জ্বলদর্চি

পার্থ সারথি চক্রবর্তী


পা র্থ  সা র থি  চ ক্র ব র্তী  


গৃহবন্দির কবিতা



এক অসহ্য নীরবতা,চেনা মুখ আজ বড় অচেনা।
দুর্বার অশ্বারোহী আজ দিকভ্রান্ত।কোন মোহজালে।
কোথাও দেখি না উদ্ভাসিত আলো।ঘোর অমানিশা।
মরীচিকা দেয় বিভ্রম আর খেলে মৃত্যু মৃত্যু খেলা।

ঘুণপোকা গড়ে আস্তানা অজান্তে সবার,কেউ দেখে না।
যেখানে ছিল স্বপ্নের বসবাস,  আজ শুধুই যাতনা।

 ২  

হৃদয় চিরে যাওয়া শীতল হাওয়া, 
মনে করায় হিমাংকের সাইবেরিয়া।
পেটের ভেতর পাকিয়ে আসা মাংসপিণ্ড,
বারবার একই ভুল, কিভাবে এড়াই বলো দন্ড!
তবু আশায়, আসবে কোন এক দেবদূত! 
বলবে,  দেব ক্ষমা; জেনে রাখ নিশ্চিত্।
আকাশে রহস্য যত,মাটিতে পায়ের দাগ,
বাতাসে কান পাতি, শুনি তোমার গানের রাগ।




উদ্বেগের ঘেরাটোপে জীবনের প্রহরগুলো,
আটকে থাকে বিরক্ত স্নায়ুর জাঁতাকলে।
হৃদয়ের উচ্ছ্বাস কবে থমকে গেছে 
অসময়ের উদ্দাম অতিসক্রিয়তায়।

উন্মাদনার সব সুর আকাশের নীলিমায়,
অব্যক্ত কষ্টের সাথে মেশে নিরাশায়;
ঘুমঘরে গোঙায় জীবনের চাওয়াগুলো, 
কোমাতে যায় স্পৃহার ঘোরে থাকা স্বপ্নেরা।

কল্পনায় সুখ পাই মহাশূন্যের উদারতায়,
আয়োজনে জীবনের সুকঠিন বাস্তবতা;
আমাদের জীবনে আজ জীবাণুর বসত,
তাই নেশা হয় রক্তের এক পেয়ালাতেই।




রক্তের গহ্বরে পুড়ছে জীবন, সব সুর বদ্ধ তানপুরায়;
স্বপ্ন ও আজ জ্বলে পুড়ে যায়।
জীবনটা আজ আর উড়তে পারে না;
যেন ভাঙা ডানায়।

শ্যামলতা আজ রূক্ষপ্রায়, অনুর্বর জীবনের মাঠ;
সময়ের শস্যক্ষেত তাই শূন্য থেকে যায়।
জীবনটা আজ পালকহীন পাখি, 
ওড়ে না, ভাসেও না।

আগুনের গভীরে শীতলতার করূণ হাহাকার;
আমাদের ভক্ষনে মেটায় ক্ষুধা।
স্বপ্নকে তাড়ায় হিংস্রতায়।
জীবনটা আজ আগুনের কোলে।



বালির উপর চলছে আচঁড় টানা, 
 দিন-রাত, রাত-দিন।

হলাহল মেশানো সময়ের নখ দিয়ে।

খুঁজি প্রলেপ সেই সময়েরই কাছে, 
  যদি দেখি কোন পথ;
   কাছে বা সুদূরে।
-----

Post a Comment

0 Comments