জ্বলদর্চি

ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকার প্রয়াণ দিবস

"ঘুম দেবো আমি এক মুহুর্ত, 
এক মুহুর্ত, এক মিনিট, এক শতাব্দী;
কিন্তু সবাই জেনে রেখো আমি এখনো মরিনি...." --- লোরকা। 


 ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা 
 (০৫/০৬/১৮৯৮ --১৯/০৮/১৯৩৬)

স ন্দী প  কা ঞ্জি লা ল  

অমাবস্যার রাত স্পেনের "গ্রানাডা" শহর থেকে কাছে "ভিজনার" আর "অ্যালফ্যাকার" শহরের মাটির রাস্তার কাছে দাঁড়িয়ে আছি। হঠাৎ দেখি একটি প্রাইভেট গাড়ি থেকে বেরিয়ে এল, এক সাদা প্যান্ট আর ব্লেজার পরিহিত এক যুবক। তার ভ্রূ জোড়া বেশ ঘন আর বাঁকা বাঁকা কপালের মাঝখানে, ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু পিচকালো চুলের সঙ্গে একপাশের গভীর সিঁথি তার ৩৮ বছরের মুখের সঙ্গে মানিয়েছে খুব। তবে তিনি একা নন তাঁর সঙ্গে ছিল আরও তিনজন। কালো তাঁবুর মতো আকাশের নীচে তাদের ঘিরে রেখেছে পাঁচজন সশস্ত্র সৈনিক। সেই গাড়ির হেডলাইটের আলোয় দেখতে পাচ্ছি, তারা মাটির রাস্তা ধরে জলপাই গাছের ভেতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে দূর থেকে আরও দূরে। এই তিনজন ততক্ষণে বুঝে গেছেন তাদের হত্যা করা হবে। তবু তারা ছপ্ত পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন, যেভাবে মানুষ কোন কিছু রহস্য জানার জন্য হাঁটে। কারণ ঐ সাদা প্যান্ট পরা যুবকটি যে আগেই বলেছে, "পৃথিবীর আর সব জায়গায় মৃত্যুই শেষ কথা।  মৃত্যু আসে, চিরতরে পর্দা নামে কিন্তু স্পেনের বিষয়টি ভিন্ন, এখানে বরং মৃত্যু সব পর্দা, সব আড়াল সরিয়ে দিয়ে সব কিছু দৃশ্যমান করে তোলে"। আর সেই দৃশ্যের ভেতর আমাকে ঢুকতেই হবে। কারণ কবি উপন্যাসিক সুনীল গঙ্গ্যোপাধ্যায় বলেছেন, "পৃথিবীর যাবতীয় কবি, যারা নিপীড়িত, তাদের হয়েও প্রতিশোধ নিতে এক কবি হিসেবে আমার উঠে দাঁড়ানো"।
এই যুবকটি আর কেউ নন, স্পেনের কালজয়ী কবি 'ফেদেরিকো গার্সিয়া লোরকা'। " কী অসাধারণ কবি! আমি আর কারো মধ্যে তার মতো প্রতিভা ও চুম্বকের মতো প্রফুল্লতা দেখতে পাইনি"।- একথা বলেছিলেন বিশ্ববন্দিত কবি "পাবলো নেরুদা"। লোরকা জন্মেছিলেন ৫ই জুন ১৮৯৮ সালে গ্রানাডা অঞ্চলের 'ফুয়েন্তে ভাকুইয়েরোস' গ্রামে। তার বাবা শুধু ধনী কৃষক নন, বিরাট চিনি কলের মালিক ছিলেন। মা "ভিসেন্তা লোরকা রোমেরো" ছিলেন শিক্ষিকা। স্প্যানিশ রীতি অনুসারে তার পিতৃ বংশের পদবী আগে গার্সিয়া আর মাতৃ বংশের পদবী পরে লোরকা নিয়ে তাঁর নামকরণ হয়েছিল, "ফেদেরিকো দেল সাস্রাদো কোরাজন দে জেসোস গার্সিয়া লোরকা"। সংক্ষেপে তাঁর নাম ছিল "ফেদেরিকো  গারসিয়া লোরকা"। মা শিক্ষকতা ও পিয়ানো বাদক হওয়ার সুবাদে ছোটবেলা থেকে সাহিত্যের সঙ্গে সংগীতে ও ছিল বিশেষ আগ্রহ। ছোটবেলায় অসুস্থতার কারণে তিনি খুঁড়িয়ে চলতেন। খুব অল্প বয়স থেকে পড়াশোনার সঙ্গে সঙ্গে থিয়েটারে ও যোগ ছিল প্রবল। বিশেষ করে ধ্রুপদী সঙ্গীত আর ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীতে ছিল প্রবল আগ্রহ। তাইতো তিনি বলেন, "প্রাচীন গানের ঝরনা আর ফোয়ারাই কবিদের পথ দেখায়"। যখন মুখের অসুস্থতার জন্য জন্মের পর তিন বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতে এবং চার বছর বয়স পর্যন্ত না হাঁটতে পারার কারণে, অন্য ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মিশতে পারতেন না। এই একাকিত্ব তার কল্পনাশক্তি ও চারপাশের জগতের রূপরসগন্ধ শুষে নেওয়ার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছিল বহুগুণ। 
