জ্বলদর্চি

গুচ্ছ প্রেমের কবিতা -৩/বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়

গুচ্ছ প্রেমের কবিতা -৩
বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়

১) দুঃখ

আমার মনের দুঃখ যতো -
লুকাই হাসির আস্তরণে,
অশ্রু বারি আড়াল করি -
চশমা ঘষার আবরণে ।

যাকে আমি আপন ভাবি
,দুঃখ সে দেয় সবচেয়ে বেশী
বলে আমায় ধমক দিয়ে ,
" পাপী তুমি ছদ্মবেশী "।

ভালোবাসি তোমায় বলে,
বলো যদি আমায় পাপী,
তবু আমি তোমায় সদাই-
প্রণয় প্রেমের মূল্যে মাপি ।

একটু যদি ভালোবাসো-
কিই বা গো হয় তোমার ক্ষতি ?
এ প্রেম পেয়ে মুগ্ধ আমি
 বলি,"তুমি ভাগ্যবতী "।

২)আনন্দ

ঘষা কাঁচের আয়না তে মুখ দেখে,
 যখন আমি,চমকে উঠে ভাবি ,
হনুমানের পুতিই বুঝি হবো -,
কিংবা পাড়ার পোড়ারমুখী ভাবি ।

আসবে কি কেউ  আমার এ রূপ দেখে?
ছিটকে যাবে অনেক অনেক দূরে -
গায়ে  কোনো রূপ যদি না থাকে,
আসবে কেন অসুন্দরীর পুরে ?

এসব ভেবে মনটা যখন ভাঙে ,
হারিয়ে ফেলি ভালোবাসার আশা,
রাজপুত্র হয়ে এলে তুমি -
দিলে আমায় সাধের ভালোবাসা ।

বললে,' কেন ভাবনা এতো করো-,
আয়না কি আর সত্যি কথা বলে-
রূপহীনাকে সুন্দরী  সে করে ,
রুপসী কে ফেলে যাঁতাকলে ।"

তার এই কথায় জাগলো মনে আশা,
তবে আমি নইতো রূপহীনা ,
ভালোবাসা বললো নিজে এসে ,
বাঁচবে না সে আমার প্রণয় বিনা ।

খুশি আমি বড়োই খুশি আজ ,
আয়নাটাকে উলটে রেখে ভাবি,
পেলাম আমার স্বপ্নটাকে কাছে ,
পেয়েছি আজ সুখের ঘরের চাবি।

(৩) মোবাইলের ডাক

পকেটেই আছে মোবাইল ফোন
মাঝে মাঝে বেজে ওঠে,
বিরক্তিকর কিছু কিছু ডাক-
অতৃপ্তি নিয়ে জোটে ।

ফোন হাতে নিয়ে কথাও তো বলি,
নামাতে পারলে বাঁচি ,
প্রাণ হীন সব ফোন আলাপন,
চালাতে পারিনা কাঁচি 

কখনও আবার সেই ফোন আসে ,
আনন্দ দেয় মনে ,
আড়ালেতে  গিয়ে বলে চলি কথা
অতীব সঙ্গোপনে ।

কতো হাসি আর কতো ছলা কলা,
মনকে ভিজিয়ে চলে ,
প্রেমিক ও প্রেমিকা ছাড়ে না তো ফোন
আনন্দে কথা বলে ।

চার্জ শেষ হয় থেমে থেমে যায়,
কথাটা কি হয় শেষ ?
তাড়া তাড়ি ছুটে চার্জ ভরে নেয়,
শুরু হয় ফের রেশ ।

কখনও আবার জমে অভিমান,
সুতীব্র আক্রোশে ,
ফেটে পড়ে কেউ  ভেঙে যায় মন,
নিদারুণ এক রোষে ।

আত্মনাশেরর কাজ শূরু করে
চালু রেখে ফোনটাকে ,
বোঝে না এভাবে  ধ্বংস করছে
তারই পরিবার টাকে।

মোবইল তাই বড়ো উপকারী,
অশুভ বালাইও সে,
মঙ্গল আর অকল্যাণ  দুইই
করে সে অক্লেশে ।

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

0 Comments