জ্বলদর্চি

মারণবীজের আজব ধাঁধা /পর্ব ৫/বাসুদেব গুপ্ত

মারণবীজের আজব ধাঁধা 

পর্ব ৫

বাসুদেব গুপ্ত

অর্চির হাতদুটো থরথর করে কাঁপে। পিনা কোলাডার টিউলিপ গ্লাসটা কতই বা ভারী? কোনমতে সাবধানে দু হাত দিয়ে স্টেমের দুদিকে ধরে নামিয়ে আলতো করে মুখটা মুছে নেয়। একটা ছোট অপারেশান করতে হয়েছিল ক্লট ক্লিয়ার করার জন্য। মাথা চুলগুলো এখনও অস্বাভাবিক খোঁচা খোঁচা। দুচোখের কালো কাজল টানার মত স্থায়ী গভীর রেখা। নভীন ওর হাতটা চেপে ধরে। 
-কষ্ট হচ্ছে?
-নাঃ আর হয় না। তবে জোর নেই কোন। না শরীরে, না মনে। নার্ভে কিছু ধাক্কা লেগেছিল প্রচন্ড ঝাঁকুনিতে। ঠিক হবে আস্তে আস্তে। 
ওয়েটার খাবার নিয়ে আসে। নিউটাউনে এখন অনেক বিজনেস হোটেল। তারই একটাতে উঁঠেছে নভীন। জানলায় বাইরে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব বাংলার বিরাট আর্চ। আরো অনেক দর্শনীয় জিনিষ হয়েছে এখানে। একটা দাঁড়িয়ে ওঠার ইচ্ছে দেশটার জাগছে কিন্তু কিভাবে সেটা হবে কারো মাথায় আসেনি এখনো। তাই চারদিকে তৈরী হচ্ছে এইসব পার্ক আর তাতে ছোট বিগ বেন, ছোট আইফেল, সব ছোট ছোট। একটা পনীর কাবাব যত্ন করে গেঁথে মুখে তোলে নভীন। তার মনে হাজার ভাবনা এলোমেলো ঘুরতে থাকে।
একটা সাংঘাতিক কিছু হচ্ছে। স্যাবোটাজ? রাশিয়ান স্টাইলে নিউক্লিয়ার পয়জনিং? নতুন ভাইরাসের স্ট্রেন? কোভ ২ ওমিক্রন বি এ ২, বি এ ২ স্টেল্থ তারপর এটা? ছাত্রজীবনের কথা মনে পড়ে। তখন এমনি চুলচেরা আলোচনা চলত দুজনে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে। উইন্ড পাওয়ার। সোলার পাওয়ার? না কি নিউক্লিয়ার পাওয়ারই সেরা? এখন দিন আরো কঠিন। দুনিয়ার অংকের প্রশ্নপত্র আরো জটিল। 
-এত স্পীডে ইনফেকশন হচ্ছে আর মানুষ মরে যাচ্ছে, অনেকটা নীপা বা ইবোলার মত?
-না। তার থেকেও ভয়ংকর। মানুষের ইতিহাসে এর থেকে তীব্র দ্রুত একশান আজ পর্যন্ত দেখা যায়নি। আমি অনেক গুগল খুঁজেছি। পাই নি। মাথা নাড়ে অর্চি। 
-তা হলে? আর গুগল কি সব জানে? বেশির ভাগ ঘটনাই তো দেশের সরকার লুকিয়ে রাখে, টপ সিক্রেট বলে।
-ভাইরাসের ব্যাপারে বুদ্ধি থাকলে কেউ সেটা করবে না। কারণ লুকিয়ে তো রাখা যাবে না। চীন পেরেছিল? নভীন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। 
-আইনস্টাইনের কথা মনে আছে? যদি সত্যি অসীম কিছু থাকে তা হলো মানুষের নির্বুদ্ধিতা। একুশ শতাব্দীর প্রতিটি দশক ইতিহাসে মানুষের বোকামিই এক একটা আকাশচুম্বী সিঁড়ির এক একটা ধাপ। 
-আর ইতিহাস? ইতিহাস ভূগোল সব ঘেঁটে গেছে। এই নীল বলটাই থাকলে হয় । অর্চি হতাশ মুখ করে চুমুক দেয় গ্লাসে। 
নভীন খানিকক্ষণ চুপচাপ থাকে। তারপর খুব আস্তে আস্তে বলে, 
-তুই চাস না রুচির মৃত্যুর একটা কিনারা করতে?
-সে কি আর ফিরে আসবে?
-না। কিন্তু আরো হাজার হাজার রুচির প্রাণ তো বাঁচতে পারে। আমার কান ঘেঁষে গুলি বেরিয়ে গেছে। সবার তো যাবে না।
একটা মেসেজ আসে। নিউজ এলারট ফোনে সেট করা। নভীন দেখে। তারপর অর্চিকে দেখায়। 
-বেলগাঁওএর থেকে ৫০ কিমি দূরে ট্রেন দুর্ঘটনা। অনেক মৃত্যুর আশংকা। ড্রাইভারের ভুলকেই কারণ ভাবা হচ্ছে। সিগনাল অগ্রাহ্য করে ট্রেন গিয়ে ধাক্কা মারে উল্টো দিকের একটা মালগাড়ীতে। ব্রেকিং নিউজ। দেখতে থাকুন। 
আর একটা ছবি। ড্রাইভারের। ক্ষতবিক্ষত। কিন্তু যেটা সহজে কারো চোখে পড়বে না সেটাতে ওদের চোখ আটকায়। চোখদুটো অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে বেরিয়ে এসেছে। 
-আবার? একসংগে দুজনেই অস্ফুট চীৎকার করে এ ওর দিকে তাকায়। চোখে অজানা ভয়। কিসের ভয় বুঝতে না পারার আতংকে দুজনেই দিশাহারা। 
 -এটা ভাইরাস বলেই তো মনে হয়। কিন্তু করোনার মত নয়। ছড়িয়ে পড়ার গতি অনেক ধীরে ।
-সেটা আমরা এখনও বলতে পারি না। হয়ত প্রচুর ইনফেকশন হচ্ছে, এবং সেটা লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। 
-হতে পারে। কিন্তু সম্ভাবনা কম। প্রথম করোনার কথা মনে আছে? টুকটাক দু একজন বিদেশ থেকে আসছে আর ঘাপটি মেরে বসে থাকছে। ২ জন কলকাতায় ৫ জন দিল্লিতে ৭ জন মুম্বাইয়ে। আমরা কি ভাবছিলাম? এই সব গুটি কয়েক ইনফেকশন আমরা আটকে দেব ঘর বন্দী করে। তা হল না। শেষকালে দেশবন্দী করে দিলেন আমাদের সরকার। কি লাভ হলো? টিভির ভাষায় সারা দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলল। তেমনি এই ভাইরাসটাও যদি বেশি ইনফেকশাস হয় তাহলে লুকিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের সরকার এখন অনেক অভিজ্ঞ। নিশ্চয় ঘোষণা করার মত এখনো তারা কিছু পায় নি। 
-এখনও পায় নি! তিন তিনটে দুর্ঘটনা। ট্রেন একসিডেন্টটা তো মনে হচ্ছে বেশ সাংঘাতিক। 
ব্রেকিং নিউজে খবর আসতে থাকে। এখনো পর্যন্ত ৪৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত শতাধিক। তিনটে টোল ফ্রি নম্বর খোলা হচ্ছে। রেল মন্ত্রী রওনা হয়ে গেছেন দুর্ঘটনাস্থলের দিকে। বিরোধী নেতা টুইট করেছেন রেলের বেসরকারীকরণ করার জন্য সময় নষ্ট করে যাত্রীদের নিরাপত্তার অবহেলা করার ফল এটা। রেলমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ দাবী করে বাইট দিয়েছেন বামপন্থী নেতা। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে কোন তথ্য এখনো সামনে আসে নি। প্রতিটি চ্যানেলে বিখ্যাত লেখক দলনেতার বাইট নেওয়া শেষ করে আলোচনা সভা বসিয়ে দিয়েছে। সেখানে তুমুল বাদ বিতণ্ডা চালু। 
-কিন্তু কি করে হলো কারো মাথায় ঢুকছে না। এর সংগে অন্য দুর্ঘটনাগুলোর যে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে তা জানা কারো সম্ভব নয়। শুধু আমরা এবং মণিকা ছাড়া।
-মণিকা কে? অর্চি সোজা হয়ে বসে, তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে মুখ চোখ। 
মণিকার ব্যাপারটা নভীন ধীরে ধীরে বোঝায়। এটাও একটা একসিডেন্টাল সুযোগ। একমাত্র সুযোগ জানার যে সরকার কিছু জানে কিনা। 

