জ্বলদর্চি

ঘুমিয়ে গেছে গানের পাখি / সপ্তদশ পর্ব/চিত্রা ভট্টাচার্য্য


ঘুমিয়ে গেছে গানের পাখি  
সপ্তদশ পর্ব

চিত্রা ভট্টাচার্য্য 


গজল গানের স্রষ্টা নজরুল

নজরুলগীতির সাগরের কিনারায় বসে আছি। তীরে আছড়ে পড়া জলধির একেকটি অশান্ত ঢেউ গুনে চলেছি আমার একান্ত অনুসন্ধানে অজস্র  মণি মুক্ত রাশির সঞ্চয়ে ডালা ভরার অভীপ্সায় ক্লান্তিবিহীন এ পথ চলায় কুড়িয়ে চলেছি  বঙ্গ কাব্যসাহিত্যের সম্পদ রাশি।  

নজরুল গানে বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্যে মুগ্ধ হয়ে দেখি সেখানে প্রেম, ভক্তি, আধ্যাত্মিকতা, দার্শনিকতা, রোমান্টিকতা এবং দেশপ্রেমের পাশাপাশি বিপ্লব ও বিদ্রোহের বার্তা দিগদিগন্তে  ছড়িয়ে পড়ে জেহাদ তুলেছে । তাঁর  সংগীতের বৈশিষ্ট্য সুর ও বাণীর অদ্ভুত মিলন ঘটিয়ে মন কে উদ্বুদ্ধ করে।  নজরুল মূলত নিজেই তাঁর গানগুলো সুরারোপ করেছেন এবং বাংলা সংগীতে পল্লীগীতি, লোকগীতি, ভাটিয়ালী, বাউল, ভাওয়াইয়া, ঝুমুর, এবং অন্যান্য লোক ঐতিহ্যকে ধ্রুপদী রাগের সাথে মিশ্রিত করেছেন।  নজরুলের গানের সুর ও বাণীতে বিদ্রোহের শক্তি ও তারুণ্যের প্রকাশ ঘটেছে, যা মানুষকে প্রতিবাদী হতে অনুপ্রাণিত করে।মনের মাঝে হৃদয়ের তন্ত্রীতে এক বিপ্লবী চেতনার সুর ঝংকারিত হয়ে মনকে বিপুল উৎসাহে প্রাণিত করে। সেখানে ধ্রুপদী সংগীতের পাশাপাশি পাশ্চাত্য সংগীতের প্রভাবও দেখা যায়।  যা তাঁর সংগীতকে একটি সাংস্কৃতিক প্রভাবে সমৃদ্ধ করেছে । জনপ্রিয়তায় তাঁর গান সব শ্রেণির মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে এবং তাঁর কথা ও সুর আজও যে সমান প্রাসঙ্গিক। '

নজরুল গীতি নিয়ে আলোচনায় বসে স্মৃতির পাতা উল্টে দেখি তাঁর বেশির ভাগ সঙ্গীত মনের কোণে  শ্রেষ্ঠ আসনটি দখল করে বসে থাকলেও  ''নয়ন ভরা জল গো তোমার আঁচল ভরা ফুল'' গানটির একটি বিশেষ স্মৃতি মন থেকে হয়তো কোনোদিনই মুছে যাবে না  বা বলা ভালো ভুলতে পারবো না। 
🍂

'নয়ন ভরা জল গো তোমার আঁচল ভরা ফুল'
ফুল নেব না অশ্রু নেব ভেবে হই আকুল॥
ফুল যদি নিই তোমার হাতে জল রবে গো নয়ন পাতে,
 অশ্রু নিলে ফুটবে না আর প্রেমের মুকুল॥ ''

 কবির রচিত এই জনপ্রিয় গানটি , যার মূল কথা হলো প্রেমের ফুল না অশ্রু—কোনটি গ্রহণ করা হবে সেই দ্বিধা। আবার কবির মনে সংশয় "ফুল যদি নিই তোমার হাতে জল রবে না নয়ন পাতে, অশ্রু নিলে ফুটবে না আর প্রেমের মুকুল"। সবার প্রিয় এই গান টির সাথে জড়িত প্রায় ৪৫বছর আগের একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এই প্রসঙ্গে মনে এলো -- 

