মার্কেজের খোঁজে
(উনবিংশ পর্ব)
মলয় সরকার
এ ছাড়া, সেই বলিভার প্লাজার চত্বরে রয়েছে বেশ কিছু লামা , যেগুলির পিঠে ছোটদের চাপিয়ে বড়রা আনন্দ পাচ্ছে, ঘোড়ায় চাপার মত। সেই প্রথম আমরা দেখলাম সত্যিকারের লামা নামে ছোট ভেড়া বা বাচ্চা ঘোড়ার মত প্রাণী।এখানে রয়েছে ছোট আইসক্রীমের গাড়ির মত গাড়িতে ,বেশ কিছু , নানা ধরণের ফল বা অন্য কিছু বিক্রীর গাড়ি। দর্শকরা নানা কিছু কিনছে। আমরাও খেলাম তাজা সুন্দর তরমুজ।
এর চারিদিকে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সৌধ, যেমন National Capitol, Palace of Justice ইত্যাদি।এ ছাড়া রয়েছে, Cathedral Primada de Colombia .এটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ চার্চ।এর উলটো দিকেই রয়েছে বোগোটার সিটি হল। এই চার্চটি ১৫৩৯ সালে তৈরী হয়েছিল, অর্থাৎ যে বছর প্রথম কঙ্কুইস্তাদর আ বিজেতা গঞ্জালো এটি জয় করলেন মুইস্কাদের কাছ থেকে এবং বোগোটাতে শহর স্থাপিত হল, তখনই এই চার্চটি তারা তৈরী করে।
স্বাধীনতা লাভের পর এখানে সাইমন বলিভারের মূর্তি স্থাপিত হয় ও জায়গাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯শে অক্টোবর, ১৯৯৫, এটিকে জাতীয় স্মারক হিসাবে গণ্য করা হয়।এই জায়গাটি এত বড় যে,এখানে এক লক্ষ মানুষের বেশি জমায়েত হতে পারে।
এই চার্চটি অনেক নতুন চার্চ, আগের চার্চগুলির জায়গাতেই তৈরী। এটি ১৮০৭ - ১৮২৩ এ তৈরী হয়। ১৫৩৮ এ যখন এটি প্রথম তৈরী হয় তখন ছিল এর মাটির দেওয়াল ও খড়ের চালের অত্যন্ত সাদামাটা চার্চ।পরবর্তীকালে অনেকবার অনেক পরিবর্তনের পর বর্তমান অবস্থায় হাজির হয়।
মন্সেরাটে চার্চ
আমরা ঢুকলাম চার্চের ভিতরে।বেশ বিশাল বড় ভিতরটা, বহু মানুষ একসঙ্গে প্রার্থনা করতে পারেন। চার্চের দরজাটি বেশ উঁচু- ৭মিটারের চেয়েও উঁচু, চওড়াও প্রায় সাড়ে তিন মিটারের চেয়ে বেশি।
চার্চের দু পাশে দুটি বেল টাওয়ার রয়েছে, যেমন সমস্ত স্পানিশ চার্চে থাকে। চীনে দেখেছি মন্দিরে মন্দিরে ড্রাম টাওয়ার, আর এখানে সব বেল টাওয়ার।ভিতরে বসার জায়গাও অনেক।এখানে একটি আশ্চর্যজনক পাইপ অর্গান রয়েছে, যা নাকি কলম্বিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ। এতে রয়েছে ৪৫০০ পাইপ।এর থেকে বহু যন্ত্রের আওয়াজ বেরোয় যেমন ট্রাম্পেট, ক্ল্যারিওনেট, ফ্লুট ইত্যাদি এমন কি মানুষের স্বরও।। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে নাকি এটি বাজানো হয়।এটি পা দিয়ে বাজানো হয়। এটি একবার সারাতে ২৫১৫০ লক্ষ কলম্বিয়ান পেসো খরচ হয়েছিল।
এখানে বেশ কয়েকটি বড় বড় সুন্দর ক্যানভাস চিত্র আছে।মনটা শান্ত হয়ে যায় আমার এই সমস্ত জায়গায় ঢুকলে। আর বুলবুলের তো একটা ব্যাপার আছে, ও মন্দির হোক আর মসজিদ বা চার্চ যাই হোক, সেখানে ঢুকলে বেশ কিছুক্ষণ না বসে ও উঠবে না। আমি জানি ওর এই স্বভাব, বসলাম আমিও ওর পাশে।অবশ্য এই সব জায়গায় ছটফট করলে , আমারও মনে হয়, এই সমস্ত জায়গায় না যাওয়াই ভাল।
