জ্বলদর্চি

রোশেনারা খান (সমাজসংস্কারক, শিক্ষাবিদ, প্রবন্ধকার)/ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের মানুষ রতন, পর্ব -- ২৫

রোশেনারা খান (সমাজসংস্কারক, শিক্ষাবিদ, প্রবন্ধকার)

ভাস্করব্রত পতি 


ইচ্ছে হত কাকার মতো কবি হওয়ার। ইচ্ছে হত কবিতা লেখার। ইচ্ছে হত গান গাইবার। ইচ্ছে হত সাইকেল চড়া শিখে উন্মুক্ত পথে প্রজাপতির মতো ডানা মেলে ঘুরে বেড়াবার। কিন্তু সকলের তো সব ইচ্ছে পূরন করেননা ওপরওয়ালা। তাই যাবতীয় মনের ইচ্ছেগুলো চোখের লোনা জলে চুবিয়ে গলা টিপে হত্যা করতে হয়েছিল একসময়। 

একরত্তি মেয়ে। এক্কা দোক্কা, বুড়িবসন্ত, এলাটিং বেলাটিং খেলায় মত্ত থাকতেই পছন্দ। চোখে হাজারো রঙিন স্বপ্ন। সেই স্বপ্নে প্রথমে কখনও আসেনি সংসার সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার অলিক কল্পনা। সেই স্বপ্নে বাসা বাঁধে মৌটুসী পাখির সাথে খেলা। সেই স্বপ্নে ঠাঁই পায় আবীর মাখা রোদ্দুরে সিনান করার মজা। সেই স্বপ্নে চিঠি লেখা হয় তেপান্তরের মাঠ পেরোনো কোনো এক অজানা অচেনা রাজ্যের অশ্বারোহীর উদ্দেশ্যে।

তখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। প্রথম কবিতা লিখলেন স্কুলের ম্যাগাজিনে। তা প্রকাশিতও হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ১৩ বছর ৩ মাস বয়সেই "কাবিলনামা" হয়ে যায় কবি হওয়ার স্বপ্ন দেখা সেই সুন্দরী মুসলিম বালিকাটির। ছাত্রী থেকে 'বালিকাবধূ'তে রূপান্তর! সেটাই ছাত্রী জীবনের প্রথম ও শেষ কবিতা লেখা। কবিতার খাতায় আর কলমের আঁচড় পড়ার সুযোগ জোটেনি তাঁর। জীবনের সাধ আহ্লাদগুলোর বন্দীদশা শুরু হয় ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই। সম্ভ্রান্ত এবং গোঁড়া মুসলিম পরিবারের সেকেলে মানসিকতার কাছে হেরে যায় স্বাধীনতার স্বাদ। কচি ঘাসের ডোগায় লেপ্টে থাকা শিশিরবিন্দুগুলোর বাষ্পীভবন যেন!

বাল্যবিবাহের জ্বলন্ত ঘা জীবনের পরতে পরতে জড়িয়ে প্রবেশ করলেন এক অসম লড়াইয়ের ময়দানে। সেই ময়দানে তিনিই স্ট্রাইকার, তিনিই ডিফেণ্ডার, তিনিই গোলকিপার। আর তিনিই রেফারি। শুধু স্টেডিয়ামের দর্শকাসনে পরিবারের আত্মীয় স্বজন, পরিচিত বন্ধু বান্ধব এবং অগুনতি শুভাকাঙ্ক্ষীরা।

