আসরাফ আলী সেখ
মাটির চাঁদগুলো উড়ে যাচ্ছে আকাশে
নাম ডাক এই সভ্যতা
নামে না খুঁজে পেলেও পেয়ে যাবে মৌনতার দম্ভে
সব সভ্যতার আলো নিভিয়ে শুধু একটা নাম লিখতে চাইছে
প্রচ্ছদ ছাড়াই
প্রকাশিত কালো কবিতার একটা বই
পরিযায়ীরা সব ফিরে গেছে
ওদের পালকগুলো এখনো টাটকা
শ্বাসকষ্ট এখনও জেট পাখায় লেগে আছে
আর
ঈশ্বরের কাছে একটা নতুন গ্ৰহ উপহার পেয়েছে ওরা
আমরা ভুলে গেছি মানুষের চেহারা
অন্ধকার খোঁজ করছে আলোর গলিঘুচি
যদি আগুন লাগনো যায়
আর
যতটুকু জোছনা ছিল তাতে আর যায় হোক কোনো উৎসব হতে পারেনা
এখন উৎসব চলছে আগুনের
আর গানগুলো অতি পুরনো
তবে সুর কিন্তু সেই ঐতিহাসিক সব পাথরের সভ্যতার
এমন কেউ কি নেই যে জলের কথা বলবে
আমরা চলছি গড়গড়িয়ে
তবে গড়াতে লেগেছি মনে হচ্ছে যেমন পিরামিডগুলো এখন গড়াগড়ি খাচ্ছে গগাচ্ছে আর গলতে লেগেছে বড় বড় দেওয়াল সারি
মাটির চাঁদ গুলো উড়ে যাচ্ছে আকাশে
তবে
পুরোনা একটা সোনার বেহালা আমাকে গান শুনিয়ে যাচ্ছে মাটির ঐ চাঁদের গল্পঃ গুলোতে নতুন সুর বেঁধে
আর আমি কবিতা লিখছি তার কাঁধে হাত দিয়ে
আমি যেন এখনও বেঁচে আছি এই ভেবে
🍂
কারা যেন সংসার পাতছে রাত সরিয়ে
মানুষ
এক মাকাল ফল
দিল্লির লাড্ডুর প্যাকেজ জাত এক পবিত্র ব্র্যান্ড
ঘাড়ে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া পথে এক পান্থশালায় ঈশ্বর
আর
আমি উঁকি দিচ্ছি পৃথিবীর দিকে
দেখছি রাতের নক্ষত্র মতো এক বটগাছের ঝুরি নেমেছে তাতে দোল খাচ্ছে আমার মতো দেখতে কেউ বা কিছু ভালো ঠাওর হচ্ছে না
তবে
কারা যেন সংসার পাতছে
রাত সরিয়ে
এটাই যেন ঈশ্বরের এক আনন্দ আখড়া
আর
কিছু নীল আকাশী গানের পাখি ঈশ্বরকে গান শোনাচ্ছে
আমি মিশে গিয়েছিলাম নিরাকার আকারে
আর বৃষ্টি নামছিল ঐ গাছটায় হাল্কা উষ্ণ শুভেচ্ছায়
তবে জীবন এক পরিযায়ী শ্রমিক
আমি এক সৌখিন পুতুল
আসরাফ আলী সেখ
হারানো
এক নতুন খোঁজ রাত বৃষ্টির হাতড়ানোর অদৃশ্য চোখ
দৃশ্যমান শূন্যতায় ভর্তি বুক
নগ্নতার রঙ বসন্তে
একাকী
থিতু জ্বলন্ত শ্মশান দুপুর নক্ষত্ররা পুড়ছে ছটফটিয়ে শ্রাবণ নদীর ঠোঁট টেপা হাসি
হাতদুটো ঝুলছে হৃদয় কবরে
জীবন
এক পলকানো সাঁকো পায়ের খুঁটি সোচ্চারে হলবলে মেরুদন্ড
শরীর এক কর্পূর বোতল
0 Comments