জ্বলদর্চি

তুলসীদাস মাইতি-র কবিতা

তুলসীদাস মাইতি-র কবিতা

নিঃসঙ্গ অতিক্রম

রাইয়ের এখন বিরহই ভালো লাগে। 
দিগন্তে যে কান্নার আওয়াজ ছিল 
প্রাচীন সিন্দুকে তাকে লুকিয়ে রেখে সে বেরিয়েছে গোশালার মাঠে। 

রাসের চাঁদও এখন গ্রাম পরিক্রমায় বেরিয়েছে এই ধুলোট সন্ধেবেলা!
রাই এসে বসেছে আলপথের ধারে। যেখানে বাঁশির সুর নেই, নূপুরের শব্দ নেই। বয়ে যাচ্ছে কারুকার্যহীন নদী নীরব ছায়া ভেদ করে। 

রাইয়ের শিয়রে অতি দীর্ঘ রাত্রি। 
সুনিবিড় অন্ধকার ছুঁয়ে যাচ্ছে তাঁর খোলা চুল। 
ক্রমশ অনন্ত শূন্যতা তাঁকে জন্মান্তরের দিকে নিয়ে চলেছে। 

আর এই নিঃসঙ্গ অতিক্রমের মধ্যেই সে খুঁজে পেতে চায় বাঁশি, সুর ও জ্যোৎস্নাস্নাত প্রেম। 


🍂

বিনিদ্র বিভ্রম

দুপুরে ছায়ারাও পটদীপ গেয়েছিল।

নিঃসঙ্গ সন্ধ্যায় রঙ ফেলে সবাই এখন চলে গেছে আস্তানায়।
এই দৃশ্যের মধ্যে আমি কোথায় আছি খুঁজে চলেছি।


রাত্রি গভীর হলে শুনি কে যেন রঙিন রুমাল নাড়ে অন্ধকারে। চলাচলে বিভ্রমের সংকেত!

নিঃশব্দে দাঁড়াই বিনিদ্র বারান্দায়।
চাঁদ ও রাত্রি দিয়ে কেউ যেন গড়ছে দীর্ঘ কাব্যভূমি। 
বিস্তৃত অক্ষরমালা ছুঁয়ে জেগে থাকি। 

আমায় জাগিয়ে রাখতে কে যেন অনন্ত সময় ধরে হেঁটে চলেছে।

Post a Comment

0 Comments