জ্বলদর্চি

ভারততত্ত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী-র সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সালেহা খাতুন


ভারততত্ত্ববিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী-র সাক্ষাৎকার নিয়েছেন 

সালেহা খাতুন


সালেহা খাতুন : শুধু অধ্যাপনার জন্য আপনার লেখা পড়েছি তা নয় , ক্লাস ইলেভেন থেকেই আমি আপনার পাঠক। তাছাড়া রিফ্রেশার্স কোর্সে সরাসরি আপনার ক্লাস করেছি। আজ জ্বলদর্চি পত্রিকার পক্ষ থেকে আপনার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই আপনার  “দণ্ডনীতি” বইটির কথা উল্লেখ করার তীব্র ইচ্ছে জাগরুক হচ্ছে। গ্রন্থের প্রথম অধ্যায়ে আপনি একটি চমৎকার কথা বলেছেন  - “কৃষ্ণ এবং ঋষিদের কথোপকথনটি যদি খানিকটা আধুনিকভাবে বোঝা যায় তাতে এমন ধারণা করা চলে যে, হস্তিনাপুরের রাজসভাটি একটি  ‘সেমিনারে’ পরিণত হয়েছিল।” – এই যে একযুগের সঙ্গে আর এক যুগের সংযোগ ঘটিয়ে আলোচনা করেন, কথা বলেন , এই রীতিটি এতো অনায়াসে কীভাবে নিয়ে এসেছেন আপনার লেখায় এবং বক্তব্যে?

নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী :  আসলে আমার বারবার মনে হয়েছে যে, যে  কোনো এপিক বা এপিক কালচার নিয়ে যদি পড়াশোনা করা যায়, সেটার যদি কোনো মডার্ন রেলিভেন্স না থাকে তাহলে  মনে হবে ধর্মালোচনা করছি। মহাভারত, পুরাণ  এগুলি সবই বাণী। সেই বাণী  শোনার লোক আছে। আমাদের ধর্মটা যথেষ্ট যুক্তি দিয়ে বোঝানো যায়। আজকের দিনের সাথে সেটা একভাবে যুক্ত।  সেখান থেকে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো আসে। এরকম কথা আমার সব লেখাতেই আছে।  মহাভারতের একটা  চরিত্র সম্পর্কে লিখলেও দেখাই আজকের দিনে তা কতখানি প্রাসঙ্গিক। দ্রোণাচার্যের মতো একটা লোক ট্রাঙ্ক গুছিয়ে চলে এলো গ্রামের বাড়িতে, সে আর ফিরলো না -- এরকমও আমি লিখেছি। যা দেখেছি জীবনে, তার সঙ্গে এগুলি মেলে। কারণ আমাদের ভাব, ভালোবাসা, বিহেভিয়ার, মরালিটি এগুলি চিরন্তন সত্য। তার প্রকার এবং আধার বদলায় মাত্র। রবীন্দ্রনাথের কথায়, “তাঁরা সবাই অন্য নামে আছেন মর্ত্যলোকে”।

সালেহা : “দণ্ডনীতি”-র সপ্তম অধ্যায় “সপ্তাঙ্গ রাষ্ট্র”-এ রাজা, অমাত্য, জনপদ, দুর্গ, কোশ, দণ্ড এবং মিত্র নিয়ে মনোগ্রাহী আলোচনা আছে। “দণ্ড” সম্পর্কে আর একবার যদি বলেন –

