ভূতেদের কথা
বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়
ভূতের দেশে
দিনের বেলায় আজব ছলায় লুকায় ওরা ঝাড় ঝোপেতে,
রাতের বেলায় প্রেতের মেলায় নামে সবাই এক rope-এতে।
দেখতে পেলে বন্ধু স্বজন,
এক লাফেতেই যায় যে তখন
কালো মেঘের ছায়ার মত আসবে ওরা রোদ জলেতে।,
ভয় যদি পাও পালিয়ে যাবে এক নিমেষের এক পলেতে।।
অশরীরী মূর্তি ওরা নেমে আসে রাত-আঁধারে,
খুঁজে খুঁজে ফেরে ওরা রাত আঁধারে হয়তো কারে,
ভালোবাসার পরশ দিয়ে ,
নাও তোমাদের মন সাজিয়ে,
লাল গোলাপের পাপড়ি ছুঁড়ে ডাকো এ সব দুর্ভাগারে
মিথ্যে ভয়ে পালিও নাগো হারিয়ে তোমার সব বিচারে।।
মায়াবিনী প্রেতিনি সব আসবে এসে গান শোনাবে,
খট খটি সে তবলা নিয়ে তোমাদেরও তাল গোনাবে ,
দেখে শুনে পাও যদি ভয় ,
মামদো জিনের গাও তবে জয়,
তখন ওরা আসবে কাছে উল দিয়ে সোয়েটার বোনাবে ,
ঠিক ঠাক সব করো যদি তখন কি আর ফের ভোগাবে?
ভূতের ছড়া
স্বপ্নে সেদিন/ভূতের দেশে/হঠাৎ গেলাম/চলে ,
আজগুবি নয়/স্বপ্ন জেনো/সত্যি কথাই/বলে,
অনেক ভূতের/ ছানা দেখি /সেথায় খেলা/ করে,
কেউ ছোটে আর/কেউবা লাফায়/কেউ বা লড়াই/করে।।
ডান, ডাইনি,জিন, মামদো, অনেক ভূতের ছানা,
খেলার মাঠে খেলে সবাই কেউ করে না মানা ,
জলভূতের এক পোলা সেতো আমায় ডেকে নিলো,
কি যেন এক বলের মতো আমার হাতে দিলো ।।
বললো, "এ বল ছোঁড় দেখি তুই জটে বুড়ির দিকে,
দেখবো কেমন নিশানা তোর মারতো বুড়িটিকে",
দেখি চেয়ে বল নয় এটা মড়ার মাথার খুলি,
"বাপরে" বলে জোরসে ছুটি ব'লে রামের বুলি ।।
ধপাস করে আছড়ে পড়ি উঁচু সে খাট হতে,
আর যাবো না ভূতের দেশে স্বপ্নে কোনও মতে,
ভূতের দেশের কষ্ট অনেক বুঝেছি ঠিক আমি,
বুঝেছি ভাই মরার চেয়ে বাঁচা অনেক দামী ।।
মামদোর কান্না
তেল গড়িয়ার জলার ধারে একলা আমি থাকি,
রাত্রি হলে হাওয়ার সুরে লোক জনেদের ডাকি।
হোতার সাঁকোর পাথের বাঁকে ,
বন্ধু আমার লুকিয়ে থাকে ,
আমার ডাকের আওয়াজ টা তার কানেই ঢোকে নাকি ?
আমি শুধুই ভাবতে থাকি কতো রাত আর বাকি ।।
দিনের বেলায় ঝাপসা চোখে যায় না কিছু দেখা,
শিয়াল ভুতও কোথায় পালায় আমায় ফেলে একা,
জটে বুড়ি আসে তখন ,
আদর করে ইচ্ছে মতন,
বলে আমায়," কাঁদিস যদি যায় কি ঘরে টেকা ?"
আমি বলি, "ও আই মা লাগছে বড়ো একা ।।
আমার মা'তো অনেক আগে স্বর্গে গেছে চলে,
সেই খানে সে সবার কাছে আমার কথাই বলে ।
কান্না কাটি করেও বুঝি ,
তাইতো আমি মাকেই খুঁজি,
চোখ থাকলে দু চোখ আমার উঠতো ভরে জলে,
মামদো আমি শরীর টা নাই কাঁদবো না তা বলে ?"
0 Comments