জ্বলদর্চি

ইচ্ছে ফড়িং / সুব্রত মাইতি

   ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   


ইচ্ছে ফড়িং 

সু ব্র ত মা ই তি

কথামালার স্রোতে কী সম্পর্ক বোধ ! 
চুপ থাকে না কথার বুনন
সম্পর্ক লতার মতো জড়িয়ে জড়িয়ে 
মগডাল সীমাহীন চাওয়া পাওয়া 
পিপাসা জলোচ্ছ্বাসের মতো সম্পর্ক ভাঙন,
নদীর মতো পাড় ভাঙতে ভাঙতে আয়ু ক্ষয় 

তবুও আলোর সন্ধানে রাত জাগা 
মুখ তুলে তাকানো। 
বীজ অংকুরিত হলে মাটি শিহরণ 
অন্তর থেকে অন্তর গভীর সহবাস, 
কোনো যাদু শক্তি নয় স্পর্শে অনুভব 
পবিত্র প্রাণ -
কতবার আকাশে তাকালে 
তারাদের ঘর গোনা সম্ভব 
আর গোনা যায় কি....

পরম সত্যি এরা অগ্রজ আলোর উৎস 
সব তারা তো রামধনু রং হয় না 
কেউ কেউ খসে পড়ে অনাদরে বা অভিমানে।

তবু আজও আলোকিত প্রাণ ঢেলে সাজিয়ে রাত জাগা দিন-মাস-বছর-আলোকবর্ষ।
হা-হুতাশ করা সংসারে মাটির টান চিরন্তন 
মাটি গন্ধে বুক বাঁধা, বেলেমাটি 
আর এঁটেল-এর ঘ্রাণ এক নয় 
তবু্ও মিশে আছে ঐকতানে মাটির মায়ায়।
শরীরের পোশাক খুলে নিলে 
ঘাম শুষে নেয় মাটি। 

ঋতু বদলের সাথে সাথে ভূমি বদলে যায়, 
খোলা আকাশে পৃথিবীর হাতছানি 
নতুন প্রাণের। ইচ্ছে কুসুমের হাতছানি 
রঙ বদলের নানান ইঙ্গিত আঁকড়ে ধরে মনের ভেতর বেপরোয়া আনন্দ উজান। 

সম্পর্কের চোরাস্রোত প্র-পিতামহের 
জন্ম ভিটার টান উঁকি দেয় সব রঙ ফেলে। 
বালিহাঁসের মতো সাঁতার সেরে 
ঘরে ফেরা জন্মভিটাও আত্মা অমরত্ব 
পেলে আয়ু বটবৃক্ষ হয়।

আজকাল আমার কথারা লাশের মতো স্থির 
সব জেনে শুনে ও অজানা মায়ার পেছন 
ডুব সাঁতার, যার কোন আয়ু নেই আলো নেই 
শুধু ধূসর যা আধুনিক বৃক্ষ। 
শুধু দূষণ ছাড়া কিছু নেই কেবল অন্ধকার 
হঠাৎ হঠাৎ সংসার গোলকধাঁধায় গৃহিণীর 
প্রশ্নবাণ এমন ভাবনা তো হওয়ার কথা ছিল না
মাঝে মাঝে অকপট উক্তি 
"তুমি আজ অন্যরকম"

যুক্তি বিচার বিবেচনা করতে করতে 
হাঁপিয়ে উঠি অজান্তেই আশাহত বিবেকবোধ। এভাবে চলতে চলতে সরীসৃপ হয়ে যাই 
নিজের থার্মোমিটারে আয়ু মাপতে থাকি 
প্রতিরাত। সময়ের ঘণ্টা ধ্বনি বদলে 
রাতের ঘুমচোখ আগুন। 
শূন্য থেকে শুরু বলে মনের ভেতর 
সব পুড়ে ছাই.... 
বাঁচার তাগিদ রাতের ঔষধ 
এভাবে ও সসয় বদলে যায় হিম স্রোত 
কোলাহল ফেলে ঈশ্বর 
তর্পণ আলোর সন্ধান মুক্তি.......
   ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু   

Post a Comment

0 Comments