-আচ্ছা আমরা কেন ভাবছি তিনটে মাত্র দুর্ঘটনা হয়েছে? দাঁড়া আমি একটু খোঁজ করি। দৈনিক সাংবাদিক খবরের কাগজের আর্কাইভ যে দেখে তাকে আমি চিনি। পূর্ণিমা নায়ার। উর্বীর ক্লাসমেট ছিলো। কিছুদিন টি সি এসে ডাটা বেস এডমিনের কাজ করে তারপর ঢুকেছে সাংবাদিকে। নভীন মেসেজ করে উর্বীকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ফোন নম্বর চলে আসে টেক্সট মেসেজে। নভীন কল লাগায়। 
কুশল বিনিময় ও উর্বীর দুর্ঘটনার খবর দেওয়া নিয়ে কয়েক মিনিট সময় কাটে। তারপর নভীন ওকে বলে, 
-গত তিন মাসে কটা রোড এক্সিডেন্ট হয়েছে যার কোন কারণ পাওয়া যায়নি তার লিস্টটা বার করতে পারবে?
-খুব কঠিন। বেশ সময় লাগবে। অনেক কোয়ারী লিখতে হবে, রেজাল্টগুলো জুড়তে হবে। কিন্তু হঠাৎ এটা জানতে চাইছেন কেন নভীনভাই?
-কারণ আমার সন্দেহ উর্বীর, আজকের ট্রেনের ও আমার বন্ধুর একসিডেন্টগুলোর মধ্যে একটা কমন সূত্র আছে। আবছা হলেও দেখতে পাচ্ছি আমি। আমার মনে হচ্ছে খুব শীঘ্র এমন দুর্ঘটনার সংখ্যা আরো বাড়বে। করোনার থেকেও ব্যাপারটা ভয়াবহ হতে পারে । প্লীজ এই খবরটা যদি বার করতে পারো আমি তোমাকে নিয়ে বসবো। হয়ত দেশের বা পৃথিবীর ভাগ্যের সংগে আমাদের নাম জড়িয়ে যেতে পারে। কিন্ত একদম টপ সিক্রেট। আমরা যে এমন একটা ইনভেস্টিগেট করছি সেটা যেন কাক পক্ষীতেও না জানতে পারে। 
পূর্ণিমা বুদ্ধিমান। যে কোন কিছু বুঝে নিয়ে চটপট কাজ উদ্ধার করার জন্য অফিসে নামডাক। 
-ঠিক বুঝলাম না। কিন্তু আপনি যখন বলছেন আমি খুব চেষ্টা করব। যা ডেটা পাওয়া যায়। কাল আমার বাড়ীতে ব্রেক ফাস্টে আসুন। সাউথ ইন্ডিয়ান কিন্তু। আপনার বন্ধুকেও নিমন্ত্রণ জানালাম। ভালো ফিল্টার কফি পাবেন আমার বাড়ী। আপনি তো কফি ভালোবাসেন জানি। ঠিক আছে? আমার কাজ শেষ হলে আমি টেক্সট করে দেব। প্রিন্ট আউট নিয়ে কাল আমার বাড়ীতে। ৯টায়। রেজাল্ট পাই বা না পাই। । পূর্ণিমা ফোন ছেড়ে দিয়ে কীবোর্ডটা টেনে নেয়। 
কাল রবিবার। কাল মণিকার কাছ থেকেও কিছু খবর আসতে পারে। অর্চিকে গাড়িতে তুলে দিয়ে নভীন নিজের ঘরে ফেরে। রুম ৩০৩। দেখে হাসি এসেও মিলিয়ে যায়। মাথার মধ্যে হাজারো সাপের মত ভাবনাগুলো কিলবিল করতে থাকে। 
হঠাৎ মেসেজ। নভীন ঘুমোতে যাবার আগে মেসেজ আসা পছন্দ করে না। উর্বী এখন ওষুধের প্রভাবে দশটার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে। ফোনে স্লিপ মোড সেট করতে দেরী হয়ে গেছে আজ। বিরক্ত মুখে ফোনটা তুলল। নিশ্চয় কোন কন্ট্রাক্টর হবে। পেমেন্ট চাই। 
চমকে উঠল মেসেজ থেকে। তারপর এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেল। 
“আমি আজ সারাদিন ****ল্যাবে ঘুরলাম। আমার জন্য মনে হয় হোটেলে কোন সিকিউরিটি টিমের আবির্ভাব হয়েছে। চাবি নিতে রিসেপশানে যেতে গিয়ে শুনলাম আমার নাম নিয়ে দুজন লোক খোঁজখবর করছে। মনে হল এন আই এর লোক। একজন একটা আইডি দেখাচ্ছিল, আমার চেনা চেনা লাগল। আমি চটপট রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়ে এই মেসেজ লিখেছি। হঠাৎ যদি এরেস্ট হয়ে যাই তাই ছোট করে লিখেছি। মনে হয় কোনরকম সন্দেহ করছে। আমি এই যে মেসেজ পাঠাচ্ছি এটা সব সেলফ ডেসট্রাক্ট করে দেবে পাঁচ মিনিটের মধ্যে। মেসেজটা কপি করে কোথায়ও রেখে দিন চটপট। আশা করি ৫ মিনিট পাবো। 
আমি মিসেস পাওয়ারের কাছে কয়েকটি আকস্মিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করি। দরকারী পয়েন্টগুলো এখানে লিখে রাখছি। পরে আলোচনা ও বিশদ ব্যাখ্যা করা যাবে। 

