দে বা শি স প্র ধা ন
শুভেচ্ছায় আছাে নীল পাতা
১
এভাবেই উৎসর্গ করি শুভেচ্ছার পথ
এভাবেই সাবাড় করি প্রিয়ময় শব্দের ঘরামী
আড্ডায় বুঁদ হওয়া বালি ও বালিকা ঘেরা
আমাদের রাত। ভসরাঘাটের শেষ সীটে টিনের বড়ির মতাে বাজতে বাজতে দেশদত্তবাড়ের দিকে
মোরামের কাঁকড়াবিছা পথ চলে গেছে।
সবুজ পাখির চোখে স্বপ্নের কৌমুদি হয়ে নীলাঞ্জনা বালিকাটি চেয়েছিল, তার নামে কবিতা রচনা করি, একান্তে শাসন করি
দু'ঠোটে প্রবল..
এই শুরু নীল পাতাঘরে তুমুল উল্লাস
শুভেচ্ছা সফরের হাওয়ায়। দ্যাখাে নীলা
বাঁই বাঁই মহাশূন্যতায় স্তনস্নিগ্ধ জ্যোৎস্না উড়ে চলে
২
আজ তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে চাঁদ ঘােড়ামারা চরে। সারারাত কেঁদেছে গ্রাম্য হাওয়া যুবতী কদম কেয়ার ঝাড়ে। খােলাচুলে জল মেলা
নত মুখ প্রণতি মুদ্রায়, ঋতুমতী দিনমান
বিহান বেলায় জ্বেলে চোখের তারায়
আজ তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে গেছে চাঁদ...
রক্তঋণ
শোধ করা কী যায়! আর যায় না বলেই
বার বার উঁচু হয়ে থাকি
সদর্পে গান গাই, কবিতায় মক্সো করি
অজানা আতঙ্কে যদি ঘুম ভেঙে
দেখি, অজাগর আমাদের
চোখের সমাবেশে ঘটে চলেছে
প্রতিরোধ আর প্রতিবাদের
গ্রাম গঞ্জে বিভোর জীবন নির্বেদ।
পঁচেটগড়
চতুর্দিকে নীলজল, স্বচ্ছতোয়া, বাতাসও ফুটেছে ফুরফুরে। এনেছি প্রণাম
এই মুগ্ধ তরবারি। গড়খাই পাড়ে শুয়ে আছে সবুজের ছায়া। ঝর্ণাদের
সেকি আনন্দ-কথার কৌটো। গমগমে। প্রলম্বিত মায়া শুষে নিচ্ছে কথা
স্মৃতিধার্য ঐতিহ্য সম্পদ। রাসফুলে চাঁদ ঢালে আলো-ঝারি
কালা পাথরের চকচকে শরীর, শিল্পিত বিগ্রহ দেখে খুঁটিনাটি।
চিন্ময় ঝর্ণারা রাজতন্ত্রে ঢলে পড়ছে, আমিও জারিত হচ্ছি
নীরব বিদ্রোহের ভাষা পড়ো, মুগ্ধ বিস্ময়ে পড়ো কলম্বরা নদীঘাট
ধুপ্রদী ঘরাণা। চাঁদের মুগ্ধ ব্যকরণ মুখে মুখে রাসের রঙন ফুল
ছুঁয়ে গেল ঈর্ষাকাতর মেঘ, ছরছর জল ছড়িয়ে দিচ্ছে বেদম অফুরন্ত
সোনা ধানের প্রচ্ছদে।
ইসতিস
মাথার ভেতর রাত্রি লুকিয়ে রেখে তুমি বেশ ছটফটাচ্ছ রোদ্দুরের আঁশে।
কে কখন দখল করবে স্বপ্নের চেয়ার
গাঁটছড়া বাঁধা অত্যন্ত জরুরি, হে শ্যামরাই
প্রতিকোষে,আঁফর-ডাঁফর শাঁস। লেখো তবে
অন্যমুখ শ্লোক। ভেতরে ভেতরে কাটুক আঁধার,
শ্লেটের খড়ি দাগ, এসপার ওসপার ছুটুক কথা,
আদার ব্যাপারী হ'য়ে জাহাজের গপ্পো হ'ল ঢের!
বড়বাবা, কাকু জেঠুদের বৈঠকী মেজাজে
এবার নতুন কিছু হোক, আঁধার ছিঁড়ে
এখনই প্রচ্ছদে আঁকা হোক তুমুল ওড়ার ছন্দ
নতুন ডানায় ছড়িয়ে পড়ুক নম্র নীল
ওড়ার ইসতিস্। আলোর ইসতিস্। আলোর চিবুক ছুঁয়ে
চুমু খাচ্ছি সোনা, আমাদের অনিবার্য কবিতার অক্ষর!
-----
1 Comments
পড়লাম। অভিনন্দন।
ReplyDeleteপঁচেটগড়ের এক রাজকুমারীকে
ফরোয়ার্ড করেছি " পঁচেটগড় " কবিতাটি।