প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে ১৯১৫ তে লোরকা "গ্রানাডা" ইউনিভার্সিটিতে লিটারেচার, ল এবং মিউজিক কম্পোজিশনের উপর লেখাপড়া করেন। ১৯১৬ সাল পর্যন্ত 'এন্তোনিও সেগুরা' র কাছে সঙ্গীত বিষয়ে তালিম নেন। এরপর তিনি 'মাদ্রিদ' বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। মাদ্রিদে পড়াশুনার সময় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে প্রখ্যাত পরাবাস্তববাদী চিত্রশিল্পী 'সালভাদর দালি'র সঙ্গে। চলচ্চিত্র পরিচালক "লুই বুনুয়েল" ও বন্ধু ছিল "লোরকা"র। ১৯১৮ সালে বাবার আর্থিক সহায়তায় তার প্রথম বই প্রকাশ পায় "ইমপ্রেশনস এন্ড ল্যান্ডস্কেপ্স"। ১৯২০ সালে যুক্ত হন স্টেজ থিয়েটারের সাথে এবং লেখেন তার প্রথম নাটক "দ্য বাটারফ্লাই ইভল স্পেল"। সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে নাটককে তিনি সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল নাটক দিয়ে মানুষের জীবনের ও সমাজের ব্যপক পরিবর্তন সম্ভব। তাই তিনি লিখেছিলেন, "The theatre is a school of weeping and laughter, a free forum, where men can question norms that are outmoded or mistaken and explain with living example the eternal norms of the human health". নাটকের সঙ্গে সখ্যতা ছিল তার আমৃত্যু। সারাজীবনে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে নাটক করে বেড়িয়েছেন।১৯২১ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে, 'লোরকা' "রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর" এর "বিসর্জন" নাটকেও অভিনয় করেছিলেন। রবীন্দ্র রচনার হিস্পানি ভাষার অনুবাদক "সেনোবিয়া আইমার" এর ভাষান্তরিত সে নাটকে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরবর্তীকালে বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্রকার "লুইস বুনুয়েল"। 
লোরকা আসলে এমন একজন আধুনিক হিস্পানি কবি যাঁর কবিতা ও জীবন প্রতিকী অভিযোজনায় পৃথিবীর সংবেদনশীল কবিতা পাঠকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে। তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে আধুনিক হিস্পানি কবিতার প্রধান প্রতিনিধি বলে গণ্য করা হয়। হিস্পানি উপত্যকায় শত শত বছরের বহমান ঐতিহ্যবাদী সাধারণ জীবনপ্রবাহকেই তার রচনায় ধরতে চেয়েছেন। আর এই কবিতাগুলিকে বলা হয় "জিপসি ব্যালাড"। গ্রানাডার জিপসীদের জীবন, প্রবৃত্তি, প্রবনতা এবং আবেগ এই কবিতার মাধ্যমে ধরা আছে। এই জিপসিদের জীবনের ধর্মবোধ যৌনতা হিংসা কলহ অবদমিত কাম খুন লড়াই সব লিপিবদ্ধ করেছেন এই বালাদের মাধ্যমে। তাই 'লোরকা' হচ্ছেন আধুনিক সাহিত্যের জনপ্রিয় 'লোককবি'। যাঁর মধ্যে একই সঙ্গে আধুনিক জীবনবোধ, দৃষ্টিভঙ্গি আর অভিজাত অনন্য রচনাশৈলী মিলেমিশে একাকার। বিশ্বকবিতার কেন্দ্রে তাই সহজেই স্থান করে নিতে পেরেছেন। তিনি মোট ১৮টি বালাদ লেখেন। তার মধ্যে তিনটি কবিতার থিম যৌনতা সংক্রান্ত। তাঁর নিজের প্রিয় বালাদ ছিল 'নিশিডাক'। যেখানে তিনি লেখেন,"সবুজ তোমারে চাই তোমারে সবুজ,/ একা তরী সাগরের পার এবং /একলা ঘোড়া পাহাড়ের প্রান্তরে।"
ব্যক্তিগত কারণে মানসিকভাবে "লোরকা" যখন বিধ্বস্ত। তখন জুন ১৯২৯ এ তিনি নিউইয়র্কে যান। সেখানে কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়ার কারণ দেখিয়ে। ১৯৩০ এ কিউবা, আর্জেন্টিনা বেড়িয়ে আবার স্পেনে ফিরে আসেন ১৯৩১ সালে।
লোরকার কবিতা এত সঙ্গীতময় ছিল যে, স্পেনের সেরা সঙ্গীতশিল্পী 'মানুয়েল দে ফাইয়া' লোরকাকে "আমার পুত্র" বলে সম্বোধন করতেন। মনন ও সৃজনশীল সাহিত্যে "গ্রুপ পোয়েতিকো দে -১৯২৭" যে আধুনিকতার সূত্রপাত ঘটিয়েছিল 'লোরকা' ছিলেন সেই আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। লোরকার "দুয়েন্দের তত্ত্ব ও কার্যকারিতা" শীর্ষক যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তাতে বলেন, "কবিতায় ঘটবে উপমা ও প্রেরণার অভূতপূর্ব ব্যঞ্জনা, কিন্তু প্রেরণাই সব নয়।" এই কথাই আমাদের মনে করিয়ে দেয় কবি "জীবনানন্দ"এর সেই কথা, " উপমা ও অনুপ্রেরণা কবিতার উৎস, কিন্তু প্রেরণাতেই কবিতা সীমাবদ্ধ থাকবে না। কবিতায় থাকতে হবে ইতিহাসের অন্তঃশীল প্রেরণা"। তিনি "তিন বন্ধুর কিস্যা" কবিতায় লেখেন, "আমি হত্যা করেছি পঞ্চম চাঁদ/....আর নতুন মায়েদের ভেতরে গরম দুধ/ যা লম্বা সাদা বেদনায় সজীব করে তুলছিল গোলাপদের।" 'লোরকা' একবার তার কাব্য গ্রন্থের ভূমিকায় লেখেন, "আমি হয়তো ঈশ্বরের আশীর্বাদে অথবা শয়তানের প্ররোচনায় কবি হয়েছি, তবে কবিতার কৃতকৌশল কী, কবি হয়ে ওঠার জন্য কী কী করতে হয়, আমি তা জানি।" তার এই স্বীকারোক্তির প্রয়োগ দেখতে পাই "সাগর জলের গাথায়" কবিতায় যখন লেখেন, "সমুদ্র /দূরে হেসে হেসে চলে।/ ফেনায়িত দাঁত/ আকাশের দুই ঠোঁট।" সমুদ্রের এই যে মানবায়ন করলেন কবিতায় এটাই আধুনিকতা।
লোরকার জীবন যেমন, তেমনই তার কবিতারও একটি জরুরি দিক মৃত্যু ছাড়া অজানা থেকে যাবে। মৃত্যুর কন্ঠস্বর নিবিড়ভাবে শোনা, তাঁর হুশিয়ারি -সংকেতের তাৎপর্য বোঝার চেষ্টা করা এবং তা কবিতায় ফুটিয়ে তোলা, লোরকা কবির অন্যতম কাজ বলে মনে করতেন। তিনি নিজে এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, "শিল্পী, বিশেষ করে কবি, চূড়ান্ত অর্থে সব সময়ই নৈরাশ্যবাদী। তিনি কেবল তার ভেতরে জেগে ওঠা তিনটি প্রবল কন্ঠস্বর মন দিয়ে শোনেন। সবরকম আগাম সতর্কবার্তা সহ মৃত্যুর কন্ঠস্বর, প্রেমের কন্ঠস্বর আর শিল্পের কন্ঠস্বর।" কিন্তু জীবনের আনন্দে এই কবির কাছে মৃত্যু এত অনিবার্য কেন? যেমন কোনো সহজ উত্তর মেলেনা আঠারো বছর বয়সে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের লেখা, "মরণ রে তুঁহু মম শ্যাম সমান।"
জীবনের একেবারে প্রথমের দিকে কবিতা 'ছোট চত্বরে গাঁথা' কবিতা এক মৃত্যু লিপ্ত এক সংলাপ নাট্য। যেখানে শিশুদের বোঝানো হচ্ছে সে তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল হারিয়ে যাওয়া ঘন্টাধ্বনির খোঁজে ঐ মরণের ওপারে। কেন? না জীবনের শেষ যেমন শারীরিক মৃত্যু ঘটে, তেমনি প্রাপ্তবয়স্ক জীবন থেকে হারিয়ে গেছে শিশুবেলা, সেই মৃত্যু কে পেরিয়ে ছোটবেলার আনন্দ কি ফিরে পাওয়া সম্ভব? এই কবিতায় লোরকা দেখিয়েছেন হ্যাঁ সম্ভব 'কবিদের পথরেখা' ধরে। কবিদের একটাই কাজ মৃত্যুর অধিকার থেকে জীবনকে উদ্ধার করা। এরপর কতভাবে কতরুপে কত মৃত্যুকে তিনি দেখেছেন এবং কবিতায় তার রুপ দেখিয়েছেন। তার বন্ধু "সালভাদর দালি" বলেছেন, "লোরকা দিনে অন্ততঃ পাঁচবার মৃত্যুর কথা বলতো। রাতে যখন শোয়ার সময় ও কথা বলতো কথা শুরু করতো মৃত্যু দিয়ে শেষ করতোও মৃত্যু দিয়ে, বিশেষ করে নিজের মৃত্যু দিয়ে"। তাই তো তিনি লিখেছিলেন, " চারদিকে সাবধানে /যেদিকে তাকাই /আমি /দেখি ছুরি/ গেঁথে আছে হৃৎপিণ্ডে।"
এই মৃত্যুরই এক ভয়ংকর নিষ্ঠুর নিয়তি আঘাত হানলো লোরকার জীবনে। লোরকার জন্ম বছর স্পেন-যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে, স্পেনের অনেকটা অংশ হাতছাড়া হয়ে যায়। এই রাষ্ট্র উদ্ধারের চেষ্টায় দেশের প্রগতিপন্থী ও দক্ষিণপন্থীদের তীব্র মতভেদ হয়। ১৯২৯ সালে একটি নির্বাচনে প্রগতিপন্থীরা ক্ষমতায় আসে। যারা সমাজতন্ত্রী ও সাম্যবাদী। কিন্তু দক্ষিণপন্থীরা চুপ করে বসে থাকলো না। স্পেনের সামরিক কর্তা জেনারেল 'ফ্রাংকো' সেনাবাহিনীর একটি অংশকে কব্জা করে। এরসঙ্গে যোগ দেয় 'হিটলার' আর 'মুসোলিনী'। এদের সহায়তায় 'ফ্রাংকো' স্পেন দখল করে নেয়। এদের মূল লক্ষ্য দেশের শিল্পী সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী কবি লেখক। এদের একটাই শ্লোগান 'বুদ্ধিজীবী নিপাত যাক'। এই গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে, ১৯৩৬ সালে লোরকা বাস করতেন মাদ্রিদে। এসব দেখে শুনে লোরকা গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে। এখানেই ফ্রাংকোর বাহিনী তাকে ঘিরে ফেলে। কারণ তিনি বলেছিলেন, "আমি সবসময় থাকবো তাদের পাশে যাদের সহায় সম্বল বলতে কিছু নেই"। তিনি সমসাময়িক কবিদের মতো দাদাবাদ বা কল্পনার জগতে বিচরণ করেননি। তিনি মাটির কাছাকাছি গিয়ে মাটির মানুষদের জন্য লিখতেন। তাই তো রাতের অন্ধকারে ১৯৩৬ ফ্রাঙ্কোর বাহিনী তাঁকে মেরে ফেলবার জন্য ফাঁকা মাঠে নিয়ে যায়। 'লোরকা'র প্রশ্নের উত্তরে, সেই বাহিনী বলেছিল, "ওদের অস্ত্র যা ক্ষতি করতে পারে নি, তোমার কবিতা তার থেকেও বেশি ক্ষতি করেছে"। কবি ভবিষ্যতস্রষ্টা সবকিছু জানতে পারেন, না হলে তিনি মৃত্যুর আগে লিখবে কেন?, "Then I realized I had been murdered./ They looked for me in cafes, cemeteries and churches. /..... But they did not find me." সত্যি তো মাত্র ৩৮ বছর বয়সে,কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়,"...কবি নিঃশব্দে হাসলেন /দ্বিতীয় গুলিতেই তাঁর বুক ফুটো হয়ে গেল/কবি তবু অপরাজিতের মতো হাসলেন হা-হা শব্দে"। স্পেনের কোন তদন্তই কবির মৃতদেহ কোথায় আজও খুঁজে পায়নি। তাই এখন যে সমাধি আছে, তার উপর ঝরে পড়ে জলপাই গাছের পাতা। তারা প্রত্যেকেই মনমরা। তারা জানে কবি এখানে নেই। ফ্রাংকো বাহিনী জানতো, "জীবিত কবি ভীতিকর, কিন্তু মৃত কবি বড়ই ভয়ংকর।"

Post a Comment

0 Comments