুধ চিনি সমেত চায়ের চিনামাটির টি-পট ও কাপ-প্লেট দিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভোলার নয়। ট্রেনে গোয়া যাওয়ার পথে দুধসাগর স্টেশনে নেমে সেই দুধসাদা ঝর্না দেখে তাজ্জব। গাছ থেকে ঝোলা কাঁঠাল লাফালেই হাতের নাগালে। এরপর আর একটু বড় হলে ক্লাস নাইনে একা চলে গেছি কন্যাকুমারী এবং নৌকোয় সমুদ্রের ভেতর সেই পাথরে যেখানে বসে বিবেকানন্দ ধ্যান করেছিলেন। তখনও আজকের এই মন্দিরের পরিকল্পনাও হয়নি। অজানা দূর আজও হাতছানি দেয়। চলে যাই। পিয়াস এখনো মেটেনি।

শিবানী

কিছুদিন আগে গেছিলাম ইলোরা। এখন দুর্গার মরশুম তাই ভাবলাম তা নিয়ে কিছু বলা যায়। খ্রিস্টিয় ছয় থেকে দশ শতকের মধ্যে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় ব্যাসাল্ট পাথর খোদাই করে যে চৌত্রিশ খানা গুহা বানিয়ে তার ভেতর ভাস্কর্য তৈরি হয়েছিল তা আজও বিস্ময় জাগায়। বৌদ্ধ হিন্দু জৈন ধর্মের এই অপূর্ব সঙ্গমক্ষেত্র ইউনেস্কোর ঐতিহ্য স্থাপত্য হিসেবে স্বীকৃত।  প্রথম বারোটি  বৌদ্ধ গুহা, পরের সতেরোটা হিন্দু গুহা আর বাকি ছটি জৈনদের। হিন্দু গুহাগুলো রাষ্ট্রকূট থেকে কালচুরি আমলে তৈরি। সব মূর্তিই পাথর কেটে। এর মধ্যে কৈলাসই বিশ্বের বৃহত্তম মনোলিথিক ভাস্কর্য। রাষ্ট্রকূটের শৌর্য বীরত্ব বিজয়গাথার মর্মরকাহিনি ফুটে উঠেছে পাথরে। দেওয়ালের গায়ে টানা বারান্দার মত গ্যালারি, তার ধারে গবাক্ষ, তার মধ্যে নৃত্যরত নটরাজ, এক আসনে হর-পার্বতী, যোগী শিব, চতুর্ভুজ কৃষ্ণ ইত্যাদির মূর্তি।  মূল মন্দিরে ঢোকার পথ পেরিয়ে এলে দেখা যায় অষ্টভুজা মহিষমর্দিনী এবং হাতির শুঁড়ে ধরা কলসে স্নানরত গজলক্ষ্মী। এই গুহার উঠোনে বাইরের দেওয়ালে আমাদের চেনা মহিষমর্দিনী মূর্তি। অসুরের মাথায় দুটো শিং লাগানো শিরস্ত্রান। দুর্গা সিংহের পিঠের উপর পা ভাঁজ করে ললিতাসনে অপূর্ব ভঙ্গিমায় বসে। আরও কয়েকটি মহিষমর্দিনী মূর্তি আছে। কোথাও অষ্টভুজা কোথাও চতুর্ভুজা (১৪ নং গুহা)। 

রাবণ শিবের আরাধনায় দ্রুত ফল পাওয়ার আশায় কৈলাসে চলে গেছেন। সেখানে গিয়ে দেখেন শিব দয়িতা উমার সাথে প্রেমের আবেশে মজে। যেহেতু শিবের আসনের উপর উঠে কৈলাসের শিখরে ওঠার প্রশ্ন নেই তাই রাবণ তাঁর সুরধ্বনিকে কাজে লাগিয়েছিলেন। সম্মোহিত শিব, বক্ষলগ্না উমা। অসফল প্রচেষ্টা।  রাবণ একসময় কৈলাস উত্থিত করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।  প্রেমাবিষ্ট শিব অবিচলিত থেকেই পায়ের বুড়ো আঙুল দিয়ে মাটি চেপে ধরলেন। এসব কাহিনির ভাস্কর্যও রয়েছে।

পিয়াস যখন তীব্র, সুদূর যদি ডাকে তাকে উপেক্ষা করা দুষ্কর, দুর্গাও পারেনি তাই তো প্রতিবছর শরতে শিউলির ঘ্রাণ নিতে কৈলাস থেকে সুদূর আসেন শিবানী।

Post a Comment

5 Comments

  1. প্রাণ প্রতিষ্ঠার মন্ত্র!
    এই মন্ত্র পাঠ করে যদি পুরোহিত খড় মাটি কাঠের কাঠাম ও রঙ দিয়ে তৈরী মূর্তির মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দিতে পারে তাহলে সদ্য মৃত ব্যক্তির রক্তমাংসে গড়া দেহের মধ্যে সেই পুরোহিত মশাই প্রাণ প্রতিষ্ঠা মন্ত্রের মাধ্যমে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দিতে পারে না কেন?