1. সরকার এই ভাইরাস সম্বন্ধে অবহিত। তারা এই প্যাটার্নটা লক্ষ্য করেছে এবং তাই নিয়ে ডঃ বেরার ল্যাবকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে,
2. আজ পর্যন্ত ৬টি দুর্ঘটনার রেকর্ড আছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন মারা গেছে। প্রতিটি কেসেই প্রথমে একজন করে মারা গেছে অসুখে। দুর্ঘটনাটা ট্রিগার করেছে এই অসুখ। তারপর মারা গেছেদুর্ঘটনায়। কিন্তু তার পরে প্রায় যতজন প্রথম ভিক্টিমের কাছে এসেছে প্রায় সবাই মারা গেছে অসুখে। 
3. এখনও পর্যন্ত বোঝা যায় নি এটা কোন পরিচিত জীবাণু বা ভাইরাস বা রাসায়নিক থেকে হচ্ছে কিনা
4. সংক্রমণ হওয়া বা ছড়িয়ে পড়ার কোন খবর নেই
5. ব্যাপারটা খুবই সিরিয়াস ভাবে নেওয়া হচ্ছে। এবং কোন প্যানিক যাতে নেওয়া না হয় তার জন্য সম্পূর্ণ গোপন রাখা হচ্ছে
6. প্রধানতঃ নতুন কোন ভাইরাস বলে সন্দেহ করা হচ্ছে কিন্তু কোন ভাইরাস এখনো পর্যন্ত আলাদা করা যায় নি।“ 