রোশেনারা খান। মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ। নিজের জীবনের প্রতিটি বাঁকে যে যন্ত্রনা, কষ্ট, উপেক্ষা, অনাদর, অসম্মান, হাহুতাশ, ব্যাথা, বেদনা এবং কান্নার সাথে যুঝেছেন, তা যাতে আর কোনো মুসলিম মহিলা ভোগ না করে -- তার জন্য তিনি লড়াইয়ের ময়দানে। তিনি জানেন মুসলিম সমাজে মহিলাদের অবস্থান। নিজের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার নিরিখে উপলব্ধি করেছেন প্রতিটি পলে পলে। একদিকে বাল্যবিবাহ, অন্যদিকে নারী পাচার, সেইসাথে কন্যা ভ্রূণ হত্যা, অভিন্ন দেওয়ানী বিধি, শরিয়তী আইনের বৈষম্য আর রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের গৃহবধূদের মানসিক যন্ত্রনার "আঁখো দেখা হাল" তুলে ধরতে চেয়েছেন তাঁর লড়াইতে। 

দোগাছিয়া গ্রামের ধলহরা স্কুলের শিক্ষক শাজাহান খানের সাথে বিয়ে ১৯৭১ এর ১৪ ই মার্চ। বাবা হাবিবুর রহমান খান মেয়ের নতুন শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের জন্য নিয়ে গেলেন মেয়ের লেখা প্রথম প্রকাশিত কবিতা সমৃদ্ধ স্কুলের ম্যাগাজিনটা। যে ম্যাগাজিন হয়ে উঠতে পারতো এক সদ্য প্রস্ফুটিত কবির কবিত্ব শক্তির অঙ্কুরোদগম, তা হয়ে উঠলো এক নবপরিণীতা বধূর জীবনের স্বপ্নভঙ্গের খতিয়ান।

ডাকনাম 'বেবি'। ১৯৫৭ এর ২৫ শে নভেম্বর জন্ম হয় গড়বেতার মঙ্গলাপোতা গ্রামে। ঠাকুরদা মতিউদ্দিন খান ছিলেন দারোগা। চিল্কিগড় রাজবাড়ির সঙ্গে গলায় গলায় সম্পর্ক। বাবা সহ চার ভাই। বাবা হবিবুর রহমান খান গানের চর্চার সঙ্গে সঙ্গে খুব সুন্দর ছবি আঁকতেন। ছোটকাকা মুজিবুর রহমান খান বাংলাদেশ রেডিওতে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতেন আর ঢাকাতে জেলা জজ হয়েছিলেন। আর মেজকাকা মুকলেসুর রহমান খান লিখতেন কবিতা। তিনিই ছিলেন তাঁর স্বপ্নের জাল বুননের অন্যতম পথিকৃৎ। ছোট থেকেই নানা ধরনের বই পড়তে ভালোবাসতেন। আর কৈশোরের মজ্জায় প্রস্ফুটিত হোতো ছন্দের নাড়াচাড়া। একটা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠার সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন এই পরিবারের একজন হয়ে।
বিয়ের পর ১৯৭৩ এ স্কুল ফাইনাল পাস করেন। এরপর পাকাপাকি ভাবে শ্বশুরবাড়িতে শুরু হয় জীবনের অন্যতম ইনিংস। আসলে মেয়েরা হল জলের মতো। যখন যে পাত্রে রাখা যায়, সেই পাত্রের আকার ধারণ করে। তেমনি শ্বশুরবাড়িতে এসে মাটির উনুনে কাঠের জ্বালানি জ্বেলে ১৫ - ১৭ জনের রান্না করেছেন নিজের হাতে। কাঁথা সেলাইও বাদ যায়নি। সম্পূর্ণ গ্রামীণ সংস্কৃতি ও আটপৌরে জীবনকে একাত্মীভূত করতে নিজের স্বপ্নগুলোকে অবদমিত করে রাখার শক্তি তিনি অর্জন করেছিলেন সেই সময়েই।