মুম্বাইয়ের টাটা ক্যান্সার হসপিটাল ,২২ নম্বর কেবিনে মৃত্যুপথ যাত্রী ১৪ জন পেশেন্টের তালিকায় ছিলেন    আমার পরমাত্মীয় ৩৪ বছরের দাদা যিনি কবি নজরুলে নিবেদিত প্রাণ। কেমো নেওয়ার পর ওর শরীরের অসহ্য বেদনার জ্বালা জুড়াতে আপন মনে নজরুল গীতি গাইতেন।বলতেন, নজরুলগীতির সুর তান ছন্দ ও কথাগুলো আমার রোগ শোক যন্ত্রনা সব ভুলিয়ে দেয়। বেরসিক ঈশ্বর তরতাজা যুবক শরীরের একে একে সব ক্ষমতা কেড়ে নিলেও শেষ পর্যন্ত তার গানের গলা এবং সুরটি অক্ষুন্ন রেখেছিলেন।

 ভিজিটর আওয়ার্সে গিয়ে দেখতাম, তাকে ঘিরে কেউ বা শুয়ে বা কেউ বা বসে আছেন অধীর আগ্রহে। এবং তিনি তার বিছানায় বসে উদাত্ত কণ্ঠে গাইতেন গজল টপ্পা ঠুংরি সমৃদ্ধ বিভিন্ন নজরুল গীতির সাথে এই বিশেষ গানটি ''নয়ন ভরা জল গো তোমার আঁচল ভরা ফুল ' । হস্পিটালের নীরবতায় সে গান এক আশ্চর্য পরিবেশের সৃষ্টি করতো। সে রুম টি ছিল মহা-ভারতবর্ষের এক মিলনতট ,জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার শেষের পরিসমাপ্তি, এক নিঃশব্দ বেদনা,শীতল মৃত্যুর প্রতীক্ষাকেন্দ্র। 

বাংলাভাষা না বুঝলেও ,গানের সুরের আর্তি মোহাবিষ্ট করে রাখতো তাদের।  হাতে গোণা কয়েকটা মাত্র দিন.তবুও মৃত্যু যন্ত্রনা সাময়িক ভুলে নয়ন ভরা জলে আত্মসমর্পন করেছে নিবিষ্ট চিত্তে , এ দৃশ্য অভাবনীয়। আমি বিস্মিত হই ,চমৎকৃত হয়ে ভাবি কবির গানের মাহাত্ম্য কত সুদূর প্রসারী ! সুরেসুরে মোহিত হয়ে ওরা জীবনের অন্তিম লগ্ন আসন্ন জেনেও গানের রস আস্বাদনে মেতেছে। নজরুলের সংগীতের এমনি সম্মোহিনী ক্ষমতা এখানেই বিশেষত্ব। এখানেই চরম সার্থকতা।   
 হস্পিটালের লম্বা করিডরে বিষন্ন চিত্তে ধীরে ধীরে পেরিয়ে  এসে দেখেছি মন্ত্রমুগ্ধের মত নিস্তব্ধতায়  কানে ভেসে আসছে ---''কেমনে রাখি আঁখিবারি চাপিয়া''/ অঞ্জলি লহ মোর সংগীতে ---প্রদীপ শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম /কিম্বা   আমি চিরতরে দূরে চলে যাব তবু আমারে দেব না ভুলিতে ----
 
''কেমনে রাখি আঁখিবারি চাপিয়া
প্রাতে কোকিল কাঁদে, নিশীথে পাপিয়া ॥
এ ভরা ভাদরে আমার মরা নদী
উথলি উথলি উঠিছে নিরবধি!
আমার এ ভাঙা-ঘটে
আমার এ হৃদি তটে
 দুকূল ছাপিয়া ''॥ 
 যুগ শেষ হয়ে যায় ,পরিবর্তনের স্রোতে সময় ও ভেসে যায় ,স্রষ্টা ও  কালের নিয়মে জাগতিক  জগৎ থেকে পাড়ি দেন অদৃশ্য লোকে।  কিন্তু তাঁর সৃষ্টি সুর সংগীত অবিনশ্বর হয়ে থেকে যায় কালের দীর্ঘ পরিক্রমায়। এত বছর পরেও মনের মাঝে  তার অনুরণন  অবর্ণনীয়।   

