ম ল য় শং কর ম ন্ড ল
গল্পগাছা
নিভতে চাওয়া হ্যারিকেন কোন ভুল করে না।
সমাধি-নৈঃশব্দের রাতে
মনে পড়িয়ে দেয় দিনগুলি একে একে চলে যায়।
তার পৌরুষের ছাপ রেখে যায় শরীরে শরীরে,
কেঁপে ওঠা পলতের আগুনের মুখে
ভেসে ওঠে আবছায়া আমাদের মৃত গ্রাম---
এখন যেখানে জোনাকি জ্বলছে
খানিকটা উচ্ছিষ্টের মতো
গম্ভীরপুরের ঘাটে একলা বসে আছি,
মায়াবেড়ি তার পশ্চাৎপট।
অব্যক্ত চালাঘর,বেশ কিছু লোক...
দেখছি যেন আমারই প্রশান্ত ছায়া,
যারা নিয়ত মাতৃজঠরের দিকে যাচ্ছে।
জন্ম-কুণ্ডলী
দিনগুলো ফিরে আসছে,
তাদের আত্মা খাঁটি হৃদয়ের...
ক্যালেণ্ডার খানিকটা গন্ধর্বের ভূমিকায়,
তারও কিছু মানসিক ক্লান্তি আছে।
এখন তোমার মুখ জিপসি হাওয়ার মতো
বাকি সব কিশোরের ফুটপাত।
যেন বলো--"এসো সিগারেট,
পোকাকাটা পোট্রেটের মতো
অহংকারী হয়ে উঠি একা ও একাকী।"
ওই আর কি
বহুদিন হল কিছু লিখি না।
কেবল 'বইঘর' থেকে
পেন্সিল, শার্পনার,ইরেজার কিনেছি।
নিজেকে ছুলতে গিয়ে দেখি
তেমন পেন্সিল নই,শার্পনার ঠিকই আছে।
তাই পেন্সিল বক্সে বসে বসে সময় কাটাই
রাত্রি হলেই ছিলকেগুলোকে ধরতে যাই
তবে সেসব থাকলে তো!
ফলে ইরেজার ইউজ করতেই হয়।
গোঙানি
হিমশীতল মাঠের কাছে আসি,
থৈ থৈ জলে ডুবে থাকা তার
যেন গঙ্গাজলে প্রাক্-অন্তর্জলী!
কোন নির্মোক তাকে চুমু দিয়েছে?
সীমানা পার হয়ে চলে গেছে বিসর্পিল ভালোবাসা
সেও এক হত্যাকারী বিদ্যুতের তার।
-----
0 Comments