ঠিক দু বছর বাদে ১৯৭৫ এর ২৬ শে নভেম্বর প্রথম সন্তান মেয়ে শাহিন পারভিন জন্ম নিল। আর ১৯৭৮ এ ছেলে শাহীদ পারভিন হোলো। ইতিমধ্যে ১৯৭৭ এ স্কুলের চাকরি ছেড়ে WBCS অফিসার হয়ে স্বামী চলে গেলেন উত্তর দিনাজপুরের বালুরঘাট। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে ১৯৭৯ তে তিনিও গেলেন স্বামীর কাছে। টানা দশ বছর পর মেদিনীপুর এলেন ১৯৮৯ তে। সংসারের ম্যাড়মেড়ে জীবনের অন্দরমহলে কিঞ্চিত নির্মল বাতাসের প্রবেশ ঘটলো তখন। দিনের পর দিন ছাপোষা জীবনের ঘেরাটোপে থেকে থেকে কুষুম হৃদয়ের বাষ্পচাপ তাঁকে করে তুলেছিল পরিনত এবং প্রতিবাদী মহিলার প্রতিভূ। সেই ক্লাস এইটের মেয়ে আজ দিন বদলের সাথে সাথে 'মমতাময়ী মা'! নিজেকে করে তুলেছেন পরিশীলিত, পরিমার্জিত এবং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পূর্ণবয়স্ক নারী। সামান্য মাধ্যমিক পাশ একজন মুসলিম মহিলার ব্যক্তিত্ব, বাচনিক ক্ষমতা, কলমের জোর দেখে অদ্রিশ বর্ধনের মতো সুনাগরিকের চমৎকৃত মন্তব্য - "তাঁতের শাড়িতেও কতখানি আকর্ষনীয়া হতে পারো -- তোমাকে দেখে শেখা উচিত কলকাতার মেয়েদের"।

মেদিনীপুরে এসে শুরু হোলো আবারও লেখালেখির কাজ। তিনি মেদিনীপুরের মহিলা। লড়াইটা করতে জানেন রুখা মাটিতে দাঁড়িয়েই। অকালে বিনষ্ট বাল্য জীবনের অধরা সৌন্দর্য তো আর ফিরে পাওয়া যাবে না, কিন্তু গতানুগতিক ধারার চলমান অবিমৃষ্য জীবনকে কিঞ্চিত আলোর পথে নিয়ে যাওয়া যেতেই পারে। ১৯৯৫ তে দ্বিতীয়বার লেখা শুরু করলেন ঈদের স্মরনিকা সংখ্যায়। বিদ্যুৎ পালের ছোটদের পত্রিকা 'নয়ন'তে লিখলেন। কাজী নজরুলের জন্মশতবার্ষিকীতে মেদিনীপুর কলেজে পাঠ করলেন কবিতা। এরপর আর থেমে থাকতে হয়নি। আজকাল পত্রিকায় একটার পর একটা 'পত্রবোমা প্রবন্ধ'। লক্ষ্য নাগপাশে বন্দী মুসলিম মহিলাদের কথা তুলে ধরা। ভীমরুলের চাকে ঢিল ছুঁড়ছিলেন তিনি। গোঁড়ামির বিরুদ্ধে তাঁর লেখনীতে ভীতসন্ত্রস্তদের হুমকি - "আগুন নিয়ে খেলছেন আপনি। পরিনতি ভয়ঙ্কর হতে পারে"। কিন্তু তাঁর মননে চিন্তনে তো "আমি কি ডরাই, সখি, ভিখারী রাঘবে? / পশিব লঙ্কায় আজি নিজ ভুজবলে, / দেখিব কেমনে মোরে নিবারে নৃমণি"?