নৃসিংহপ্রসাদ : দণ্ড জিনিসটা শুধুই পানিশমেন্ট নয়। “দণ্ড” শব্দটি যে ধাতুগুলি থেকে এসেছে, তার একটি অর্থ “ধারণ করা”। আবার দণ্ডের সাথে সাথে দানের ধারনাটিও যুক্ত যার অর্থ দেওয়া বা নেওয়াও বোঝাতে পারে। প্রাচীন ব্রাহ্মণগ্রন্থে রয়েছে “অক্রুরঃ দদতে মণিঃ” যার অর্থ অক্রুর মণি ধারণ করছেন। ধর্মও ধারণ করছে, দণ্ডও ধারণ করছে। এগুলি সব সময় ওয়ারশিপ কিংবা পানিশমেন্ট বোঝাবে এমনটা নয়। পানিশমেন্ট হয়তো এর শেষে থাকতে পারে। দণ্ডনীতি যেহেতু ধারণ করে তাই এখানে শাসন এবং অর্থনীতির বিষয়গুলিও এসে যায়। তাই কৌটিল্যের ‘অর্থশাস্ত্র’-এও ইকোনমি, অ্যানথ্রোপলজির প্রসঙ্গ আসে। বর্তমান গণতন্ত্রেও সবার জন্য একই আইন করা যাচ্ছে না। যখনই সবার জন্য একই আইন করার চেষ্টা হচ্ছে, সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেমন ব্রিটিশ আমলে উইলিয়াম জোনস বসেছিলেন জগন্নাথ তর্কপঞ্চাননের সঙ্গে। তিনি জোনসের জন্য লিখে গিয়েছেন “বিবাদভঙ্গার্ণব”। সেটি হিন্দু আইন। কিন্তু শুধুমাত্র এইরকম আইনের ভিত্তিতে মিশ্র সংস্কৃতির ভারতবর্ষ চালানো সমস্যাজনক।

সালেহা : “মহাভারতের নীতি অনীতি দুর্নীতি” গ্রন্থের ভূমিকায় আপনি বলেছেন – “নীতি নৈতিকতা এবং ধর্মের ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের মতো উদার দেশ খুব কমই আছে।” – এই উদারতা বর্তমান ভারতবর্ষে অনেক ক্ষেত্রেই কমে আসছে। মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে। এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

নৃসিংহপ্রসাদ : ভারতীয় ধর্মের মতো উদার ধর্ম পৃথিবীতে নেই। এক্ষেত্রে “হিন্দুধর্ম” শব্দটি ব্যবহার করায় আমার আপত্তি আছে। “হিন্দু”-র অর্থ কোথাও যেন গিয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটল উইথ দ্য মুঘলস। হিন্দুধর্মের একটা নতুন লজিক তৈরি হয়েছে। অনুদাররা আসলে ভারতীয় ধর্ম অনুসারে চলছে না, এবং হিন্দুধর্ম সম্পর্কেও কিছু জানে না। হিন্দুধর্ম আসলে উদার; সবকিছুকে নিষেধ করে না; সেখানে অনেক অল্টারনেটিভ আছে। যেমন একাদশীতে নিরম্বু উপবাস করতে সক্ষম না হলে ফল, দুধ খাওয়া যায়। তাতেও সক্ষম না হলে কাউনের চাল বা শ্যামা চাল খাওয়া যেতে পারে, যেগুলো ভাত বলে গণ্য হয় না। 

সালেহা : আপনার সব গ্রন্থের উৎসর্গপৃষ্ঠায় অত্যন্ত আন্তরিক ভঙ্গিতে আপনি লিখেছেন। যেমন “চৈতন্যদেব” – এর উৎসর্গপৃষ্ঠায় রয়েছে - “আমার ভগবতী জননী কুন্তলা দেবীর প্রতি তাঁর শরীরশোষী সন্তানের প্রণামান্ত নিবেদন” – শুধুমাত্র নাম নয় এই নিবেদনের তাৎপর্যও শব্দে ভরে দিয়েছেন। এমন আপনার অন্যান্য গ্রন্থেও আছে। রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থোৎসর্গের ক্ষেত্রেও আমরা এমনই প্রাসঙ্গিকতা দেখেছি। আপনি এক্ষেত্রে কাকে উৎসর্গ করবেন, এটা কীভাবে স্থির করেন?