 'শীতের দেশে বসন্তের মত নজরুলের প্রবেশ। তার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে রেনেসাঁসের আবির্ভাব হলো – বুদ্ধি অনুভূতি ও কল্পনার দ্বার খুলে গিয়ে মানব মহিমা উপলব্ধি হলো। তার ‘বিদ্রোহী’ মানব মহিমারই কাব্য। ''      ---উক্তিটি নজরুল জীবনীকার  প্রাবন্ধিক মোতাহের হোসেন চৌধুরীর । 
 
উদার উন্মুক্ত প্রাণের কবি চেয়েছেন সর্বদা তাঁর জীবনের সব দুয়ার উন্মুক্ত থাক। সরলতায় ভরা স্বচ্ছ সলিলা নদীর মত খলখল শব্দে প্রাণের আনন্দে বয়ে যাওয়া তাঁর। দুয়ারে দুয়ারে প্রেমের গান, গজল, কীর্তন, হামদ্‌ নাদ গেয়ে শুনে সবাই আনন্দে  উদ্ভাসিত হোক। সর্বদাই  বিভেদ বিচ্ছেদের ভয়ে ভীত ব্যথিত হয়ে ওঠেন কবি। বিচ্ছেদের চিন্তায়  কাঙাল করে তোলেকবি কে। তিনি নিঃস্বার্থ প্রকৃতির প্রেমকে মানুষের ভাবাদর্শে অনুরণিত করে ভক্তিময় শ্রদ্ধাময় নন্দনকাননের অনুসর্গ রচিত করতে চেয়েছেন। তাঁর মতে;''সবাই এক ''এই প্রার্থনাই উচ্চারিত হোক।  আধ্যাত্মিক ,মানবিক স্বদেশ  বা  প্রকৃতির প্রতি প্রেমে সকল ধারায় তিনি সফল ও কৃতিত্বের দাবিদার।  সাহিত্যের আকাশে তাঁর আবির্ভাব ও তার আগুন ঝরানো কলম এক অবিনশ্বর চমকপ্রদ সৃষ্টি জাগালো সংস্কৃতিবান বাঙালি পাঠক হৃদয়ে। অখণ্ড বাংলায় তাঁর বিশাল প্রভাব খরস্রোতা নদীর মত বাঁধা বাঁধনের গন্ডিতে সীমাবদ্ধ না থেকে তার এগিয়ে চলা। তিনি চলেছেন সদর্পে  অকুতোভয়ী সংগ্রামী বীরের মতো।