প্রথম প্রতিবাদ শুরু করেন শরিয়তী আইনের বৈষম্য নিয়ে। ২০০০ সালে তারা বাংলা চ্যানেলে 'এই মুহূর্ত'তে। সেদিন প্রশংসা করেছিলেন শিক্ষাবিদ হোসেনুর রহমান।  এরপর 'অঙ্গনা লাইভ, 'গরমা গরম', 'খাসকথা', 'প্রিয় বান্ধবী'তে অংশগ্রহণ করেন। 'অভিন্ন দেওয়ানী বিধি' নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ধীরে ধীরে বক্তার পরিচয় হয়ে উঠলো 'প্রতিবাদী নারী' হিসেবে। দূরদর্শনে অপরাজিত আঢ্যর পরিচালনায় মেদিনীপুরের এই প্রান্তিক এলাকার মহিলা যখন ডলি বসুর সাথে একাসনে বসে কন্যা ভ্রূণ হত্যা সহ নানা জ্বলন্ত বিষয় নিয়ে বললেন, তখন তিনি রাজ্য জুড়ে এক অনন্য আন্দোলনকারী মহিলা হয়ে উঠেছেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সামাজিক সমস্যা নিয়ে ভারতী মুৎসুদ্দি, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, কৃষ্ণা বসু, শাশ্বতী ঘোষ, পৌলমী ঘটক প্রমুখদের সাথে নারী বিষয়ক নানা ধরনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মেদিনীপুরের এই মানুষ রতনটি।

চিঠিপত্র লিখতে লিখতেই প্রবন্ধ লেখায় অনুপ্রবেশ। আনন্দবাজার অনলাইন, একদিন, আজকাল সহ নানা পত্রিকায় লিখেছেন তিনি। নারীদের সমস্যা ও তার সমাধান বিষয়কে সামনে রেখে গতানুগতিক ধারার চলমান সামাজিক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ছুটতে লাগলো তাঁর কলম আর ফুটতে লাগলো তাঁর মুখ। নিজের চোখে দেখেছেন নিজের শাশুড়ির মানসিক কষ্ট। বলতে চাইতেন, কিন্তু পারতেননা। মুসলিম সমাজের যে বেড়ি বন্ধনী তার কুফল তিনি নিজের জীবনে ভোগ করেছেন। তিনবার লণ্ডন গিয়েছেন। একমাত্র মেয়ে থাকে লণ্ডনে। আর নিজে মনে করেন, "আমি কখনোই ভাবিনা যে আমি কোনও কাজ করতে পারবোনা"। এতখানি মনের জোর নিয়েই তাঁর জীবনের পথচলা।

২০১৫ তে প্রকাশিত হয় প্রথম বই "আমি নারী"। এছাড়া তাঁর কলমের ডোগায় জন্ম নিয়েছে "বাঙালি মুসলিম সমাজ ও নারী" বইটি। এই দুটি বই এখন ছাত্র ছাত্রীদের নানা গবেষণার কাজে লাগছে। লিখেছেন কবিতার বই "ঝরা বকুলের মালা"। বিভিন্ন প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশ করেছেন "আবর্ত"। এখন লিখছেন নিজের আত্মকাহিনী "যেতে যেতে পথে"। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সেমিনারে বক্তব্য শুনে এই প্রতিবাদী চরিত্রকে লক্ষ্য করে সেমিনারের সভাপতি মোহিত ভট্টাচার্যের জিজ্ঞাসা, "এই অগ্নিস্ফুলিঙ্গকে তোমরা কোথা থেকে পেয়েছো"? 

ফাঁকি দিতে তিনি জানেননা। প্রত্যেকের যথোচিত সেবা করে গিয়েছেন নিরলসভাবে। আর সমানে চালিয়ে গিয়েছেন সমাজের মরচে পড়া লৌহখণ্ডগুলোকে শান দিয়ে চকচকে করে তুলতে। গোঁড়া সমাজের নিরস চিড়িয়াখানার বেড়াজালকে গুঁড়িয়ে দিতে। প্রথাগত ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে, মহাবিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখতে যেতে হয় নারীদের উন্নয়ন নিয়ে। সেমিনারের মুখ্য বক্তার ভূমিকা নিতে হয় মাধ্যমিক পাশ এই মহিলাকেই। তাই উদ্বেলিত স্বামীর উক্তি, "তোমার মতো বৌ পাওয়া যেমনি সৌভাগ্যের, তেমনি দুর্ভাগ্যের"। 