    প্রাণপ্রতিষ্ঠা মন্ত্র-

    দূর্ব্বা ও আতপ চাউল দেবতার হৃদয়ে ধরিয়া নিম্নলিখিত মন্ত্র পাঠ করিবে এবং বাম হস্তে ঘণ্টাধ্বনি করিতে হয়। মন্ত্র যথা-

    ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং যং সং হৌং হং সঃ অমুকদেবতায়াঃ প্রাণা ইহ প্রাণাঃ। ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং যং সং হৌং হং সঃ অমুকদেবতায়াং জীব ইহ স্থিতঃ। ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং ষং সং হৌং হং সঃ অমুকদেবতায়াঃ সর্ব্বেন্দ্রিয়াণি। ওঁ আং হ্রীং ক্রোং যং রং লং বং শং যং সং হৌং হং সঃ অমুকদেবতায়াঃ বাত্মনশ্চক্ষুস্তশ্রোত্রঘ্রাণপ্রাণা ইহাগত্য সুখং চিরং তিষ্ঠন্তু স্বাহা। ওঁ মনোজুতি-জুষতামাজ্যস্য বৃহস্পতির্যজ্ঞমিমং তনোতু। অরিষ্টং যজ্ঞং সমিমং দধাতু বিশ্বেদেবাস ইহ মাদয়ন্তামোম্ প্রতিষ্ঠ। অস্যৈ প্রাণাঃ প্রতিষ্ঠন্তু অস্যৈ প্রাণাঃ ক্ষরন্তু চ। অস্যৈ দেবত্বসংখ্যায়ৈ স্বাহা।

    পুরুষদেবতার স্থলে "অস্যৈ” স্থলে "অস্মৈ” বলিতে হয়। লেলিহা মুদ্রাদ্বারা প্রাণ-প্রতিষ্ঠা করা বিধেয়।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার পান্ডিত্য এবং জ্ঞান নিয়ে কোন প্রশ্ন করব না। কিন্তু মাটির বা পাথরের মূর্ত্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা একটি অ্যালিগোরিকাল আচার। যাকে প্রাণ ভরে ডাকব, যাকে ভোগ দেব, যার পূজায় তিথি নক্ষত্রের পালন করব, তাকে যদি জীবন্ত মনে নাই করতে পারি, তাহলে পূজবো কি ভাবে? ঈশ্বর বা দেবীও ঠিক সেই ভাবেই হয়ত ভাবেন। এই মন্ত্র, নিজের প্রাণকে, আত্মাকে মূর্ত্তির সাথে যুক্ত করার একটি বৈদিক উপায়। এই পাণ প্রতিষ্ঠা কার্য্যত ভাবাত্মক। তাই দিয়ে কি আর পার্তজিব মানুষ বাঁচানো যায়?

      Delete
  2. টাইপো ভুল গুলি ক্ষমা করনেন।

    ReplyDelete
  3. অমিতাভ-দার লেখাটি ভাল লাগল।

    ReplyDelete
  4. নবকৃষ্ণদেবের দুর্গাপূজা উপলক্ষে গরু শুয়োরের মাংসের অঢেল আয়োজন!
    ঐতিহাসিক এবং কবি অবন্তী কুমার সান্যালের "বাবু" গ্রন্থে ১৭৫৭ সালে রবার্ট ক্লাইভকে নবকৃষ্ণ দেব কিভাবে তোষামোদ করেছিলেন তার বর্ণনা আছে। এই গ্রন্থের উদাহরণ দিয়ে শঙ্কর রায় আনন্দবাজারে একটি প্রবন্ধে লিখেছিলেন যেঃ-
    "There was a VVVIP at the centre of a podium, an Englishman, colonel Robert Clive of the English East India Company (EEIC), who had conquered Bengal by defeating Nawab Mirza Muhammad Siraj-ud-doula in the Battle of Plassey on June 23 that year. Clive was the chief guest. Religious scruples were on the wayside and nautch girls, mostly from Muslim gharanas, entertained the Englishmen attending the dance-parties. For the new rulers, beef and ham were bought from Wilson’s Hotel, let alone unlimited drinks that inebriated them."
    এগুলোই ছিলো কতিপয় বঙ্গবীরদের বঙ্গসংস্কৃতি!
    আজকের সময়ে দূর্গা পূজা শরৎকালে পালন করা হলেও আজ থেকে ৩০০ বছর পূর্বে এই দূর্গা পূজা বসন্তকালে পালন করা হত। কেন বসন্তকালীন দুর্গাপুজো কে তারা পিছিয়ে আনলেন শরৎকালে!

    ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে সিরাজ পরাজিত হলে যে বা যারা সবচেয়ে বেশী আনন্দিত হয়েছিল তাদের মধ্যে ছিলেন নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, নবকৃষ্ণ, রাইচাঁদ রায় প্রমুখ উচ্চ বর্ণের হিন্দুরা। তাঁরা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জয়কে স্বাগত জানিয়ে কোম্পানির জয়কে হিন্দুদের জয় বলে ঘােষণা করেছিল। অর্থাৎ তারা মুসলিম জাতিকে শাসনের অবসানে আনন্দিত হয়েছিল।

    এরা নবাব সিরাজদৌল্লার লুকানাে কোষাগার লুঠ করে বহু কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেয়। এরফলে নবকৃষ্ণের মতো হিন্দুদের রাতারাতি ভাগ্য বদলে যায়।বসন্তকালীন দুর্গাপুজো কে তারা পিছিয়ে আনলেন শরৎকালে। সিরাজদ্দৌলার কোষাগার লুঠ করা অর্থ দিয়ে শরৎকালীন দুর্গাপুজোর মাধ্যমে পলাশির যুদ্ধের বিজয় উৎসব করেছিল। এর পরে প্রতি বছর শরৎকালে দুর্গাপুজো করে তাঁরা পলাশির যুদ্ধের স্মারক উৎসব পালন করেছেন।
    এখানেই বাসন্তী পূজা ও দুর্গা পূজার ফারাক।
    নাম দিয়েছে অকালবোধন! এরপর আরও কত কল্পকাহিনী!

    ReplyDelete