    ভারতীয়  বাংলা কাব্য সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা গজল ধারার গানের  অন্যতম স্রষ্টা। যদিও ভারতবর্ষে আমির খসরু গজলকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন এবং তাকে 'ভারতের গজলের জনক' হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  আসলে গজল হলো আরবি সাহিত্য থেকে উদ্ভূত এক প্রকার প্রেমের কবিতা বা গান, যা মূলত প্রেম, প্রেমাস্পদের সঙ্গে সম্পর্ক, আকাঙ্ক্ষা, এবং আধ্যাত্মিকতার মতো বিষয়গুলোকে প্রকাশ করে। সাধারণত রোমান্টিক বা আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে রচিত হয়-- যার শেকড় প্রাচীন আরবে। পরে পারস্য এবং ভারতসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।  যদিও আজকাল গজল শুধু কবিতা হিসেবেই নয়, বরং সঙ্গীত হিসেবেও অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিভিন্ন শিল্পী তাদের কণ্ঠে এই মনমুগ্ধকর সঙ্গীত পরিবেশন করেন। 
এই বাংলা গজলে ধারার গানের সম্রাট কবি। সেই এক অন্য আঙ্গিকের সুর রসধারার সৃজক যা হৃদয়কে মন্দ্রিত করে, নন্দিত করে, কৃতার্থ করে। মানুষকে রসবোধে মোহিত করে রাখে। তিনি সুরগাহনে ছয়টি রাগের রূপও তৈরি করেছেন। তার এই তুঙ্গ প্রতিভায় নানা ধারার রচনার মধ্যে প্রেম,প্রতিবাদী গান ও গজল শ্রেষ্ঠ। 
 বাংলা গজল রচনার সময়ও ফার্সি গজলের মূলভাব প্রেমকে অবলম্বন করে নজরুল অদ্বৈতবাদী সত্তার প্রার্থনায়, নিবেদনে সকল ধর্মের সাধক, প্রেমিক ও সাধারণ মানুষকে এক করে দেখেছেন। ফার্সি গজলের মূলভাব ঐশী প্রেম, যেখানে হৃদয় হচ্ছে সেই পাত্র, যে-পাত্রে ঠাঁই পাওয়ার একমাত্র যোগ্যতা নিবিড় প্রেম। নজরুলের বাংলা গজলও তাই পরমাত্মা-জীবাত্মার সঙ্গে প্রেমেরই টানাপড়েনের গান হয়েছে। এখানে মানবিক প্রেম জাগতিক সম্পর্ককে ছাড়িয়ে জীবাত্মা ও পরমাত্মার প্রেমে রূপ নিয়েছে। যে-প্রেম আসে ঘুমঘোরে। ঘুম ভেঙে বিচ্ছেদ রূপ নেয় কান্নায়। এ-প্রসঙ্গে নজরুলের একটি বিখ্যাত বাংলা গজল---- :

মোর ঘুমঘোরে এলে মনোহর                
নমো নম, নমো নম, নমো নম।
শিয়রে বসি চুপি চুপি চুমিলে নয়ন
মোর বিকশিল আবেশে তনু
নীপ-সম, নিরুপম, মনোরম ॥
স্বপনে কী যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি,
জাগিয়া কেঁদে ডাকি দেবতায় –''স্মর্তব্য, ফার্সি গজল রচয়িতা ইরানি কবিরা ছিলেন মরমি। গজলের আপাত অর্থের ভেতরে থাকে গূঢ় অর্থ। মনের ভাব প্রকাশে ফুল, পাখি, শরাব, সাকি, কুঞ্জবন ইত্যাদি উপমা লৌকিক জগৎ থেকে নেওয়া হয় বটে কিন্তু লৌকিক জগৎকে আশ্রয় করে লোকোত্তর জগতের দ্যোতনা সৃষ্টি করাই গজলের মূল নান্দনিক রূপ। যেখানে থাকে অদ্বৈত পরমসত্তা বা পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার বিরহ-মিলনের অপরোক্ষ অনুভবের বাণী। অতীন্দ্রিয় স্বপ্নসুখ। মাটিতে এর জন্ম, কিন্তু দৃষ্টি আকাশে। যার বিস্তৃতি গভীর ব্যঞ্জনাময়। ''(নজরুল গবেষক  অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামী ) 
 
সাধক বা প্রেমিকের প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো ভেদ নেই, জাত নেই । সে চিরকাল একই সত্তার প্রেমিক, অনন্ত বিরহের মধ্যে থাকে এবং তার মিলনও তাই বিরহেরই নামান্তর।  মিলনের পরেই আসে বিচ্ছেদ। পরমাত্মার পরশ যখন জীবাত্মা পায়, তখন মিলনে আসে অপ্রতিরোদ্ধ আনন্দ । আবার একই সঙ্গে বিরহের আশঙ্কায় তাঁর মন বেদনায় কাঁদে, চোখ জলে ভরে ওঠে। ফলে বুকের তৃষ্ণা সাত সাগরের জলেও মেটে না। এমন ভাবের প্রচুর জনপ্রিয় গজল নজরুলের অমর সৃষ্টিতে  রয়েছে। যেমন :
এক.
কেন কাঁদে পরান কী বেদনায় কারে কহি।
সদা কাঁপে ভীরু হিয়া রহি রহি ॥
সে থাকে নীল নভে আমি নয়ন জল-সায়রে
কাজল করি যারে রাখি গো আঁখি-পাতে,