২০২২ এ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে দেওয়া হয়েছে "বিদ্যাসাগর পুরস্কার"। এই পুরস্কার তাঁর সারাজীবনের লড়াইয়ের পরিচিতিজ্ঞাপক এক নিদর্শন। এছাড়া ২০০৫ এ পেয়েছেন 'মানসী সম্মাননা', নির্ভিক কালচারাল ফোরাম দিয়েছে 'লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড',  বেলদা থেকে 'একুশে সম্মাননা' ইত্যাদি।

আজ তিনি একা, নিঃসঙ্গ। জীবনের অসংখ্য বাঁকপথ পেরিয়েও তিনি কিন্তু সুমুখপানে দৃষ্টি রেখে এগিয়ে চলেছেন বঞ্চিত, নিপীড়িত এবং অত্যাচারিত মহিলাদের সওয়াল জবাব নিয়ে। সংসারের আবর্তে হারিয়েছেন জীবনের অসংখ্য মূল্যবান মানিক্যকে। সবকিছুই মুখ বুজে সহ্য করে তাঁর জীবনের অঙ্গীকার, জীবন যতদিন, ততদিন মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। 'মেদিনীপুর ছাত্র সমাজ' তাঁর এই সারা জীবনের কৃতিত্বকে কুর্নিশ করে "সর্বপল্লী সম্মাননা" জানিয়ে লিখেছে -- 
"হে গালিবা আনতারা,
নুরমহলের নুরজাহানী সিরাজ জ্বালাও শিক্ষাতে,
হাজার নারীর সঠিক দিশা তোমার দেওয়া দীক্ষাতে!
কান্না মাখা দুন্দুভি বাজে তোমার প্রাণের নহবতে,
নওরিন তুমি বদরুন্নেশা তোমার কাজের জেল্লাতে!
পানাহ যাচে নিপীড়িতদের তোমার হৃদয় দোয়াতদান,
তোমার ফজল জ্ঞান গরিমায় তাই তুমি আজ মেহেরবান!
তোমার জেওয়ার সংস্কৃতিতে গুলবাহারী জীবনপট,
জাহানজুড়ে রাখবে মনে জাঁহাবাজ ঐ জিগরতট!
তোমার স্বরে, তোমার সুরে তুমিই ওঁদের মুরশিদা,
দিলদরাজি চোখের তারায় 'দিল আফরোজ' সর্বদা!
তোমার দস্ত আঁচড় টানে নিষ্পেষিত মুখ যাঁরা,
ইসরাত আর তাহরিকতে তোমার তারুফ রোশেনারা"!

[সূত্র ~ গালিবা -- বিজয়িনী, আনতারা -- বীরাঙ্গনা, নূরমহল -- আলোর মহল, নূরজাহান -- বিশ্বের জ্যোতি, নওরিন -- ফুলের পাঁপড়ি, বদরুন্নেসা -- পূর্ণিমার চাঁদতুল্য মহিলা, পানাহ -- আশ্রয়, ফজল -- দয়া, মেহেরবান -- দয়ালু, জেওয়ার-- অলংকার, গুলবাহারী -- সুশোভিত ফুল বাগান, জাহান -- দুনিয়া, জাঁহাবাজ -- দুঃসাহসী, জিগর -- হৃৎপিণ্ড, মুরশিদা -- পথপ্রদর্শনকারিণী, দিলদরাজি -- বদান্যতা , আফরোজ -- জ্ঞানী, দস্ত -- হাত, ইশরাত -- সুন্দরী, তাহরিক -- আন্দোলন,  তারুফ -- পরিচিতি]

 
পেজে লাইক দিন👇

Post a Comment

5 Comments

  1. কৌশিক কঁচOctober 20, 2022 at 9:47 AM

    দারুন প্রতিবেদন।

    ReplyDelete
  2. Khub bhalo likhechen

    ReplyDelete
  3. https://fb.watch/gUhjn-Zly9/

    ReplyDelete