মেসেজটা দেখেই ওর স্নায়ুগুলো সজাগ হয়ে গেল। পেশী হয়ে গেল টানটান। তাড়াতাড়ি মেসেজটা কপি করে নোটপ্যাডে রাখলো। তারপর তাকিয়ে দেখল ৫ মিনিটের মধ্যে মেসেজ অটোমেটিক ডিলিট হয়ে গেল। তারপর কন্টাক্ট থেকেও মুছে গেল মণিকার নাম। হোয়াটসাপে এতসব হয় না। আজকাল অনেকেই তাই ব্যবহার করে বিপার নামে একটা এপ। সিকিউরিটি নিশ্ছিদ্র। বিপার ব্যবহার করে মেসেজটা পাঠিয়ে দিল উর্বীর ফোনে লকড মেসেজ করে। উর্বী দেখে বুঝতে পারবে। আর ও ছাড়া এই মেসেজ কেউ পড়তেও পারবে না। 
সব গুছিয়ে করার পর শুরু হল মণিকার জন্য চিন্তা। এখন কাউকে ফোনও করা যাবে না। তা হলে কলের সিকোয়েন্স ট্রেস করে ওরা বুঝে ফেলতে পারে। ওরা কথাটা ভেবেই ওর একটু শীত শীত করতে শুরু হল। এসিটা কমিয়ে সেট করল ২৮। একটা ভয় পা দিয়ে যেন সরসর করে ওপরে উঠছে আর নামছে। কিন্তু কিসের ভয়? ভাবতে গেলে ভয় অনেক। আবার কোন নতুন এক্সিডেন্টের ভয়, ইনফেকশন হলে তা ছড়িয়ে পড়ে কোটি কোটি মানুষ বিপদে পড়ার ভয় আবার সরকারী সিকিউরিটির ফাঁদে পড়ে এরেস্ট হবার ভয়। 

রেল একসিডেন্টের শেষ খবর টিভিতে নীচের লাইনে মার্কি করে দেখিয়ে যাচ্ছে। ১২৫ ডেড। ৩০০র বেশি আহত। এখনও কোন কারণ জানা সম্ভব হয় নি। 
অতগুলো ভয়ের সংগে একসংগে যোগাযোগ যাবে না। একটা বেছে নিতে হবে। 
সিদ্ধান্ত নিতে নভীনের সময় লাগালো না। এরেস্ট হবার থেকে ভয়ংকর অসুখে পৃথিবীর সব মানুষ মারা যাবার ভয় অনেক বাস্তব। কাল পূর্ণিমার রিপোর্ট আসুক। 
আগামী কাল যেন যুদ্ধ শুরু। কি করতে হবে জানলে নভীন শান্ত হয়ে যায়। আলো নিভিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে শুয়ে পড়ল। একটু পরেই অকাতরে ঘুমোতে লাগল। কতদিন এরকম ভালো করে ঘুম হবে কে জানে। একটা যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে। কিন্তু শত্রুর নাম জানা নেই। 
 -ক্রমশঃ-

জ্বলদর্চি পেজে লাইক দিন👇
 

Post a Comment

0 Comments