গুচ্ছ কবিতা
তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়
পর্যায়ক্রমিক
বাবার পায়ের তলায় মাটি লেগে থাকে,
মাটি দিয়েই সংসারের মূর্তি তৈরি হয়।
মা ওই মূর্তির উপর এঁকে দেয় চোখ।
চোখের দেশে খেলে বেড়ায় বর্ষাদিনের সূর্য-রথ।
রথের চাকায় চাকায় দৌড়ে যায় প্রজাপতি...
প্রজাপতি বেড়া ভেঙে হৃদয় করে দেয় জল, হাওয়া, মাটি...
মাটি লেগে থাকে বাবার পায়ের তলায়।
খিদের চিত্রায়ণে
মানচিত্র ক্ষয়ে যাচ্ছে-
বিধুকাকুর দোকানের মস্ত বেলনচাকিতে যেভাবে ক্ষয়ে যায় ময়দার মণ্ড!
পথচলতি ক্ষুধার্ত বলে -
আরও দুটো ছেঁড়া পরোটা সঙ্গে...
মানচিত্র ক্ষয়ে যাচ্ছে,
আপনাদের কান
খেতে চাওয়ার শব্দ শুনতে পাচ্ছে না।
বন্ধন-চ্যুত
নিবেদন রাখা থাকে
যৌথ প্রণয়ে।
ঘামের দখলদারি করে একা শিশু
সরল,সহজ পায়ে ঠেলে দেয় বল।
বর্ষাদেশের যুবক
প্রেমিকার কাছে কী কী বন্ধক রাখে-
জেনে নেয় কবি।
কলম ফুলেল হয়,
অরণ্যসংকুল -
বিপদের শরীর সূক্ষ্ম,
অট্টহাসি হেসে-
ঘামের দখলদারি ফিরিয়েও দেয়।
বিস্তৃত
আমাদের দারুণ অস্থির ওজন
কমে যায়।
নক্ষত্রেরা সমান্তরাল পথে হেঁটে
অস্থির কাছাকাছি এসে-
হোঁচট খেয়ে ফিরে তাকায়।
চাঁদ ওঠে।
আকাশের নিবিড় ব্যথার উপর ঝকঝকে চাঁদ-
একটি আঁধার,
চুরি করে।
হাঁ করা ঈশ্বর
হাঁ করে শুয়ে থাকে ঈশ্বরের প্রকৃত যন্ত্রণা।
সেতারের টুংটাং দীর্ঘশ্বাসের মতো
যন্ত্রণার বাহুপাশে ছটফট করে।
শূন্য ভূ-তল জানে শুধু শস্যের ভাষা!
ও ভাষা পড়তে পেরেই ঈশ্বরের যন্ত্রণা -
আল্লা ও যিশুর কাছে জল চায়!
মন্দির, মসজিদ, গির্জায়
একসাথে গেয়ে ওঠে মানুষ।
জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
আরও পড়ুন
1 Comments
অনন্য মণিমুক্তে ভরা
ReplyDelete