এখান থেকে বেরিয়ে ধীরে ধীরে আমরা হাঁটতে হাঁটতে এলাম একটু উপরে, বাড়ির দিকে।পথ চলছি আর চারিদিকে তাকাতে তাকাতে চলেছি শহরের যা কিছু খুঁটিনাটি দ্রষ্টব্য রয়েছে লক্ষ্য করতে করতে।এই শহরটি একটি পাহাড়ের ঢালের উপর সেটা স্পষ্টই বোঝা যায় এর ঘরবাড়ি পথঘাট ও দূরে শহরের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা সুন্দর পাহাড়ের সারি দেখলে। শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮৬৬০ ফিট উচ্চতায়। অর্থাৎ আমাদের দার্জিলিং এর থেকেও অনেক বেশি উচ্চতা। দার্জিলিং মাত্র ৬৭০০ ফিট।সেই তুলনায় এই শহরের উচ্চতা নেহাত কম নয়।
বাড়ি এসে একটু বিশ্রাম নিয়েই আমরা ডাকলাম উবের। সময় কম ,কালই যেতে হবে শহর ছেড়ে। তাই আজ দেখতে যেতে হবে এই বিকেলে যা দেখার মত সুন্দর সেই মন্সেরাটে পাহাড়ের মাথায়।
এই মন্সেরাটে পাহাড়টি ৩০০০ মি (১০০০০ ফিট) উচ্চতায় শহরের মাঝে একটি সুন্দর জায়গা।এখান থেকে সূর্যাস্ত দেখার মত। তাই এই দুপুরের শেষ দিকে আসার পরিকল্পনা, বিকালের পড়ন্ত আলোয় এর রূপ দেখব বলে।
বেশ ঠাণ্ডা রয়েছে। পাহাড়ের মাথায় ঠাণ্ডা আরও একটু বেশি। তাই শীতের জামা কাপড় ভাল করে চড়িয়েছি।
উবের আসতেই চড়ে বসলাম দুই বুড়ো-বুড়ি। পাহাড়ে চড়তে আমাদের বেশ ভালই লাগে। উবের ছুটল শহরের অন্যদিকে। খুব বেশি দূর, তা বলব না। তবে একটু পরেই, একেবারে আঁকাবাঁকা, দুপাশে পাহাড়ি গাছপালা ঘেরা পথে চলতে লাগল গাড়ি।বেশ লাগছিল এই পথ। বুলবুল একেবারে ছেলেমানুষের মত গান গেয়ে উঠল।সেই বিখ্যাত গান , “এ পথ যদি না শেষ হয়–’’ । আমিও হারিয়ে গিয়েছিলাম নিজের বয়স ভুলে–।
গুয়াদালুপে পাহাড়ের মাথায় যীশু
আমরা হাজির হলাম একেবারে ঠিক জায়গায়। ট্যাক্সি থেকে নেমেই সামনে রয়েছে টিকিট ঘর। এখানে পাহাড়ে চড়ার দুটি ব্যবস্থা আছে। হাঁটা পথ আর ফানিকুলার রেলে চেপে পাহাড় ভেদ করে টানেলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পথ। যারা তরুণ এবং অত্যুৎসাহী তারা অবশ্যই হাঁটা পথ দিয়ে পাহাড়ে উঠতে পারে। তাতে সময় লাগে মোট তিন থেকে চার ঘন্টা। আমাদের অবশ্য সে বয়স উৎসাহ বা ক্ষমতা এবং সময় কোনোটাই নেই। অগত্যা ভরসা ফানিকুলার রেল। এটি রোপওয়ের মত , তবে চলে পাহাড়ের গা দিয়ে পাতা লাইনের উপর দিয়ে।সে লাইন কখনও গেছে পাহাড় ভেদ করে গুহার মধ্যে দিয়ে, কখনও বা পাহাড়ের গা দিয়ে। পাশাপাশি দুটো লাইন । একটি নামে আর একটি ওঠে।রোপওয়ের মতই আলাদা আলাদা ছোট ছোট কামরা।
উঠলাম উপরে। উপরে ওঠা আর নামা একই টিকিটে।বেশ লাগছিল সেই ছোট্ট পথে আর মনে হচ্ছিল, যেন চলেছি স্বর্গের ঠিকানায়।
কিন্তু তাও হল শেষ। অগত্যা নামলাম নতুন এক দৃশ্যের হাতছানিতে।
🍂
এই জায়গাটিও কিন্তু বিজেতা স্প্যানিশদের আবিষ্কার নয়। এখানে মুইস্কারা তাদের দেবতার স্থান, নির্দিষ্ট পবিত্র জায়গা হিসাবে ঠিক করেছিল।বলিভার প্লাজা থেকে তারা দেখত সূর্য উঠছে ঠিক এই পাহাড়ের পিছন থেকে। তাই এই জায়গাটা তাদের কাছে এত পবিত্র ছিল।
