জ্বলদর্চি

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা -৪

ছোটোবেলা ||  ৪র্থ সংখ্যা 

প্রকাশিত হল 'ছোটোবেলা' ৪র্থ সংখ্যা। আমরা বিশ্বাস করি,  মানুষ যেহেতু সংসারে বড় হয়, সেহেতু সমাজ ও পরিবার থেকেই সে শিক্ষা নেয়। তাই শিশুকিশোররা যেমন বড় হয়ে  সমাজ ও পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধ হবে, তেমনি শিশুদের কাছে বিশুদ্ধ অক্সিজেন তথা সুস্থ সংস্কৃতি তুলে ধরতে পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা দায়বদ্ধ। 
চাই নবীন ও প্রবীণের মেলবন্ধন। বিখ্যাত ফোটোগ্রাফার সন্তোষ জানার ফোটোগ্রাফি সে কথাই যেন বলতে চাইছে।

ফোটোগ্রাফি - সন্তোষ জানা


বর্ণশুদ্ধি মাইতি (নবম শ্রেণি )

কোভিড অতিমারী ও বিজ্ঞান

কোভিড - ১৯ কিংবা করোনা ভাইরাস আজ বিশ্ববাসীর কাছে সবচেয়ে পরিচিত নাম। এটি কেবল রোগের নাম নয়, কোভিড – ১৯ হল এক আতঙ্কের নাম - এক ভয়ংকর ত্রাসের নাম। এর জন্যই মানব সভ্যতা আজ গভীর সংকটে । এর জন্যই আমাদের সাধের পৃথিবী আজ ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে অনিশ্চয়তার আঁধারে । কিন্তু এর জন্য দায়ী কে? সেই প্রশ্নের উত্তর আজও আমাদের কাছে অধরা । আদৌ কি মানবসভ্যতা এই অদৃশ্য দৈত্যের হাত থেকে নিস্তার পাবে! নাকি মুখ থুবড়ে পড়বে আমাদের গগনচুম্বি অহমিকা আর গর্বের চিকিত্সা বিজ্ঞান ।  এর উত্তর হয়তো ভবিষ্যত্‍  বলবে। শুধু এই মূহুর্তে এইটুকুই বলতে পারি যে, সমগ্র পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ এখন আতঙ্কের প্রহর গুনছে। অসহায় দৃষ্টি নিয়ে তাকে দেখতে হচ্ছে লাখো লাখো মানুষের মৃত্যুমিছিল।
    শুধু তাই নয়, দিনে দিনে ক্রমশ বাড়ছে কোভিড  আক্রান্তের সংখ্যাও । যে কোনো হাসপাতালের দিকে চোখ ঘোরালেই দেখা যাচ্ছে সন্তানহারা মাযের বুকফাটা আর্তনাদ কিংবা মাতৃহারা- পিতৃহারা অসহায় সন্তানের মর্মবিদারি কান্না । একইসাথে দেখা যাচ্ছে হতাশা আর ডাক্তারের ব্যর্থতার করুন পরিণতি । শহরের সেই চেনা বাজার, রাস্তাঘাট আজ নিস্তব্ধ আঁধারে ম্লান । হাসপাতালে দেখা দিচ্ছে বেডের জন্য হাহাকার । পাশাপাশি পরিলক্ষিত হচ্ছে শহরের বুকে নানান অমানবিক ছবি। হারিয়ে গেছে সেই চেনা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন কিংবা ক্রিকেটের নন্দনকাননের Maxican wave । শুধু কী তাই, একাধিক প্রতিভাবান উঠতি খেলোয়াড়ের ভবিষ্যত্‍ আজ অনিশ্চিত । বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে জমছে ধুলোর আস্তরণ, ক্লাসরুমে পড়েছে তালা । স্কুলের প্রাঙ্গণতলে দীর্ঘদিন শোনা যাইনি কচিকাঁচার কোলাহল। দিনের পর দিন ঘরবন্দি থেকে আমাদের মত বহু ছাত্রছাত্রী আজ মানসিক অবসাদের শিকার। এই রোগের হাত থেকে রেহাই পায়নি পৃথিবীর মহান মহান তারকারাও। যার মধ্যে রয়েছেন- ইংল্যাণ্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মত নক্ষত্র । 
   যাই হোক আজকের এই বিশ্বব্যাপী কোভিড  অতিমারীর মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা বিজ্ঞানের হাত ধরেই খুঁজে চলেছি সেই কাঙ্ক্ষিত প্রতিষেধক। যার সঞ্জীবনী সুধায় বেঁচে উঠবে পৃথিবী, জেগে উঠবে মানব সভ্যতা । প্রাচীন কাল থেকে বিজ্ঞানের হাত ধরেই আমরা অতিক্রম করেছি বহু সংকট মুহূর্ত। আমরা কাটিয়ে উঠেছি প্লেগ মহামারীর সেই অন্ধকার দিন, বিজ্ঞানের হাতেই পর্যুদস্ত হয়েছে পোলিও কিংবা টিটেনাসের মতো মারণরোগ। তবে হতাশার কথা এই যে, প্রায় বছর অতিক্রম করতে চললেও এখনো পর্যন্ত আমাদের হাতে এসে পৌঁছায় নি সেই মুল্যবান প্রতিষেধক অথবা অদৃশ্য দানবকে হত্যা করার বজ্রকঠিন মারনাস্ত্র । 
করোনা ভাইরাস আসলে কী !
   কিন্তু কী এই  কোভিড (covid)! কী রয়েছে এই অদৃশ্য দানবের শরীরে ? যাকে ঘিরে সমগ্র বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী দিশেহারা। চোখ রাখা যাক  কোভিডের শক্তিঘরে। আসলে করোনা ভাইরাস এক বিশাল RNA ভাইরাসের পরিবার। ‘করোনা’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘মুকুট’। অন্যান্য ভাইরাসের মতো ‘করোনা’ ভাইরাসও অন্যকোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ কোষের উপর নির্ভরশীল। এই ভাইরাসের সবচেয়ে বাইরের  অংশে থাকে গ্লাইকো প্রোটিন নির্মিত স্পাইক বা কাঁটা। যেগুলোর সাহায্যে ভাইরাসটা জীবন্তকোষে আটকে গিয়ে সংক্রমিত হয়। দ্বিতীয় অংশটি হল RNA। আর তৃতীয় উপাদানটি হল একটা লিপিড স্তর। যেটা ভাইরাসের অন্যান্য অংশকে ধরে রাখে। যদিও করোনা ভাইরাসের অনেক প্রজাতি রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র সাতটা প্রজাতি মানুষের দেহে রোগের সংক্রমন ঘটাতে পারে। এদের মধ্যে চারটি সারা বছর ধরে অত্যন্ত সাধারণ হাঁচি-কাশি-সর্দির উপসর্গ সৃষ্টি করে। এরা হল-‘229E’(আলফা করোনা ভাইরাস), এবং ‘HKU1’ (বিটা করোনা ভাইরাস)। ‘MERS CoV’ ও ছিল একটি বিটা করোনা ভাইরাস ২০১২ সালে MERS ছড়িয়েছিল। তাছাড়া ‘SARS-CoV’ ও একটি বিটা করোনা যা ২০০২ সালে SARS ছড়িয়েছিল। আর বর্তমানে আমরা যাকে নভেল করোনা ভাইরাস নামে চিনি সেটা হল ‘SARS-CoV-২’ । এই ভাইরাসকে নভেল বলার কারণ হল এই ভাইরাস আগে কখনো ছড়ায়নি। তাই এর আরেক নাম ‘2019-NCOV’ । এর এই ছোঁয়াচে রোগ সৃষ্টি হয় তার নাম ‘COVID-19’ । সবথেকে আশ্চর্যজনক বিষয় এটাই যে এই ভাইরাস যেকোনো RNA ভাইরাসের মতোই নিজেদের গঠন বদলে দিতে পারে। অর্থাত্‍, ভাইরাস যখন বংশবৃদ্ধি করে তখন যেমন খুশি নিজেদের জিনের সজ্জা বদলে ফেলতে পারে। তবেই পরিবর্তনের ফলে করোনা আক্রান্ত রোগীর উপসর্গে কি পরিবর্তণ হচ্ছে তা এখনও বলা সম্ভব হয়নি । 
