নি মা ই জা না
ডাইমেনশনাল ও চাঁদ
প্যারাসিটামলের মতো দুপুর
ঘুমিয়ে পড়ে ভেজা ঘামে
শরীর জুড়ে বৈতরণী খেয়া-পারাপার
সাঁকোর নিচে --,
দাঁড়িয়ে আছে শিউলিপুর আর
কালিদহের ইজেল ,
অ্যাবস্ট্রাক্ট আবেগের ধূলো এসে লাগে ঠোঁটে
ধোঁয়া ওড়ে পাশের চিতায়
তিলক মাখে প্রতিটি ঈশ্বর দাগে---
ইন্দ্রিয় জুড়ে ঈশ্বর পুরুষ খেলা করে
কাঁধ থেকে নেমে আসে অশরীর কলস জল
বিবর্ণ সুখের শ্রী জুড়িয়ে আছে চাঁদ
কৃষ্ণচূড়ার দুঃখ মানেই থ্রি ডাইমেনশনাল
বেঁচে আছি নিঃশেষ দুপুর এক
একটি শরীর থাকে এক একটি অ্যাপসে
যুবতী মেপে নিচ্ছে উষ্ণ দুপুর
অ্যান্ড্রয়েড পারদে।
অ্যাসপিরিন
আমরা সবাই শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছি
পেন্ডুলাম মেপে নেয় হৃদপিন্ডের মাপ
কালো কালো প্রিয় জন
মাথার সারি এগিয়ে আসে, আমার দিকে ,
তাদের মায়া নেই মোক্ষ নেই দাবী নেই
পরপার কথা মুখে মুখে, অতৃপ্ত কথা শরীরজুড়ে। মৃত্যুর স্বর গন্ধ ছায়ার মত চাঁদ
অপূর্ণতার যন্ত্রণা লিখে চলে স্বর্গসুখে
মায়েদের সুখ ঝুলে থাকে স্যালাইনের মতো।
অদৃশ্য নিরাময় পালক বুকে গুঁজে নিয়ে চারদেওয়াল হয়ে যায়, মৃত্যুর আগেই জেনে যায় সকল মৃত্যুর কথা, চার দেওয়াল জুড়ে
এসপিরিন, স্টেরয়েড ভোর হয়ে আসে ক্রমে,
মায়েরা এখন শান্তিতে ঘুমোতে চলে যায়।
লিটমাস
এডমিট কার্ড উড়িয়ে দিচ্ছি, ভাসিয়ে দিচ্ছি, ইলেভেন কেমিস্ট্রি ক্লাসের লিটমাস।
শরীরের সব রঙ ঢেলে
পরীক্ষা করতে চাইছেন বাবা।
এটলাস পর্বত-এর মানচিত্রের রেখা বেয়ে
জ্বলন্ত ভিসুভিয়াসের তলায়
শিক্ষা দিচ্ছেন দ্রোণাচার্য।
শিক্ষা দিচ্ছেন পাখির চোখ,
কৃষ্ণচূড়া স্থল পদ্মাকে।
কৃষ্ণচূড়াকে কোন রূপে ভালোবেসেছি কিনা, এলোমেলো চুল আর স্কুল ইস্কুল পড়ছি কিনা আগুন কালবৈশাখীর মত
উড়ে বেড়ায় চারপাশে।
আগুনে পোড়ার পর সাদা রং কেউ দেখেনি, বৈরাগ্য গেরুয়া হয়ে ফুটে আছে ফুলে।
ফাংশান অফ ফাংশান
ফাংশন অফ ফাংশনের কথা বলতেই
কেশব রেগে গেল, বলল মেঘকে পোড়াতে নেই ধ্রুবতারা যে হাতে শক্তি নিয়ে হাঁটছে
তার বালিশে মাথা রেখে কেবল শুয়ে পড়তে হয় , আকাশ হয়ে গেলাম, আকাশচারী হয়ে গেলাম। গায়ের প্রতিটি তিল ক্ষেত্র এখন এক একটি জনপদ। গিরিখাত হলেন বাবা----
বৃশ্চিক চক্রে ঢুকে যাচ্ছে সারাটা শরীর।
নীল এসিডে ডুবিয়ে দিল নিজেকে
ষষ্ঠী মঙ্গলের হলুদ পাতা আর
বাঁশ কলমে প্রেমের অভিসার গান
কাগজ পোড়াই পৃষ্ঠায়, বিষকে পোড়ায়
রাতের দোকানে। যাত্রার শেষে নিজের মুখ থেকে রং গুলো তুলে ফেলছে এখন
বাতাস হাসছে দেখো একা একা।
মাস্টারমশাই ও রোদ বৃষ্টি
ঘোলাটে চোখে সিড়ি ভাঙছেন মাস্টারমশাই তেলচিটে দেওয়ালে শরীরের শ্বাসবায়ু,
সুগার অসুখ। পাঠশালার কলরবে ঝাপসা মুখ, হলুদ পড়ুয়া ফ্রেম, লাঠি হাতে করেন না অনেকদিন
চোখ এখন দিকশূন্য পারে---
কণ্ঠস্বরে চিনতে পারেন জগাই বর্মন কে।
বিকল স্পন্দনে বাইপাস অপারেশন,
পা ভাঙা টেবিলের ক্যালকুলাসে
কোকিল গিলে ফেলে কৃষ্ণচূড়ার দাহ কথা, গাণিতিক।
--------
0 Comments