ফোটোগ্রাফি - সৈয়দ স্নেহাংশু
গুচ্ছ কবিতা
পার্থ সারথি চক্রবর্তী
পূজা
গঙ্গাজলে পবিত্র হই। গঙ্গা নোংরা করি।
মুখে রং মাখি। বলিরেখা আড়াল করি।
আগুনে পোড়াই ঘরের দুর্গা। আকছার।
মাটির দুর্গা পূজা করি। ভীষণ চটকদার।
জেগে উঠে আড়াল করি শত অপকর্ম।
নিদ্রার ঘোরে ভুলে যাই মানবতার ধর্ম।
মাথার উপর ছাদ চাই আস্ত এক আকাশ
সরীসৃপের মতন চলি। যতক্ষণ চালু শ্বাস।
ডঙ্কা বাজাই। সানাই ফুঁকি। হাত সেঁকি আগুনে
আগুন যে সর্বগ্রাসী। থাকে কি আর মনে!
ঈশ্বর আছেন কোথায়! মন্ডপে না মনে!
সর্বশক্তিমান কি আমরাই!কেই বা জানে!
দুঃখ নিয়ে জন্মেছি। দুঃখই জেগে রয়।
মেকি আনন্দে মাতি, তাই দুঃখ স্বপ্ন হয়!
পূর্ণিমার চাঁদের আলো গর্তে পড়ে যায়।
আস্ত এক সমাজ হারায়।রাতের মহড়ায়
ত্রিতাপহারিনী। সঙ্কটমোচনী। কত ভালবাসি!
ঘরের দুর্গাকে প্যাঁচে ফেলে মুচকি মুচকি হাসি!
ধুনুচি নাচ। ধুনুচি থেকে উড়ে আসা ধোঁয়া!
তার মধ্যে মিশে আছে কতই না-পাওয়া!
রাজ্য
আঙুলের ডগায় একটা আস্ত-
জমিদারি রাজ্য হাবুডুবু খায়।
ব্রেকিং নিউজের মতো বদলে যায়
জীবনের অধ্যায়।
কারো এক অদৃশ্য ইশারায়!
উলের কাঁটায় উল বুনে যায়
প্রেমিকের সোয়েটার।
যে প্রেমিক আর ফিরে আসে না!
সুর
ঝরে পড়া গাছের পাতায় অনেক গল্প থাকে
জন্ম, বেড়ে ওঠা আর সবশেষে
শেষের দিন গোণা, অপেক্ষা করা
কুলগোত্রহীন গাছের পাতায় যে কুয়াশা জমে
শীতের কোন এক অলস ভোরে
তারও কিন্তু প্রায়ই রকমফের হয়
পাতার উপর কুয়াশার বিন্দুগুলো আসলে আমার
গলে পড়ে যাওয়া অভিমান
বর্ষার আগমনী সুর, রাগপ্রধান
পাতা, কুয়াশা, বর্ষা এসবই আমার
শূন্যতা আর পূর্ণতার মিলনসংগীত
নদী
মনের নদী শুকিয়ে ছিল
ঘোর বর্ষাতেও।
চাতকের মতো মেঘ গুনি,
আকাশের দিকে তন্ময় হয়ে!
মেঘগুলো যেন মুহূর্তে অদৃশ্য হয়,
কিছুতেই নাগাল পাওয়া যায় না!
আমায় স্পর্শ করে না কোন কষ্ট
কোন দিনই, শীর্ণ নদীর মতোই
সামনে শীতকাল, দরজায় কড়া নাড়ে,
আর আমি খিল দিই মনের দরজায়।
আরও পড়ুন। ক্লিক করুন 👇
3 Comments
জ্বলদর্চিকে ধন্যবাদ । শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
ReplyDeleteজ্বলদর্চিকে ধন্যবাদ । শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
ReplyDeleteজ্বলদর্চিকে ধন্যবাদ । শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই।
ReplyDelete