করোনা সংক্রমন হয় কীভাবে! 
   এবারে আসা যাক কিভাবে এই করোনা ভাইরাস এক দেহ থেকে অন্য দেহে সংক্রমন ছড়ায়। গবেষণা সুত্রে জানা গেছে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে যদি কেউ আসে তাহলে হাঁচি-কাশি থুতু এমনকি কথাবলার মাধ্যমে এই ভাইরাস সংস্পর্শে আসা সুস্থ ব্যক্তির শরীরে গিয়ে বাসা বাঁধে, ফলে সেও আক্রান্ত হয়। অর্থাত্‍ আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি-কাশি দিলে তার যে সূক্ষ্ম থুতুকনা, ইংরাজিতে যাকে বলা হয় ‘ড্রপলেট’ তা বাইরের বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে আর এই ড্রপলেটের মধ্যেই ঠাসা থাকে ভাইরাস। যেসব জায়গায় এই কণাগুলি পড়ে সেই সব জায়গায় কোনো ব্যক্তি যদি স্পর্শ করে এবং সেই স্পর্শের স্থান মুখ অথবা নাকের কাছাকাছি আসে, তাহলে নি:শ্বাসের মধ্য দিয়ে সেই ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করে এই মারণ ভাইরাস। এমনকি আক্রান্ত কোনও ব্যাক্তির সঙ্গে যদি অন্য কেউ সহবাস করে অথবা তার ব্যবহৃত পোশাক-আশাক কিংবা খাওয়া-দাওয়ার জিনিসপত্র ব্যাবহার করে তাহলেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যাক্তির মল-মূত্রও নিরাপদ নয়। 
   সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয়টি হল সংক্রমনের সাথে সাথেই কোনো রোগীর উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায় না। ফলে সংক্রমিত ব্যক্তি বুঝতে পারে না সে আক্রান্ত। অথচ ওপর ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে পারে। সংক্রমনের বেশ কিছুদিন পর উপসর্গ গুলি ধীরে ধীরে নজরে আসতে থাকে। মূলত জ্বর, শুকনো কাশি, সর্দি, গলাব্যাথা এমনকি ডায়ারিয়া হতে পারে। ঘ্রাণশক্তি লোপ পেতে পারে, শেষে প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে রোগীর মৃত্যুও হয় । 
   সুতরাং এমতাবস্থায় এই মারণভাইরাসের হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। যতদিন না আমাদের হাতে সঠিক প্রতিষেধক এসে পৌঁছাচ্ছে ততদিন আমরা প্রত্যেকেই যদি বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সামাজিক সুরক্ষাবিধি গুলি পালন করি তাহলে নিজেরাই সুরক্ষিত থাকতে পারি। এই ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকার উপায়গুলি নিম্নরূপ-
করোনা সাবধানতা
   ক. সামাজিকও দূরত্ব (social Distance) যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। দুই ব্যাক্তির মধ্যে কমপক্ষে 2 মিটার দূরত্ব বজায় রাখা জরুরী। 
   খ. খুব প্রয়োজন ছাড়া ভিড় এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি প্রয়োজনে যেতেই হয় তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, সেই সাথে মাঝে মাঝেই হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। 
   গ. প্রশাসনিক ভাবে এই সময়ে সমস্ত রকমের সামাজিকও ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে। মোটকথা যে কোনো ধরনের জমায়েত বন্ধ রাখা জরুরী। 
ঘ. সমস্ত রকমের মিটিং মিছিল ও রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ রাখা বাঞ্ছনীয়। 
ঙ. আক্রান্ত রোগীর চিহ্নিতকরনের পদ্ধতিকে অনেকবেশি ত্বরান্বিত করে দ্রুত সংক্রামিত ব্যক্তিকে সহানুভূতির সাথে আইসোলেটেড করতে হবে। 
   কিন্তু লক্ষ্য করার বিষয় এই যে, আজকের এই দুর্দিনে বিজ্ঞানকে  বুড়োআঙুল দেখিয়ে এক শ্রেণীর ধর্মের ষাঁড়েরা কুসংস্কার ছড়িয়ে চলেছেন। ফলে বহু মানুষ কুসংস্কারের দাসে পরিণত হচ্ছেন। কোথাও বলা হচ্ছে গোমূত্র খেলেই দূর হয়ে যাবে করোনা ভাইরাস, কোথাও বা কিশোরীর জিহ্বা কেটে উত্সওর্গ করা হচ্ছে দেবাদিদেব মহাদেবের চরণে । কোনো কোনো ক্ষেত্রে আবার থালা-বাসন বাজিয়ে কিংবা মোমবাতি জ্বালানোকে কেন্দ্র করে অত্যুত্সাহী সাধারণ জনতারা উল্লাসের নামে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিচ্ছে । শুধু তাই নয় সাধারণ সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তির ওপরেও প্রয়োগ করা হচ্ছে অমানবিক অত্যাচার। কোথাও ভাড়ায় থাকা নার্সদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে বাধা। এসব নানাবিধ কারণে করোনা মহামারী প্রতিটি মানুষের রাতের ঘুমকে কেড়ে নিয়েছে। 