নৃসিংহপ্রসাদ: আমার মাস্টারমশাইরা এবং বাড়ির সদস্যরা অনেকেই কোনো না কোনোভাবে আমার জীবনে কনট্রিবিউট করেছেন। আমার জননী লেখাপড়ার ব্যাপারে কনট্রিবিউট করেননি কিন্তু তাঁর প্রশ্রয় এবং স্নেহ অনির্বচনীয়, তাই তিনি আমার কাছে ভগবতী। 

সালেহা : আপনার সাহিত্যগুরু রমাপদ চৌধুরীর কথা আপনি বারবার বলেছেন। তিনি আপনাকে বিভিন্ন ব্যাপারে গাইড করেছেন। তাঁর সম্পর্কে আপনি লিখেছেনও। আর একবার যদি বলেন তাঁর প্রসঙ্গে –

নৃসিংহপ্রসাদ : উনি না থাকলে আমার সাহিত্যজগতে আসাই হতো না। উনি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি প্রথমদিন তিরস্কার করে আমার লেখা গ্রহণ করেছিলেন। প্রচণ্ড অভদ্র ব্যবহার করেছিলেন। আসলে এটা ছিল তাঁর বাইরের রূপ। তখন আমি বুঝিনি। কিন্তু সোমবার লেখা দিয়ে এসেছিলাম, রবিবারে ছাপিয়েছেন। উনি আমার ভেতর থেকে লেখা বের করে নিয়েছেন। কোনটা আমি লিখতে পারবো উনি সেটা ভালো বুঝতেন। যেমন আমার প্রথম বই “বাল্মীকির রাম ও রামায়ণ” লেখার সময় আমাকে তিনি রামচন্দ্র সম্পর্কে লেখার ইনস্ট্রাকশন দিয়েছেন, তবে বলেছেন তা যেন বিংশ শতাব্দিতে রেলিভেন্ট হয়, “রাম এই করিয়াছেন, সেই করিয়াছেন, এতো ভালো লোক” – এমন যেন লিখবেন না। রেলিভেন্ট হওয়ার বিষয়টা উনিই প্রথম আমায় বুঝিয়েছিলেন, তা নইলে রামায়ণ মহাভারত নিয়ে আলোচনা করে কী হবে?

সালেহা : আপনার বিভিন্ন রচনায় ঘুরে ফিরে রবীন্দ্রনাথের কথা আসে। “দেবতার মানবায়ন” – এর ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথের চিঠি উদ্ধৃত করেছেন, “কৃষ্ণা কুন্তী এবং কৌন্তেয়” এবং “চৈতন্যদেব” গ্রন্থেও রবীন্দ্রনাথ এসেছেন। রবীন্দ্রনাথকে আপনি বলেছেন ব্রহ্মদর্শী কবি। রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আপনার মনোভাব আলাদা করে কোনো নিবন্ধে প্রকাশ করেছেন কি?

নৃসিংহপ্রসাদ : উনি তো ব্রাহ্ম ছিলেন, অতএব উনি অদ্বৈতবাদী। ওঁর সম্বন্ধে শান্তিনিকেতনে আমি বক্তৃতা দিয়েছি। ওঁর সাহিত্যে বৈষ্ণব সাহিত্য, পদাবলী এবং বৈষ্ণবভাবের অগাধ ইনফ্লুয়েন্স আছে। এখানে উনি একেবারেই দ্বৈতবাদী। বৈষ্ণবভাবের মূল কথা হলো, ভক্তের যেমন ভগবানকে প্রয়োজন, তেমনি ভগবানেরও ভক্তকে প্রয়োজন। এজন্যই রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন – “আমায় নইলে ত্রিভুবনেশ্বর, / তোমার প্রেম হতো যে মিছে।” এটা অনেকটাই গালিবের সেই কথাটার মতো, “ন ম্যায় হোতা তো ক্যায়া হোতা।”

সালেহা : চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন আপনার কাছে সামাজিক গীতিকবিতার মতো। এ প্রসঙ্গে একটি কথা খুব জানতে ইচ্ছে করছে, আপনি কবিতা লিখেছেন কিনা।

নৃসিংহপ্রসাদ : কবিতা লেখার চেষ্টা প্রত্যেক বাঙালিই করে। কিন্তু আমি বুঝেছিলাম কবিতা লেখাটা আমার দ্বারা হবে না। আমার মনে হয়েছে বঙ্কিমচন্দ্র গদ্যেও কবিতা লেখেন। বঙ্কিমচন্দ্র লিখতেন “আইস আয়েষার রূপ বর্ণনা করিব”, বলে একটার পর একটা লাইন বলে যাচ্ছেন, সেটা কবিতার মতোই। বানভট্টের গদ্য কবিতার মতো। শুধু ছন্দ থাকলেই কবিতা হয় না। আবার ছন্দ ছাড়াও কবিতা হয়।  

সালেহা : দেবতাদের সম্বন্ধে কবিদের রসিকতা, কৌতুক, অপশব্দ ব্যবহার সম্পর্কে আপনি বিস্তর লিখেছেন – একালের দৃষ্টিতে দেবতা, রাক্ষস এবং মানুষের সম্পর্ক একটু বুঝিয়ে বলুন।

নৃসিংহপ্রসাদ : দেবতাকে আমরা কোনো অন্তরীক্ষলোকের অধিবাসী হিসেবে দেখি না, দেবতা আমাদের সঙ্গে প্রিয়ত্বের সম্বন্ধে থাকেন সব সময়। মানুষের মধ্যেই অনেকে আছেন দেবতার মতো, আবার অনেকে অসুর-রাক্ষসের চেয়ে কিছু কম নয়। এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও খল লোক বেড়ে গেছে। অন্যের লেখা চুরি করে ফেসবুকে লিখছে। কাউকে এখন বিশ্বাস করা যায় না।

সালেহা : “কলিযুগ”-এ লিখেছেন আমাদের শাস্ত্রকাব্য এবং গুরুবাহিত জ্ঞান সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া জরুরি। “বেদপাঠে মেয়েদের বেদদত্ত অধিকার” প্রবন্ধের শেষে বলেছেন – “আমাদের সমাজে রমণীরা অর্ধেক আকাশ। তাঁদের অধিকার আকাশের মতোই স্বতঃসিদ্ধ।”

নৃসিংহপ্রসাদ : আমি আপাতত মেয়েদের নিয়ে লিখছি। বেশ বড়ো বই হয়ে বেরোবে সেটা। আমাদের দেশটা যে কতটা মডার্ন ছিল সেটাই বোঝাবো। দেশটা যে পুরোপুরি মনুর মতে চলে, এটা ভুল ধারণা। থিওরি আর প্র্যাকটিস আলাদা। অর্জুন গীতায় বলছেন -- যুদ্ধ মোটেই ভালো নয়, যুদ্ধের ফলে পুরুষমানুষ কম হয়ে যাবে এবং এতে স্ত্রীরা দুষ্ট হয়ে পড়বে, অন্য পুরুষের আশ্রয় নেবে এবং বর্ণসংকর সন্তান জন্মাবে -- “স্ত্রীষু দুষ্টাসু বার্ষ্ণেয় জায়তে বর্ণসঙ্করঃ।।” অর্জুন এটা বলছেন, কারণ সমাজে এটাই হতো। অর্থাৎ সমাজটা প্র্যাকটিক্যালি মনুর মতে চলেনি। সমাজ থিওরি অনুযায়ী চলে না। সমাজ সমাজের মতো চলে। সেখানে মেয়েদের অধিকার, কথা, মেয়েদের প্রতিবাদ কিছু কম ছিল না। এগুলিই দেখাবো।

সালেহা : আপনি বলেছেন, “চৈতন্যদেব নিজে এক ছত্র লিখলেন না”। কিন্তু একালে “শ্রীচৈতন্যের কবিতা” নামে বই প্রকাশিত হয়েছে।