এখান থেকে অনেক নীচে বোগোটা শহরের ছবি খুব সুন্দর দেখায়। এসেই দেখলাম বেশ কিছু মানুষ এখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বেশ স্ফূর্তির আমেজে। একটু দূরে উঁচুতে দেখা যাচ্ছে চার্চটি। আর চার পাশে পাহাড়ের সারি। এই পাহাড়ের মাথায় যে অনেক জায়গা আছে তা নয়। অল্প জায়গা, কিন্তু সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দর করে রাখা হয়েছে।
মুইস্কারা সূর্যদেবতাকে বলত সু( Sue)। তারই জন্য পবিত্রতায় তারা একে এত উচ্চস্থান দিয়েছিল। স্প্যানিশরা এসে সেই দেবতাকে সরিয়ে সেই জায়গায় চার্চ বানিয়ে দেয়।এই রকম বিভিন্ন জায়গায় যেখানে স্থানীয় লৌকিক দেবদেবীর মূর্তি ছিল, তারা সেই জায়গায় স্থানটিকে পরিবর্তন না করে চার্চ বানিয়ে দিয়েছে। আর স্থানীয়দের বুঝিয়েছে, ওদের দেবীই এখন রূপ বদলে এই দেবী হয়েছেন। এখন এরই ভজনা করা উচিত।স্থানীয়রাও সরল বিশ্বাসে মেনে নিয়ে ধীরে ধীরে বিনা বাধায় খ্রীষ্টান হয়ে গেছে। মেক্সিকোতেও এই ব্যাপার দেখেছি।
এই মন্সেরাটে পাহাড় ও এর পাশে গুয়াদালুপে পাহাড় এই দুটি এখানে বেশ আইকনিক।
আমরা দুটিতে এপাশ ওপাশ দেখে সুন্দর পাথর বাঁধানো পথে উপরের দিকে চললাম। বুলবুল বলল, চল আগে ঠাণ্ডায় দুকাপ কফি নিয়ে বসে হাত পা ছাড়াই। যুক্তিটা মন্দ লাগল না।বসলাম হাত পা ছড়িয়ে চার্চের সামনে। দূরে গুয়াদালুপে পাহাড়ের মাথায় দেখি একটি যীশুর বিশাল দণ্ডায়মান মূর্তি।প্রায় ৫০ ফুট উঁচু এই মূর্তি, বহু দূর থেকেই দেখা যায়।অনেকটা সেই ব্রাজিলের রিও দি জেনিরোতে ক্রাইস্ট দ্য রিডীমার (যীশু) এর মূর্তির (৯৮ ফুট উঁচু) মত লাগছিল।এটি অবশ্য উচ্চতায় প্রায় সেই মূর্তির অর্ধেক।
সাদা দেহের উপর লাল বর্ডার দেওয়া একটি বেল টাওয়ার সহ এই চার্চটিই এই পাহাড়ের সর্বোচ্চ অংশে রয়েছে।যাক,বসলাম গরম কফি নিয়ে হাত পা ছড়িয়ে চার্চের সামনে।
আজ আর কোনো কাজ নেই। বিকালটা বেশ মজা করে কাটাব বলে তৈরী হয়েই এসেছি। চারিদিকে, না, ভুল হল, তিনদিকে রয়েছে ঘন সবুজ গাছে ঘেরা পাহাড়ের সারি। তার মধ্যে এটিই মনে হল সবচেয়ে উঁচুতে।
ঠাণ্ডায় কফি খেয়ে শরীর একটু গরম করে ঢুকলাম চার্চের মধ্যে।স্বাভাবিক ভাবেই এটি রোমান ক্যাথলিক চার্চ। এটি ১৬৫০-১৬৫৭ এর মধ্যে তৈরী হয়েছিল।এই জায়গাটির উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০৩৪১ ফিট।
সাদা দেহের লাল বর্ডার দেওয়া একটি বেল টাওয়ার সহ চার্চটি আমার যেন মনে হল ঠিক ব্যালান্স হয় নি। দুদিকে দুটো বেল টাওয়ার থাকলে হয়ত মানাতো।সামনের সিঁড়ি আর চাতাল নেমে চলে গেছে সেই ফানিকুলার স্টেশনের কাছে। চার্চএর চত্বরে দু’ একটি এরকম কফি বা স্ন্যাক্সের দোকান। আর তার পাশেপাশে ফুল গাছ বা নানা বাহারী গাছ দিয়ে সাজানো ছোট বাগান । তার মাঝে মাঝে যীশুর জীবনের বিভিন্ন ঘটনার মূর্তি রয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে সামনে দেখলাম একটা ‘বোগোটা’ লেখা আইকনিক জায়গা রয়েছে। অনেকে সেখানে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে।বুলবুল বলল, আমরাও ওখানে ছবি তুলব।
