জ্বলদর্চি

পলাশ বুকে পাঁচটি কবিতা /মৌমিতা দাস

পলাশ বুকে পাঁচটি কবিতা 

মৌমিতা দাস

নতুন করে কোনো গল্প হবে না জেনেও কিছু চরিত্র এসে যায়,
বাতাসে কান রেখে বলে চলে যায় নদীর মত কিছু কথা,
গাঢ় সবুজ একটা রাত ফুরাতে গিয়েও ফিরে আসে ভোর হয়ে,
মন কেমন করা কিছু কথা তুলে রেখেছি গাছ কৌটোয় ভরে।
কড়ি পাত্র ও ভরা আছে অচল কিছু মুদ্রায়,
যাওয়ার সময় মনে করে সঙ্গে দিও যে টুকু কেবল আমার ই ছিল। আর কিছু নয়।


 আসলে আমার ভাবতে ভালো লাগে তাই।
আমার ভাবতে ভালো লাগে কেউ আছে থাকার মত করেই।
জল খাবে, জল খাবার খেও সময় মত এসব পুতুল খেলার সংলাপ সাজিয়ে নেই নিজের মত করে।
আসলে তো এগুলো কোনোটাই সত্যি নয়।
সন্ধ্যায় চিল চিৎকার জুড়ে দিলাম অযথা দেরি করে এলে আবার সঙ্গে নিয়ে লাল আগুনের মত একটা গোলাপ।
আর ওদিকে কাণ্ড দেখো চাঁদ উঠে গেলো হাড় পিত্তি জ্বালিয়ে ।
কোনো মানে হয়?
খেলনা পাতি বাসন পত্র জোরে জোরে রাখছি তুমি মান ভাঙাবে ছড়িয়ে দেবে গুরো গুরো জোনাকি, 
এসব জানি বড্ড বেশী স্বপ্ন দেখা।
আসলে তো সবটাই  হতাশায় ডুবে যাওয়া একটা রুপোলি রোদের ছাদ।
যেখানে তুমি একলাই রয়ে গেলে আর আমি মিলিয়ে গেলাম, হারিয়ে গেলাম।


 ৩
সবটা অধরা থেকে গেল
রুপোলি রোদ এর ছাদ, সাদা টি শার্টে লেগে যাওয়া লিপস্টিক ধোয়ার ঝর্না আর জোনাকির আলো ছাড়াও আরো কত কি...
এখনো পাতায় রোদ পড়লে আমার ঘুম ভাঙতে চায়না...
অজান্তে খুঁজে চলি তামা রঙের  তোমাকে...
কি ভাবে এমন  একটা আকাশ হয়েও জোৎস্না টা মিলে গেলো না বলো।


 ৪

ভোর হওয়া দেখব বলে বহুকাল ঘুমানো হয়না।
অথচ অপেক্ষা ওস হতে হতে আমি ভিজে যাই..
বড্ড নোনতা একটা গা গুলানো ঢেউ বার বার স্বপ্নে আসে।
না ঘুমালেও স্বপ্ন দেখি।
তামা রঙের সেই মাঝি বলেছিল ডুবিয়ে রাখবে আজীবন।
রাত কেটে যায় ভোর হওয়া দেখব বলে।
এখন আর ঘুম আসে না।
কোনোদিন ভোর আসেনা...


 ৫

এসো কিছুটা গোলাপী বারান্দায় বুনি,
কিছু টা উড়িয়ে দেই মন খারাপের রাতে।
ভালো থেকে যাওয়া খুব সহজ কিছু হলে মেঘ এমন বিষন্ন হত না।
সব বৃষ্টি কি ভীষন সুখের কিংবা ভীষন রকম মনে পড়ার?
হয়তো নয়।
ডুবে যাবো এসো এক পাত্র টাকিলা আর জ্বালা একটা চুমুকের সাথে।
আমরা যারা একলাই জ্বলেছি  বহুকাল,
তারাই হিসেব রেখেছি ভালোবাসা আসলে সমস্ত না পাওয়ার গল্প ছাড়া আর কিছুই না।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇


Post a Comment

0 Comments