জ্বলদর্চি

জ্বলদর্চি শারদ উৎসব ১৪৩২

জ্বলদর্চি শারদ উৎসব ১৪৩২

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সন্ধ্যায় মেদিনীপুর শহরের লোকনাথ পল্লি-র জ্বলদর্চি দপ্তরে অনুষ্ঠিত হল শারদ উৎসব। পত্রিকা,বই প্রকাশের পাশাপাশি ছিল সম্মান জ্ঞাপন, কবিতাপাঠ, আবৃত্তি, স্মৃতিচারণ।

অরূপ দণ্ডপাটের যন্ত্রসংগীতে শারদ উৎসবের সূচনা হয়। এদিন প্রকাশ পায় জ্বলদর্চি'র ২০২৫ বিশেষ 'সাক্ষাৎকার' সংখ্যা ও ১৪৩২ উৎসব সংখ্যা। প্রকাশ পায় অভিজিৎ দে সম্পাদিত 'গঙ্গা আমার মা' পত্রিকার 'কুম্ভ' বিশেষ সংখ্যা। লেখক সম্পাদক ভাস্করব্রত পতি-র হাতে 'সুষমা মহান্তী স্মৃতি সম্মান' তুলে দেন কবি-অধ্যাপক দিলীপ মহান্তী। 

উল্লেখ্য দুই মেদিনীপুর থেকে একযোগে প্রকাশিত জ্বলদর্চি'র এবারের বিশেষ সংখ্যার বিষয় সাক্ষাৎকার। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, পি সি সরকার জুনিয়র, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, আবুল বাশার, মাধবী মুখোপাধ্যায়, জয় গোস্বামী, দিব্যেন্দু বড়ুয়া, সম্বরণ ব্যানার্জী, পবিত্র সরকার, তসলিমা নাসরিন, স্মরণজিৎ চক্রবর্তী, শিলাজিৎ, রূপম ইসলাম প্রমুখ স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার রয়েছে। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শুভ্রাংশু শেখর আচার্য্য। 

১৪৩২ উৎসব সংখ্যায় কবিতা, অণুগল্পের পাশাপাশি রয়েছে মেদিনীপুরের লোকশিল্প ও তার বাণিজ্য প্রসঙ্গে ভাস্করব্রত পতি-র গুরুত্বপূর্ণ এক প্রবন্ধ। আর শুভ্রাংশু শেখর আচার্য্য-র লেখা ও রেখা নিয়ে মেদিনীপুর শহরের ওপর একটি বিশেষ ক্রোড়পত্র সংযোজিত হয়েছে। যেখানে স্থান পেয়েছে কলিজিয়েট স্কুল, স্টেশন, পুরোনো জলাধার, জগন্নাথ মন্দির প্রভৃতি স্থানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও স্কেচ।

'গঙ্গা আমার মা' পত্রিকার কুম্ভ নিয়ে নানা তত্ত্ব ও তথ্য উঠে এসেছে। কলম ধরেছেন সালেহা খাতুন, রাজর্ষি রায়, গৌতম বাড়ই, আবীর ভট্টাচার্য প্রমুখ। প্রচ্ছদ : অর্ণব মিত্র।

সম্প্রতি, সংস্কৃতিমনস্ক সুষমা মহান্তীর প্রয়াণ ঘটেছে। তাঁর স্মৃতিতে এই সম্মানজ্ঞাপন শুরু হল। আগামী বছরেও কোনও লেখককে এই সম্মান প্রদান করা হবে। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুষমা মহান্তী-র কৃতী সন্তান দিলীপ মহান্তী। 

'পুণ্যিপুকুর' পত্রিকার সম্পাদক ভাস্করব্রত পতি পেশায় শিক্ষক। তাঁর উল্লেখযোগ্য গদ্যগ্রন্থ: 'মেদিনীপুরের হাপুগান', মেদিনীপুরের লোকশিল্প', 'মেদিনীপুরের দেওয়ালি পুতুল','বাংলার মাদুর' ইত্যাদি।

এবার জ্বলদর্চি শারদ সম্মান পেলেন বাচিকশিল্পী আগমনী কর মিশ্র, কবি-অধ্যাপিকা সালেহা খাতুন, লেখিকা কমলিকা ভট্টাচার্য, গল্পকার মৌসুমী ঘোষ, আবৃত্তিশিল্পী স্বাগতা পাণ্ডে, লেখিকা দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে এবং চিত্রশিল্পী শুভ্রাংশু শেখর আচার্য্য। 

এদিন প্রকাশ পায় সৌমেন রায়ের গদ্যগ্রন্থ 'ইস্কুল ফিস্কুল'(বইবন্ধু প্রকাশনা)। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বরঞ্জন ঘোড়ই, উৎপল উত্থাসনী, সিদ্ধার্থ সাঁতরা, সত্যব্রত দোলই, রবীন্দ্রনাথ মান্না, মলয় জানা,  অরুণ দাস, তিতাস মণ্ডল, অমিতকুমার সাহু, অনামিকা তেওয়ারী, তনুশ্রী ভট্টাচার্য, নরেন হালদার, পুষ্পেন্দু বিকাশ বাগ, গৌতম মাহাত, তাপসকুমার দত্ত, সুব্রত দাস, অনিন্দিতা শাসমল প্রমুখ। কবিতাপাঠ করেন আবীর ভট্টাচার্য, আবৃত্তি করেন স্বাগতা পাণ্ডে। সঞ্চালনা করেন সঞ্জীব ভট্টাচার্য।

🍂

Post a Comment

0 Comments