স্বস্তিকা ধর
রেশ লাগে রেশমের
১৩ ই আষাঢ়, ১৪৩২
স্নান সেরে উঠে আসছি আজ
যত্নে পরমা !
কক্ষনো 'অতি' কোরোনাকো - পান্ডিত্য ফলালো, মন
একপায়ে ঘাসফুল রং
একপা পাপোষে
বাগানের গাছেদের বলি
' কি ভেবেছিস কি!
একা তোরাই হীরের কুচি ?
একা তোরাই হাওয়ায় জল ?
আজ আমায় দেখে ; এখন কি বলবি বল ! '
নাভির নির্যাসে ল্যাভেন্ডার
ফুটেছে গাঢ়, বেশ ...
রেশ লাগে রেশমের
প্রেমিকের দরবারী কানাড়া, দরাজ
হু হু করে পর্দা উড়ছে
পুরোনো কেল্লার দুপুর
বালিতে পা পুড়িয়ে , খর চোখে ময়ূর তীব্র
স্নানঘরে আজ , বালু বালু দেহাত -
সাথে পাহাড়ি পাথর হাতায়, তোমার অপেক্ষা
সাংকেতিক লিপি লিখি
সাংকেতিক সুর গড়ি শখে
ওরা বলে , এ বিশ্ব জড়ানো-মড়ানো স্নায়ু পিন্ড
স্নায়ু তন্ত্রী
কে যে যন্ত্র, কে যে যন্ত্রী !?
সব মেলা মেশা !
স্নানের পাপোষে পা রেখে
যে খরটান হয় -
পঞ্চাশ ডিগ্রির মরু লু ; বর্ষার স্নানগরে বয়
তোমার বুকের ভেতরে রাখা হৃৎপিণ্ড তারে
ল্যাভেন্ডার খুশবু , বেজে বেজে ওঠে
দিল্লির হাওয়া - গুম ঘরে
তুমি ছটফটে পেন্সিলে
বসিয়ে ফেলেছো তীক্ষ্ণ দাঁত
এই গল্প ততক্ষনে ,
আধমরা কম্বল, আর শুকনো খয়েরি পাতা রাশ
অতিক্রম করে
সব নিয়ে জেগে উঠছে শিরশিরে ইথারে ইথারে
🍂
রশ্মি – বরিষ
১৩ ই আষাঢ়, ১৪৩২
[আলোর বয়ামে , জমে উঠলো , না হয়ে ওঠা আদরের গুটিপোকাদের জটলা । মায়ার সাগরে মোমলতার পাতা , কাপাশ তুলোর ভারে গা ভাসায়, কাঁপে । ]
কাকচক্ষু জল
নিচে স্ফটিক হৃদয়
আপাদমস্তক রাজি
বাদ সাধছে প্রাক্তনের ভয়
[চৌকো সময়-বাক্সে বন্দি, ভালোবাসার পরী । হাতে হাত কলকাতাকে সে পড়েছে প্রেমিকের ফ্যাকাশে ঠোঁটে। জুটছে না খড়কুটোও। ]
নজরবন্দি হৃদয় সেঁকছি
রাঙা চাঁদের ভাপে
পাষান আধেক প্রাণ পেয়েছে
রাধার চোখের তাপে
[ এদিকে মেঘ এসে বসে আছে তড়িঘড়ি। বাসা না বানালে , ঝুপ বৃষ্টির নিচেই তাদের জ্বর আসবে খুব ]
রাত্রির কথোপকথন
সম্মোহন
কতবারই তো হয়েছে
নিজের কাছে
তোমার কাছে
নিজের কাছে
আত্মঘাতী ধ্বংসের কি ত্রুটি রয়েছে ?
[ জাদুই শব্দের আখড়ায় তোমার শুকনো পাপড়ি ঠোঁট, বুনো গোলাপ খুব । না শেষ হওয়া কবিতায় , মলিনতায় , নরম । কথাসরিতসাগরে অন্যমনে চুপ]
দীর্ঘ দশক পরে শ্বাস ভরি
তোমার জঙ্গল ফেরত হাসি
অক্সিজেন , সালমা – জরি
তাড়াতাড়ি ফুটে উঠেছো
ভোমরা ডেকেছো
জংলী মধুর ভোজে
0 Comments