বিজ্ঞানের প্রতি আস্থা 
   সুতরাং কোথায় আজ আশার আলো! কিসেই বা করোনা মুক্তির পথ! সেই উত্তর আজও আমাদের অজানা । সেই অজানা সমুদ্রে ডুব দিয়ে একজনই হয়তো তুলে আনতে পারে কাঙ্ক্ষিত মুক্তো, সে হল বিজ্ঞান। বিজ্ঞানই খুঁজে দিতে পারে বাঁচার পথ, সন্ধান দিতে পারে নতুন আলোর ঠিকানা। বিজ্ঞানের হাত ধরে আমরা পৌঁছেছি মঙ্গলে, পা রেখেছি চাঁদে। বিজ্ঞানের সোনার কাঠির ছোঁয়ায় প্র্তিস্থাপন করেছি মানুষের লিভার থেকে শুরু করে হৃত্পিণ্ড এমনকী বিজ্ঞানের কল্যাণকর গৌরবগাঁথায় আমরা প্রবেশ করেছি পদার্থের অনুতে-পরমানুতে । তাই বিজ্ঞানের অপরাজেয় শক্তির কাছে হার মেনে নেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। এর জন্যে দরকার শুধু ধৈর্য আর সংযমের। এক দিন না এক দিন ঠিক খুঁজে পাবো সেই সুরক্ষিত পথ। এই পথের ঠিকানা নিশ্চিত ভাবে দিতে পারবে বিজ্ঞান। রাখতে হবে বিজ্ঞানের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা। যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞান অতিক্রম করেছে সব রকমের বাধা প্রতিবন্ধকতা। আজও তার ব্যতিক্রম হবেনা নিশ্চিত। কবির কথায়-   “নিশিদিন ভরসা রাখিস হবেই হবে”। সুতরাং কুসংস্কারের দাস হয়ে বেঁচে থাকা নয়, কোনো দৈব শক্তির পায়ে মাথা নত করাও নয়, বিজ্ঞানের নবনব অনুসন্ধানী আলো আমাদের কাছে ঠিক পৌঁছে দেবে এক মুঠো রোদ্দুর।  
আ ম ন্ত্রি ত  লে খ ক