নৃসিংহপ্রসাদ : উনি আটটা শ্লোক লিখেছেন। শিক্ষাবিষয়ক। 

সালেহা : বঙ্গদেশের বিদ্যাচর্চার এখনকার ধারা নিয়ে কিছু বলুন।

নৃসিংহপ্রসাদ : সেটা পুরো শেষ হয়ে গেছে। শেষ হওয়াটা আমরা সকলে মিলে চেয়েছি -- মাস্টারমশাই এবং গার্জেন সকলেই। এখন খুব সিম্পল পরীক্ষা হচ্ছে। টিক চিহ্ন দিয়ে পাশ করা যাচ্ছে। আগে এম.এ.-তে বাংলা ডিপার্টমেন্টে সেকেণ্ড ক্লাস ফার্স্ট হওয়ার মধ্যে একটা ব্যাপার ছিল, আর এখন তো একশো একান্ন জন ফার্স্ট ক্লাস পাচ্ছে! এরা বলবে আমরা এম.এ. পাশ করেছি, কিন্তু চাকরি পাচ্ছি না। এটা বলে লাভ নেই। কারণ এর থেকে কঠিন সিলেবাস করে দিলে স্কুলেই ঢুকতে পারবে না। তখন কী বলবেন? কাজেই সরকারের দোষ দিয়ে লাভ নেই। সরকার মানুষের ঊর্ধ্বে নয়। মাস্টারমশাইয়ের কানমলা না খেয়ে, অতো আরাম করে বিদ্যাচর্চা হয় না। আর এই জেনারেশনের মাস্টারমশাইদের উপরেও আমার কোনো বিশ্বাস নেই। আমি জেনারেশন গ্যাপের কারণে এটা বলছি না। আমি যা দেখছি, তাই বলছি।

সালেহা : সংবাদপত্র, টেলিভিশন, বেতার, ইউটিউব, ফেসবুকে আপনার অজস্র সাক্ষাৎকার আছে। অনেক জিজ্ঞাসার উত্তর সেখানে পাওয়া যায়।

নৃসিংহপ্রসাদ : ইউটিউবে যে গালাগাল খাই সেটা দেখে বুঝি অনেকের জানার পরিধি কত কম। তাঁরা কমেন্ট করার আগে কিছু ভাবেন না, বোঝেনও না। অদ্ভুত ধরনের স্বাধীনতা তৈরি হয়েছে। আমি বললাম, কৃষ্ণ “গূঢ়ঃ কপটমানসঃ” যার অর্থ তিনি নরলীলায় আছেন, কপট বেশে আছেন। সেটা না বুঝেই কমেন্ট করে দিল, আপনি কোন সাহসে কৃষ্ণকে কপট বলছেন? তবে ভালো কমেন্টও প্রচুর আছে। সেটা অস্বীকার করছি না।

সালেহা : একজন পাঠকের কাছে আপনি শব্দমূর্তিতেই পৌঁছান। করোনাকালে দেখেছি আপনার ‘মহাভারতের অষ্টাদশী’ (সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত) অনেক অষ্টাদশীকে বৌদ্ধিক জীবনে অনুপ্রাণিত করেছে। সত্যিই আপনি দূরদর্শী। নারী স্বাধীনতার অসহিষ্ণু উচ্চারণের ক্ষেত্রে মহাভারত বিকল্প হিসেবে কাজ করে। আপনি যথার্থই বলেছেন – “এখানে প্রেম, ভালোবাসা, যৌনতা এবং নারীপুরুষের এককোটিক উদগ্রতাও এমন এক মহাকাব্যিক সহনীয়তার মধ্য দিয়ে পরিশ্রুত, যাতে অনেক কিছুই শিক্ষণীয় হয়ে উঠে, এমনকী পালনীয়ও বটে।”

নৃসিংহপ্রসাদ : সেটাই, সেটাই।

সালেহা : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। জ্বলদর্চির উৎকর্ষ বৃদ্ধির জন্য, পাঠকের জন্য আপনার সুপরামর্শ চাই।

নৃসিংহপ্রসাদ: জ্বলদর্চি যা করছে, সেটাই যথেষ্ট। ঋত্বিক যা লেগে থাকতে পারে, জ্বলদর্চির উন্নতি হবেই।

🍂

Post a Comment

0 Comments