জ্বলদর্চি

ভালোবাসার ভাবনাগুলো /পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

ভালোবাসার ভাবনাগুলো

পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়


তোমার জন্য একটা দুটো
লাজ সুবাসী ফুল।
তাতেই আমার অন্তঃপুরের
ভাবনা হুলুস্থুল।
আবেগ জুড়ে তাই রাখা কি
নীল দুচোখের বৃষ্টি?
উষ্ণতাতে তাইতে আমার
ঝাপসা হলো দৃষ্টি।।

মন কেমনের ভাবনাগুলো
শালিক এবং শালিকপ্রিয়ার মতো।
ভিন্ন পথের উড়ান তবু
একটি বাসার ভাবনা ইতস্ততঃ।
যেমন ভাবে পিছিয়ে আসে
সাগর থেকে নদীর পানে জল।
বিপন্নতার মধ্যিখানে
নৌকো নিয়ে এই শুধু সম্বল।

রাত পেরোলে দিনের আকাশ
দিন পেরিয়ে আঁধার ঝিকিমিকি।
তারার ভিড়ে থমকে আছে
নষ্ট প্রেমের  আধুলি আর সিকি।
যা কিছু সব হারিয়ে যাওয়া
হারিয়ে যাওয়া সবই কি সেই দোষে?
এসব কিছু খুঁজছি বসে
ভালোবাসার ছিন্ন শব্দকোষে।

কতক কথা মানতে গিয়ে
মানতে পারি না তা।
ভালোবাসার মাথার উপর
রক্ষাকবচ ছাতা।
লক্ষ্মনের ও গণ্ডী দিয়ে
চরিত্রকে রক্ষে।
এসব কিছু মানাই সহজ
হয়না আমার পক্ষে।

যে চিঠিটা লিখতে চাইছ
থাক তা তোমার ঠোঁটে।
দ্বিধায়  যদি আগুন থেকে
উষ্ণতা না ওঠে।
তখন তাকে হৃদয়-ডাকে
পাঠিয়ে দিও হাতে।
কল্পনাতেই দুইয়ে তখন
খেলব জ্যোৎস্না-রাতে।

রাত বিরেতে স্বপ্নে দেখা
বুক কাঁপানো ঢেউ।
এসব কিছুর ব্যর্থতাতে
সান্ত্বনা দেয় কেউ?
তবুও দেখ উথালপাথাল
থৈ না পাওয়া চিত্তে।
হোক না হলে কল্পনা সে
অন্তবিহীন মিথ্যে।

রঙের দিকে আমার নজর
ওজর আছে যার।
তার কাছে থাক মনখারাপের 
উদাস অধিকার।
অধিকারের শেষ দেওয়ালে
বুকের বারুদ ঠাসা।
চোখের জলের দীঘির ধারে
গাংশালিকের বাসা।

অনেক বছর কাটার শেষে
এখন খড়ির গণ্ডী।
আবছা সুখে উঁচিয়ে মাথা
উঠছে যে পাকদণ্ডী।
যার উপরের পাহাড়চূড়ার
তেপান্তরের মাঠ
পরিজাতের বাগান জুড়ে
ব্যথার রাজ্যপাট।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇




Post a Comment

1 Comments