Posts

আমি আমার মতো /পর্ব -১৭/সুকন্যা সাহা

Image
আমি আমার মতো পর্ব -১৭ সুকন্যা  সাহা জন্মদিন  জন্ম দিনে ফুল ফুটেছে বেশী?  নিজের হাতে লাগানো টবটাতে?  জন্মদিনে আকাশ আলো আরও?  ফাগুন হাওয়া দখিন দিকের ছাতে?  জন্মদিনের বসন্ত বিকেলে দোলন চাঁপা গাছের নীচে যাব  ফুল পড়বে ঝরকে ঝরকে  আশীর্বানী মাথায় তারই পাব।  জন্মদিনে দিগন্ত লাল হবে....  কৃষ্ণচূড়া পলাশ আর শিমূলে  কোঁচড় ভরে রাখব স্মৃতিগুলো  আঁচল রঙীন হবে যে লাল ফুলে ।  জন্মদিনে দিদার হাতের পায়েস  ছোটো ছোটো ভালো লাগার সুখ  মায়ের মতো দিদাও আজ ছবি  হারিয়ে গেছে ভালো বাসার মুখ....  তবুও আজ জন্মদিন আসে  বয়স বাকল ঝরে পড়ে রোজ  পুড়ে যেতে যেতে উজ্জ্বল হই আরও ....  চলতে থাকে জীবন সত্যের খোঁজ .... জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।  👇 জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ https://chat.whatsapp.com/JWMuazCj0LLA1FNgunt5HY আরো একটা বসন্ত কাটিয়ে  দিলাম । জীবন বৃক্ষ থেকে খসে পড়ল আরো একটা পাতা ... মেঘ রোদের খেলায় কেটে গেলো এতগুলো বছর । পিছন  ফিরে  দেখলে  দেখি কত কি হারিয়েছি ... পেয়েছি   তার  থেকেও বেশী ।কি পাইনি তার হিসাব মিলাতে  মন নয় রাজি ... কত টুকরো টুকরো স্বপ্ন ছিল , মিলিয়ে গেছে জলছবির মতো ...  আজ মন

একমুঠো ভিয়েতনাম/চতুর্থ পর্ব/স্বপন কুমার দাস

Image
একমুঠো ভিয়েতনাম (চতুর্থ পর্ব)  স্বপন কুমার দাস লিস্টের প্রথম দিকেই আমাদের নাম থাকায় ড্রাইভারের ঠিক পিছনের লাইনেই বসার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেই সুবাদে প্রথম থেকেই চোখের ক্ষিদে মিটিয়ে নিচ্ছিলাম আমি।বলতে ইচ্ছে করছিল, “ আহা! কী দেখিলাম! জন্মজন্মান্তরেও ভুলিব না”। চলতি পথে হঠাৎ এগিয়ে এলো দু’টি সদৃশ সবুজ পাহাড়। ঠিক যেন পটে আঁকা নিখুঁত  তুলি চিত্র। বিশ্বস্রষ্টার কী অনির্বচনীয় সৃষ্টি! মনে হলো রূপকথার স্বর্গের তোরণদ্বারে প্রবেশ করছি। তিরতির করে স্পিড বোট এগিয়েই চলেছে। যাত্রাপথে বিপরীতে এগিয়ে আসছে ছোট, বড়, সবুজ, ধূসর, ছিটকাবরা, বিভিন্ন আকৃতির পাহাড়। এ যেন, “এক পলকের একটু দেখা, আরও একটু বেশি হলে ক্ষতি কী?” অল্পক্ষণের মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম সেখানে, যেখানে নোঙ্গর করে আমাদের জন্য প্রতীক্ষা করছে ক্রুজ অ্যাডেলা।  মন্থর গতিতে আমাদের স্পিড বোট গিয়ে আ্যাডেলার গায়ে ঠেকা মাত্রই ইউনিফর্ম পরা ক্রুজ-স্টাফ এগিয়ে এসে, অভ্যর্থনা করে আমাদের  জাহাজে চড়তে সাহায্য  করলো। আমাদের কেবিন বুক করা ছিল দোতলায়। সামনের সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় ওঠা মাত্রই ওরা আমাদের নিয়ে গেল সুসজ্জিত ডাইনিং হলে।  ওদের প্রথামতো আপ্যায

