দী প্তে ন্দু জা না
দরজা দাও
দেখিনি
ওই বাঁকানো ভুরুর চেয়ে দুর্ঘটনাপ্রবণ অঞ্চল দ্বিতীয়টি দেখিনি
পৌরুষ ওখানেই রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায় প্রতি জন্মে
এই রাজনীতি ভালো
এই রাজনীতি খতমের
আর কোনো সূচনা এই মৃত্যুর চেয়ে ভালো নয়
দেখিনি
ওই পায়ের ছাপের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন ভাস্কর্য দ্বিতীয়টি দেখিনি
ও সুন্দর তোমার সৌন্দর্য দেখে
সুন্দর নিজেও ধন্য হয়
একটা দড়ির মই মানে উদ্ধার
উদ্ধার মানে বাড়িয়ে দেওয়া একটা হাত
আর একটা হাত মানে
গোটা ইউরোপ
শস্য দেখলে খুঁটে খাও
হুস বললে উড়ে যাও
এইতো জীবন
আর প্রেম উচ্চাকাঙ্ক্ষী পাখি ছাড়া কিছু নয়
দেখিনি
ওই লালচে টিপের চেয়ে ধনী কোন রাষ্ট্র দ্বিতীয়টি দেখিনি
চাঁদের পিঠে কান্না ঝরলে চাঁদও তার শরিক
দরজা দাও
যে এসেছে সে একজন বৈধ নাগরিক
পিয়ানোর ধুন
কৃষ্ণচূড়ার আর্তনাদ। শুনেছো তৃষা?
প্রাপ্তি আর অভাববধের
মাঝে ছোট্ট একটা ড্যাশ আছে।
তাকে আমি মালভূমি বলি।
প্রাপ্তি আর অভাববোধের
মাঝে ছোট্ট একটা ড্যাশ আছে।
তাকে আমি তেষ্টা বলি।জানো তৃষা?
এক পথ দূরে শস্যখেত
এক পথ দূরে কাকতাড়ুয়া
এক পথ পেরোলেই
ওত পেতেে সফেদ বক
আমার সমস্ত পথ তোমার
ভেষজ বাড়ীর পাশ দিয়ে যায়।
শুধু শূন্যের নাভি যখন জ্বলে জ্বলে রোদ হয়
কৃষ্ণচুড়ার আর্তনাদগুলো
তোমার জন্য তৃষা
সুমিষ্ট পিয়ানোর ধুন হয়ে যায়।
দরখাস্ত
দূরত্ব বজায় রাখো তৃষা
ঠিক ততটাই
বনলতা সেন যত ইঞ্চি দূরে রেখেছিল জীবনানন্দকে
নীরা যত ইঞ্চি দূরে রেখেছিল সুনীল বাবুকে
কাছাকাছি এসো তৃষা
ঠিক ততটাই
যত কাছে এলে
হাহাকার টুকু মোচড় দেয় বুকের ভেতর
আর মাথার ঘিলুর ভেতর
তেমন ভাবেই চোখ
তেমন ভাবেই দাঁত
তেমন ভাবেই জিভ
আর তেমন ভাবেই স্পর্শ
যেন ওই নাভির গোলাপী কোটরে এক ফালি মৃত্যুঞ্জয়ী
চাঁদ দেখা যায়
দোহাই তৃষা, নিজেকে এর বেশি নগ্ন করো না
শেষ ইচ্ছে
চেয়েছি তুমি খোঁপায় গুঁজে রাখো
অহংকার
চুম্বনের মুহূর্তে
অধর যেভাবে ঠোঁটকে জড়িয়ে ধরতে চায় সেভাবে তো চাইনি তোমায়
চাইনি তুমি নরম ছুরিটি নামিয়ে রাখো
মাটিতে
চেয়েছি শুধু নদী বরাবর এমনভাবে হাঁটো আমার মৃতদেহের উপর
যেন তোমার পায়ের ছাপ দেখা যায়
অবহেলা নামের ফুল
১.
তেঁতুল পাতা ওড়া রোদ
রোদের ভেতর মুখ নীচু করে আছে কত প্রত্যাখ্যান
কত উপেক্ষা
ধুলো মেখে পথটি নিজেই যাযাবর হয়ে গেছে
বিস্কুটের ভেতর একা হেঁটে হেঁটে
কী খোঁজো স্মৃতি
দেশলাই বাক্সের মধ্যে অবহেলা নামের
একটি ফুল আজও ফুটে আছে
২.
যার ফুল নেই
সে দরিদ্র
যার কান্না নেই
সে আরো দরিদ্র
ফুল আসলে সেই চিরকালীন অসুখ
যখন কান্নাকেও সুখ মনে হয়
৩.
স্মৃতির গভীরে স্মৃতিকে মনে হয়
পরিত্যক্ত গ্রাম
স্মৃতির গভীরে স্মৃতিকে মনে হয়
পরিত্যক্ত কুয়ো
স্মৃতির গভীরে স্মৃতিকে মনে হয়
হতভাগ্য কন্ডোম
ব্যাবহার না করেই যাকে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে
কারো প্রগাঢ় ছায়া আজও সে গ্রামে যায়
কুয়ো টেনে জল খায়
পাছে কেউ দেখে ফ্যালে
সেহেতু কন্ডোমের ভেতর লুকিয়ে পড়ে লজ্জায়
৪.
হাতের চেটো যেভাবে আগলে রাখে সান্ধ্য
প্রদীপ হাওয়ার ঝাপটা থেকে
কান্নাটিকে সেভাবেই আগলে রেখো চশমা
অবহেলা নামের ফুলের চেয়ে
কোন পারিজাত দামি নয়
৫.
ভালোবাসার কাছে গেলে কোথাও
একটি মোমবাতির পতাকা জ্বলে ওঠে
ভালোবাসা চলে গেলে কোথাও
একটি মোমবাতির পতাকা জ্বলে ওঠে
আপেল জানে আপেলের ভেতর একটা বৃক্ষ
বাস করে
আসলে
ভালোবাসা সেই বৃক্ষ যার ডাল থেকে
মাংস উড়ে যায়
-------
1 Comments
ভালো কবিতা।
ReplyDelete