স্বপনে যায় সে ধুয়ে গোপন অশ্রু-সাথে ॥     
      অভাব তাকে ঘিরে থাকলেও সেই জাল সে তাঁর অসামান্য প্রতিভা সৃষ্টিতত্ব দিয়ে ছিন্ন করে বিশ্বসভায় পেতেছেন স্বর্ণআসন সে যে ভারী মূল্যবান গ্রহণীয় বরণীয় হৃদ্যতাপূর্ণ প্রেমে বোনা আসনখানি । সবাই তাকে ডাকে, উদাত্ত কণ্ঠে কবিতা গান শোনার জন্য শ্রোতা উদগ্রীব হয়ে থাকেন সুরের মায়াজালে নিজেকে জড়াবেন ,কথায় শব্দে ধ্বনিতে তালে ছন্দের জাদুতে নিমগ্ন হবেন । তাঁর নিষ্পাপ আত্মভোলা মুখ খানিতে ঝাঁকড়া চুল ডাগর চোখের ভাসাভাসা দৃষ্টি তে আবির্ভাব ও তার আগুন ঝরানো লেখা উদ্দাত্ত কণ্ঠের বাচন ভঙ্গী এক অভূতপূর্ব পরিবেশের আবহ রচনা করে। বিভিন্ন আসর বসে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও অনুষ্ঠানে তিনি মুখ্য হয়ে উঠেন। সৃজনের কৃতিত্বের কাছে তিনি যে সম্রাট। এই বঙ্গ ভাণ্ডারে কবি ও যে খুঁজে পেয়েছেন বিবিধ রতন বহু অমূল্য সম্পদের রত্ন খনি। 

  ‘নজরুল আসলে এমন একজন কবি, যিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নেন। নজরুলের গানের কথা ও সুর সব শ্রেণির মানুষের মনের কথা হয়ে ধরা দেয়। আন্দোলন, সংগ্রাম, বিপ্লব, প্রেম, বিরহ, ভালোবাসায় সব জায়গায় নজরুলের গান ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি সব জায়গায় সবার মাঝে জড়িয়ে আছেন। নজরুলের গান বরাবরই ইতিহাসের পাতায় নতুন করে পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। যখনই অন্যায়, অত্যাচার, নিপীড়নে কেউ কথা বলতে পারে না, তখনই নজরুলের গানগুলো সামনে চলে আসে। নিঃসংকোচে, নির্দ্বিধায় তাঁর গানগুলো গাওয়া হচ্ছে। নজরুল সব সময় আধুনিক, চলমানতা, যা সেটাই তিনি। মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আশা-আকাঙ্ক্ষা, দাবিদাওয়ার পক্ষেই মানুষের হয়ে  এগিয়ে এসেছেন প্রতিবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাঁকে বাদ দিয়ে কিছুই চিন্তা করা যায় না। (উক্তিটি করেছেন ’কবি গবেষক ফাতেমা তুজ জোহরা।  )

 তথ্য সূত্র---      ১))কাজী নজরুল ইসলাম ও বাংলা সাহিত্য। আজিবুল হক। লেখা প্রকাশনী, কলকাতা।
.২)নজরুল সঙ্গীত /ড : করুণা ময় গোস্বামী
 ৩) কাজী নজরুল /প্রাণতোষ ভট্টাচার্য। ন্যাশনাল বুক এজেন্সী প্রাইভেট লিমিটেড। 
৪). কাজী নজরুল ইসলাম/বসুধা চক্রবর্তী। ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট ইন্ডিয়া।   
৫). নজরুল জীবনী /অরুণকুমার বসু। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি। জানুয়ারি ২০০০।
৬). নজরুল-জীবনী/ রফিকুল ইসলাম। নজরুল ইন্সটিটউট, ঢাকা।
ও অন্যান্য নজরুল সম্পর্কিত প্রকাশিত পত্র পত্রিকা।                  ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments