ছাদ
রা জ কু মা র আ চা র্য
স্কুল থেকে ফেরা বিকেলবেলা।
আমাদের
মাটির বাড়ি। টালির ছাউনির
দোতলার ছাদ
কাঠের রেলিং দিয়ে ঘেরা।
মেঝেতে
অঙ্কের বই খাতা নিয়ে বসে পড়া।
হরেকৃষ্ণবাবুর শেখানো
কৌশলগুলো
মাথার মধ্যে কিলবিল করে।
এক্ষুনি
অঙ্কগুলো না করলেই নয়!
ঝুপ ঝুপ করে
নেমে পড়ে সন্ধ্যা।
শুরু করা অঙ্কটা
শেষ হতে তখনও অনেক বাকি।
বিদ্যুৎ আসেনি গ্রামে। নম্ফরের বাতি
জ্বালার আগে
অঙ্কটা শেষ করার মজাটাই আলাদা।
দিনের আলো আরও ক্ষীণ হয়ে আসে।
প্রায়ান্ধকার ছাদে
চোখকে বড় বড় করে
সাদা পাতার দিকে এগিয়ে নিয়ে চলি—
স্বর্গে
অকালে গিয়েছেন হরেকৃষ্ণবাবু।
আমাদের
সেই মাটির বাড়ি নেই।
এখন রাতে বাড়ি ফিরে
কখনও কখনও থমকে দাঁড়াই।
মাথা উঁচু করে দেখি—
পাকা বাড়ি
আর
বিদ্যুতের আলোর ঝলকানির ভেতর
প্রায়ান্ধকার ছাদের আদৃশ্য ছায়া পড়ে আছে।
সেখানে
একজন কিশোর
অঙ্ক কষেই চলেছে।
বিরামহীন তার অঙ্ক কষে চলা...
ফোটোগ্রাফি- সৈয়দ স্নেহাংশু
0 Comments