আসলে আমাদের প্রত্যেকের ভিতরেই একটা ছেলেমানুষ থাকে। তাকে আমরা নানা পরিবেশ , বিজ্ঞতার আর অবস্থার চাপে দমন করে রাখি, সেটা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে।
🍂
চার্চটি যে খুব উল্লেখযোগ্য তা কিছু নয়। মোটামুটি। এরকম অনেক চার্চ দেখেছি। তাই এর বর্ণনায় আর গেলাম না।
আমরা বাইরে বেরিয়ে দেখি, আকাশে হাল্কা মেঘ রয়েছে , ফলে রৌদ্রটা একট চাপা। আর দূরে অনেক নীচে খুব হাল্কা মেঘ আর কুয়াশার জাল ভেদ করে দেখা যাচ্ছে নীচে বোগোটা শহরটিকে। মনে গান ভেসে এল , যেটি শ্রদ্ধেয় কিশোর কুমারের সেই,” মনে হয় স্বর্গে আছি–” ।
জানি না স্বর্গ এখান থেকে ঠিক কতটা দূরে, হাত বাড়ালেই পাব কি না–
আমরা ধীরে ধীরে নেমে এলাম সেই বোগোটা লেখা আইকনটির কাছে তাকে সঙ্গে নিয়ে বহু তরুণ তরুণী ছবি তুলছে। একটুও ফাঁক পাওয়া মুস্কিল। সবাই চাইছে এই জায়গা আর মুহুর্তটাকে স্থায়ী করে রাখতে।
শেষে ফাঁক পাওয়া গেল। আমরাও একটি ছেলেকে ডেকে বললাম, আমাদের দুজনের ছবি নিতে। সে তো খুব খুশী হয়ে এই বুড়ো বুড়ির ছবি তুলে দিল। আমরাও খুশী।
এবার ফেরার পালা। সূর্যও নামছে। এখান থেকে যদিও ভাল সূর্যাস্ত দেখা যায়, তবে আজকে যে ধরণের মেঘ , তাতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও , সূর্যাস্ত যে দেখা যাবে না তা শতকরা ২০০ ভাগ নিশ্চিত। অগত্যা আমরা যে পথ দিয়ে এসেছিলাম, আবার এগিয়ে চললাম সেই পথে। নামলাম নীচে।
নীচে নেমে ডাকলাম উবের। একটু বাদে সে তো এল। আমরাও চাপলাম।খানিক বাদে কেমন সন্দেহ হল। এতদূর তো নয়। তা ছাড়া রাস্তা যেন অন্য দিকে মনে হচ্ছে। সন্দেহটা ঘন হতেই বললাম ড্রাইভারকে, থাম। সে তো থামল, কি ব্যাপার বুঝতে চাইল। সে তো বেচারি ইংরাজীর বিন্দুবিসর্গও বোঝে না।তাকে গুগল ট্রান্সলেট করে বোঝালাম , এ দিকে তো নয়, আমর অন্য দিকে এসেছি। ও তখন আমাদের বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করল, বুঝেছে এরা বিদেশী। কিন্তু তার জন্য আমাদের ঠকাল না। ও যা বলল, তাতে বুঝলাম, একই নামে অন্য একটা জায়গা আছে শহরের বাইরে বেশ একটু দূরে। আমি ভুল করে উবেরের ঠিকানায় সেই জায়গার নাম দিয়েছি। ও বলল, আমি তো অনেকখানি চলে এসেছি। আমি বললাম, যাই হোক, তুমি আমাদের, আমাদের বাড়ির ঠিকানায় নিয়ে চল।
সে বলল,শান্ত ভাবে, আপনার চিন্তা নেই, আমি ঠিক পৌঁছে দেব। এই বলে সে আমাদের গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে এল আমার বাড়ির পথে। পৌঁছালাম যখন রাত হয়ে গেছে। কিন্তু এই বিদেশী অল্প শিক্ষিত ড্রাইভারের মানসিক আলোয় আমার মন, সেই অন্ধকার রাত্রেও আলোকিত হয়ে উঠল।
আমাদের এর পরের গন্তব্য অনেক দূরে– সে কথা বলব আরও অন্য কোন জায়গায়।
তবে আমার যাত্রাপথ শেষ হলেও গল্পের আড্ডা কিন্তু শেষ হয় নি। তাই থাকুন সঙ্গে, পরের পর্বের জন্য–
0 Comments