যেতে যেতে পথে-৬৪/রোশেনারা খান

Image
যেতে যেতে পথে রোশেনারা খান পর্ব ৬৪ আজ খান সাহেব বেশ ভাল মুডে আছেন। সকালে একা হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। দুপুরে একা চুল কেটে এলেন। ওর ও কী বাড়িতে বন্দি থাকতে ভাল লাগে? দেখা যাক কতদিন সুস্থ থাকেন? সকাল থেকে ব্যস্ততার মধ্যে কেটেছে। কমলেশ নন্দকে   ‘ঝরা বকুলের মালা’ ছড়া সংকলনটি করতে দিয়ে গেছলাম। আমি বলাতে শিল্পী মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের মানবদা খুশি হয়ে আমি যেমনটি স্কেচ করেছিলাম ,তেমনই প্রচ্ছদটি এঁকে দিয়েছিলেন। আজ কমলেশ ফোন করে জানাল বই রেডি। ‘আমি নারী’ প্রবন্ধের বইটির কাজ চলছে, বই মেলায় প্রকাশিত হবে। এমনটাই প্রকাশক জানিয়েছেন।      আজ স্কুটারটা একজনকে বিক্রি করে দেওয়া হল। কি হবে আর? পড়ে থেকে লোহা হয়ে যাবে। বাইকটা পাপুকে এমনিই দিয়ে দিয়েছি। গাড়ি আর একটা সাইকেল রয়েছে। কত কি বিলিয়ে দিলাম, বিক্রি করে দিলাম। আরও কতকি দিয়ে দিতে হবে। তবে গাড়িটা দেবনা ভেবে রেখেছি। ভাবলেই যে তা  ঘটবে, এমন নিশ্চয়তা কোথায়?  কতও কিই তো ভেবে ছিলাম। তার কিছুই তো হয়ে উঠল না।       আমার ছড়ার বইটির কোথায় মোড়ক উন্মোচন করব? তা নিয়ে নয়ন পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করলাম। দীপা ফোনে ডেকেছিল, বড়দিন উপলক্ষ্যে। যেতে ভাল ল

শমিত ভঞ্জ (অভিনেতা, তমলুক)/ ভাস্করব্রত পতি

Image
মেদিনীপুরের মানুষ রতন, পর্ব -- ৪৬ শমিত ভঞ্জ (অভিনেতা, তমলুক)  ভাস্করব্রত পতি তিনি তমলুকের 'ছেনো'! ১৯৪৪ এর ২ রা জানুয়ারি জন্ম। তমলুকেই পৈতৃক ভিটে। প্রীতিময় ভঞ্জ এবং শীলা ভঞ্জের তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে তিনি একজন। তিনি শমিত ভঞ্জ। বাকিরা হলেন অমিত, সবিত এবং কৃষ্ণা। বাবার কাজের সূত্রে ছোট থেকেই চলে যেতে হয়েছিল জামশেদপুরে। সেখানে ভর্তি হন লয়েলা স্কুলে। যদিও ফিরে এসে ভর্তি হন তমলুকের হ্যামিল্টন হাইস্কুলে। ২০০৩ এর ২৪ শে জুলাই মারা যান তিনি। সেই বসত বাড়িটি রয়ে গিয়েছে তমলুকের বুকে। বাকিরা কেউ নেই। শুধু রয়ে গিয়েছে একরাশ বিস্মৃতপ্রায় ঘটনা এবং এক জমাটি অভিনেতার অভিনয় দক্ষতার নিদর্শন। হয়তো অনেকেই ভুলে গিয়েছে তাঁর কথা। বিশেষ করে এই প্রজন্মের কাছে শমিত ভঞ্জ একজন অপরিচিত ব্যক্তিত্ব।  কিন্তু তিনি তমলুকের গর্ব। অভিনেতা শমিত ভঞ্জ বিপ্লবতীর্থ তমলুকের মানুষ। বাংলা সিনেমার এক অন্যতম বলীয়ান অভিনেতা হিসেবে তিনি পরিচিত। তিনি তাঁর অভিনয় জীবনে সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিংহ, হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, গৌতম ঘোষদের মতো ভারত বিখ্যাত পরিচালকদের চলচ্চিত্রে

বিস্মৃতপ্রায় কবি ফণিভূষণ আচার্য /নির্মল বর্মন

Image
বিস্মৃতপ্রায় কবি ফণিভূষণ আচার্য  নির্মল বর্মন অধ্যাপক ফণিভূষণ আচার্য রোমান্টিক অনুভূতি , আভিজাত্য , বর্তমান সময় ও সমাজকে পাথেয় করে তাঁর কবিতাগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ মর্যাদা দিতে পেরেছেন। ফণিভুষণ আচার্য কবি ও অধ্যাপক হিসাবে সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন সাহিত্য চর্চা করেছেন। নদীয়ার ফুলিয়ার কৃত্তিবাস সর্বজনবিদিত কিংবদন্তি ।  সেই "কৃত্তিবাস"নামাঙ্কিত পত্রিকায়  সর্বদা লেখা দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন। কবি ফণিভূষণ আচার্যের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ গুলি হলঃ-- 'ধূলি মুটি সোনা' ১৯৫৫ ; ' আমরা ভাসানে যাচ্ছি' ১৯৭১ ; 'ধর্মদা আর কতদূর' ১৯৭৩ ;  'মনীষা কোথায় আছো'১৯৭৭ ;  'আমিই অভিমুন্য , আমি লখিন্দর' ১৯৯০ ; 'জংলা  পাড়  ডুরে শাড়ি' ১৯৯০  ;  'ভালোবাসার জন্ম' ১৯৯৪ ; 'অশ্রুদীঘল নদীর ভাষা' ১৯৯৬  ; 'গর্ভধারিনী মা-কে' ১৯৯৮ ; 'কবিতা সমগ্র' ২০০০ ; 'রোদ্দুর ঘরে ফিরছে' ২০০১ ইত্যাদি। ১৩৭০ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসের "কৃত্তিবাস" পত্রিকায় প্রকাশিত "তৃষ্ণায় গুলির শব্দ"  কবিতায় মানব জীবনে চাওয়া-পাওয়ার

মহাভারতের কর্ণ - এক বিতর্কিত চরিত্র -১২/দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী

Image
মহাভারতের কর্ণ - এক বিতর্কিত চরিত্র                                                দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী                                                দ্বাদশ পর্ব                         দ্রৌপদী বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করলেন " ভীষ্ম বা দ্রোণ অপেক্ষা ভয়ঙ্কর ভীষণ যোদ্ধা কৌরবপক্ষে কে আছে"?  " আছে সখি, তুমি কি মহারথী কর্ণের কথা বিস্মৃত হয়ে গেলে"? "কর্ণ কি এঁদের থেকেও বীর"? দ্রৌপদীর এই প্রশ্নের উত্তরে বাসুদেব বললেন "তুমি ভুলে গেলে কেন কর্ণ ও ভীষ্ম উভয়েই জামদগ্নির শিষ্য। ভীষ্ম যেমন ভয়ংকর কর্ণও তেমনিই। তোমার স্বয়ম্বরকালে উপস্থিত সমস্ত নৃপতিকুলের মধ্যে একমাত্র কর্ণই লক্ষ্যভেদ করেছিলেন। কর্ণ যেদিন ভয়ঙ্কর হবেন সেদিন কেবলমাত্র অর্জুন ছাড়া অন্য কোন পাণ্ডবভ্রাতা বা বীর তাঁর সঙ্গে জয়লাভ করতে পারবে না"।  দ্রৌপদী চিন্তাক্লিষ্ট হয়ে জিজ্ঞেস করলেন "তাহলে কি উপায়? তাহলে তিনি তো এখনো সেইরকম ভয়ঙ্কর আছেন"। বাসুদেব ঈষৎ হাস্যে বললেন "আমি সেই ভয়ঙ্কর সাপের বিষ দাঁত ভাঙার ব্যবস্থা করেছি"। বিস্মিতা দ্রৌপদী প্রশ্ন করলেন "কিভাবে&quo

জঙ্গলমহলে জৈন ধর্ম ও সরাক সম্প্রদায়- ২য় পর্ব /সূর্যকান্ত মাহাতো

Image
জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি পর্ব - ৬৩ জঙ্গলমহলে জৈন ধর্ম ও সরাক সম্প্রদায়- ২য় পর্ব সূর্যকান্ত মাহাতো "হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন জৈন ধর্মীদের বর্তমান 'মনুষ্যাবশেষ'(human relics) বলে পরিচিত সরাকদের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্যের কথা ডালটন সাহেব উল্লেখ করেছেন। সেটা হল, ব্রিটিশ আমলে কোন অপরাধের জন্য তারা নাকি শাস্তি পায়নি। এইজন্য তারা খুব গর্বও অনুভব করে।"(পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি/বিনয় ঘোষ, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪৪৯) "তারমানে ব্রিটিশ অত্যাচারের বিরুদ্ধে জঙ্গলমহলের অন্যান্য জাতি ও সম্প্রদায় যখন গর্জে উঠেছিল সরাকরা তখন নীরবতা বজায় রেখেছিল! ডালটনের কথা ধরলে, তার মানে পরবর্তীকালে অর্থাৎ স্বাধীনতা আন্দোলনেও নিশ্চয়ই তারা কোন রকম ভাবেই অংশ নেয়নি? এমনটা তো ধরে নেওয়া যেতেই পারে। যেখানে চুয়াড় বিদ্রোহের মতো একটার পর একটা বড় বড় বিদ্রোহ জঙ্গলমহল জুড়ে গড়ে  উঠেছিল!" "না। তার কারণটাই ছিল তাদের ধর্মীয় আদর্শ।" "কী রকম সে আদর্শ?" "সরাকরা কোনরকম বিদ্রোহ বা আন্দোলনের পক্ষে নয়। এটা তাদের 'নীতি বিরুদ্ধ'। এই প্রসঙ্গে ই.টি. ডালটন একটি ভালো কথা বলেছ

কবিতার দিনে/আবীর ভট্টাচার্য চক্রবর্তী

Image
কবিতার দিনে আবীর ভট্টাচার্য চক্রবর্তী (১) নিবিড় ভালোবেসেই তাকে নিবিড় করে পাওয়া; প্রেরণা স্বরূপ আভাসে ভাসে অনুভবী সে মায়া।  অভ্যস্ত যাপনে জাগে আলোময় সুরেলা সঙ্কেত যে জন পেয়েছে তাকে,তার বোধ দিব্য অনিকেত।  বর্তূল উপেক্ষাব্যথা অস্বীকৃত অপরা সংলাপে কাব্য অজেয় সুধা, তার স্হিতি নিত্য বিপ্রতীপে।   লৌকিক আশায় দেয় ভ্রান্তিহরা স্বস্তির নির্দেশ  গভীর নির্জন সুখে এ সাধনা ধ্রুব অনিঃশেষ।  প্রেমেরও অধিক প্রেমে জ্বলে ওঠে অনির্বাণ আলো মরমী যে জন তাকে আজন্মই কবিতা স্পর্শালো!...  (২)  আমার শব্দ তোমার মন ছুঁলে এই বসন্তে মোহন বিপর্যয়  শব্দগুলোও ধুসর রঙ ভুলে রামধনুতে নিয়েছে আশ্রয়।  এই তো সেই আকিঞ্চন রীতি রূপকথায় যেমন যা যা হয়…  কাব্যে শুধু কল্পনা-প্রেম-গীতি,  তবুও শেষে সৃষ্টিসুখেরই জয়।  আমার শব্দ তোমার মন ছুঁলে স্বপ্ন-অধীর কলমে অরুণোদয় আমার লিখন স্বচ্ছতোয়া হলে অন্ত্যমিলের আর করি না ভয়।  (৩)  কবিতাদেউল থেকে কখনও দূরে চলে গেলে... এ জীবন স্পষ্টতই প্রেমহীন হবে পূর্ণ আকাঙ্ক্ষাসুখে ক্লেদ-ঈর্ষা-কালো আলিঙ্গনে থাকবে না জোছনার আলো! যে আসঙ্গে পাপ নেই,যার প্রেমে স্পর্শাতীত সুখ কবিতা-কাননে ত

গুচ্ছ কবিতা /অমিত কুমার রায়

Image
গুচ্ছ কবিতা  অমিত কুমার রায়   আলোকবর্ষ    বলি ও বড়বৌদি শুনছো গো? ---- ও করবী তুই চিল্লাস কেনো সাত সকালে? --- তোমাদের টিভি আর আমাদের রেডিও ভরসা! --- তো রেডিও এখন চলে? --- চলে বলে চলে! আকাশবাণী কি গঙ্গার জলে ভেসে গেছে? --- কি বলবি তাড়াতাড়ি বল। ---- নতুন একটা গ্রহের সন্ধান মিলেছে গো। --- তুই সেখানে চলে যা  ----- আমি যাই কি আমার নাতি নাতনি যায় দেখা যাক! --- তোর বিয়েই হলো না তো আবার  --- হবে তো। মাত্র একত্রিশ কোটি আলোকবর্ষ দূরে চলে যাব দূষণ মুক্তি নিয়ে! --- কে তোকে নিয়ে যাবে? কে তোর বৈজ্ঞানিক বর রে শুনি। --- প্রচার হবে কে যাবে গো নতুন গ্রহে। ----- তা সেই গ্রহ কেমন দেখতে? ----- গোলাপী! এই গ্রহের সমান ভর বলছিল। বোকারা চাঁদে জায়গা কিনেছে,আমি গোলাপী গ্রহেই জায়গা  কিনব!! ---- কুঁজোর চিৎ হয়ে শোবার সখ! ---- সুযোগ পেলে যাবই তো। যতো প্লাস্টিক, ড্রেনের জল, কলকারখানার বর্জ‍্য সমুদ্রে পড়ে জল বিষাক্ত হচ্ছে। সে খবর কজন মাথায় নেয় বরং অন‍্যায় করে চলেছে। ---- এতো জানলি কি করে? ---- রেডিও কেনো। বিজ্ঞান কথা শোনো সব জানতে পারবে। --- আর কি বলেছে? ----- হ‍্যাঁ। লাল গোলাপি সবুজ বিষাক্ত শেওলার জন্ম হয়ে

দূরদেশের লোকগল্প—ইউক্রেন (ইউরোপ)পাতা ঝরার গল্প /চিন্ময় দাশ

Image
দূরদেশের লোকগল্প—ইউক্রেন (ইউরোপ) পাতা ঝরার গল্প চিন্ময় দাশ হাজার হাজার বছর আগের কথা।  এক দিন দেখা গেল, ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করেছে। সবাই বুঝে গেল, শীত আসছে। পাখির দল, যে যেখানে ছিল, দক্ষিণে গরমের দেশের দিকে ডানা মেলে দিল। বসন্তকাল অবধি সেদিকেই থেকে যাবে তারা।  একটা পাখি ছিল, যার একটা ডানা ভাঙা। উড়তে পারে না বেচারা। লাফিয়ে লাফিয়ে চলতে হয় তাকে। এখন কী করা যায়, কী করা যায়-- পাখিটা বুঝতেই পারছে না। এদিকে তাকায়, ওদিকে তাকায়। এদিকে যায়, ওদিকে যায়। যেতে যেতে, বড় বনের কাছে গিয়ে হাজির। বনটা বেশ বড়ই। অনেক গাছগাছালি। বড় বড় সব গাছও অনেক সেখানে। নিশ্চয় শীতকালটা কাটানো যাবে এখানে। এই ভেবে, বেশ ভরসা এলো মনে। সামনে একটা সিলভার বার্চ গাছ।  পাখিটা লাফিয়ে লাফিয়ে, ডানা ঝাপটিয়ে গাছটার কাছে গিয়ে বলল—বার্চদাদা, বার্চদাদা! আমার তো একটা ডানা ভাঙা। উড়ে দূর দেশে চলে যাবো, সে ক্ষ্মতা নাই। বসন্তকাল আসা পর্যন্ত তোমার ডালগুলোতে একটু থাকতে দেবে আমাকে?  --কী যে বলো না, তার নাই ঠিক। বার্চগাছটা বলল—শীতে তো আমারই সঙ্কট। নিজের পাতাগুলোকে বাঁচাতেই হিমসিম খেয়ে যাবো আমি। তার উপর আবার তোমার বোঝা? হবে না গো। অন্য

দেশান্তরী-১১/হিল্লোল রায়

Image
দেশান্তরী-১১ হিল্লোল রায় রাজা হেথায় ,  পূজা সেথায় ,  চলে অভিসার শীতের রাতে রাস্তার নিশ্চুপতার মাঝে আমরা দুটি প্রাণী - ডঃ চৌধুরী ও শ্রীমান। আর্গোসিতে ফিরতে প্রায় রাত ৯ - ১৫ মিনিট। সঞ্চয় ঘোষ ও আমার ছোটমামা তুষার নিয়োগী - দুজনে মিলে জম - জমাট আড্ডা বসিয়ে ফেলেছে আর্গোসিতে ড্রইং রুমে। আমার আকস্মিক প্রবেশ ওঁদের গুরুগম্ভীর আলোচনায় ক্ষণিকে র  বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিল। আমিও নিজেকে কিছুটা অপ্রস্তুত মনে করলাম এবং ওঁদের আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটানোয় কিছুটা লজ্জিত ও হলাম। কিন্তু আগেই বলেছি ,-  বন্ধুবর সঞ্চয় ঘোষ হল নিষ্প্রাণ আলোচনায় সজীবতা আনতে এক অত্যাশ্চর্য্য “এনারজাইসার”। -“ হ্যাভ এ লুক  এ্যাট  হিরে - হি ইস নট স্লীপিং - অলোয়েজ থিংকিং অন ইমিগ্রেশ্যান” -  সঞ্চয়ের কথাগুলো বলতেই ছোটমামাও মুচকি হেসে আমাকে আলোচনায় অংশ নিতে পরোক্ষ ইংগিত জানালেন। আমিও সানন্দে ছোটমামার চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে চাঙ্গা হওয়ার চেষ্টা করলাম। ইমিগ্রেশ্যানের প্রস্তুতি নিয়ে আমার পেছনে লাগার বিষয়টা নতুন আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠল। আমাদের তিনজনের আলোচনার মুখরতা তখন সপ্তমে। উৎসাহকে দ্বি্গুণ করার প্র্য়াসে উইলস ফ্লেকের মুখাগ্নি করে নেওয়া হল। আ