শব্দনীড় 

বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় 


কাব্য লিখে পেট ভরে না হয় না কিছুই রোজগারও 
কেতোবাবু পদ্য লেখেন, নেয় না কেউই খোঁজ তারও  
গাঁটের কড়ি গচ্ছা দিয়ে বই করেছেন চার খানা । 
হায় দুনিয়া কাব্যরোগের অলীক আজব কারখানা। 

কেন লেখেন ?কী সুখ এতে? মাথাতে নেই কার্তিকের   
নুন আনতে পান্তা ফুরোয়, করুণ দশা আর্থিকের। 
সংসারে তার মন বসে না, হৃদয় জোড়া অক্ষরে
নিংড়ে আনেন সত্যিকথা, লেখেন না তো সখ করে।  

শব্দ দিয়ে নীড় বানাতে জানেন যাঁরা  দক্ষতায়     
তাঁরাই পারেন সব বেদনা জড়িয়ে নিতে সখ্যতায়। 

  
পুজো মানে

অংশুমান চক্রবর্তী

পুজো মানে টাক ডুমাভুম
ঢাক বাজছে ওই
পুজো মানে সকাল-দুপুর
আনন্দ হইচই।

পুজো মানে নতুন পোশাক 
ঠাকুর দেখতে যাওয়া
পুজো মানে দুটি বেলা
জমিয়ে খাওয়া দাওয়া।

পুজো মানে বন্ধু মিলে
আড্ডা অফুরান
পুজো মানে বছর বছর
নতুন নতুন গান।

পুজো মানে পুজো সাহিত্য
নানা স্বাদের লেখা
পড়তে পড়তে যাই যে পেয়ে
নতুন পথ-রেখা।
-------------------------
আরও পড়ুন 


নিয়মিত পড়ার জন্য জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments