গুচ্ছ কবিতা
বর্ণজিৎ বর্মন
প্রচ্ছদ
মাটি মাখা মুখ
মা ভাত রেঁধে তুলে দেয় মুখে- সকালের ।
শীত গভীর হলে, আকাশের শরীর ঢেকে দেয়
চটের বস্তা-
এভাবে এগিয়ে যায় বিকেল এবং বিশ্বাস ;
আমি অন্ধকারে ডুবে যাই
বাউল গান শুনি -
অন্ধকারে আনন্দ উৎসব হয় পাখি বাসায় ফেরে
কে যেন
শূন্য মাঠে বাঁশি বাজিয়ে যায়
ইদানীং
হাওয়ায় গর্ভবতী
নারী
শূন্য মাঠ , নির্জন পথ
মুখ চাওয়া চাও ই করে
প্রত্যক্ষদর্শী কৃষ্ণ পক্ষে ডুবে গেল-
অরণ্য রাজ্য
মঞ্চে পতাকা তুলে
ও কাঙাল
লোভ ধুয়ে ধুয়ে
আজ যে বসন্ত কাঙাল ;
তার ভাগ্য ক্ষেত অনির্বাচিত
নদী আর সম্পর্ক বেঁধে রাখা যায় না-
জানি; তবু । কেন?
মাঝে মাঝেই
কাঙাল হয়ে উঠি-
গভীর অনুভূতির রাতে
এই সময়ে সমাজের প্রতি
সততার কাঙাল আমি
জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇
প্রকাশ
রাতের আঁধারে সব চাপা চিত্রকল্প
ভোরের জাহাজ -
অপেক্ষায় তরঙ্গমালা
মৌন সমুদ্র বিচ ;
গাছের ছায়া জলে , দরিদ্র পরীক্ষায় বসে
সূর্য ওঠে সূর্য অস্ত যায়
শব্দ গুলো; শ্বাসরোধহীন -
পাখির পালকে সংবাদ
আসা যাওয়া করে
কবিতা ; সুনিপুন ঢেউ-
মানুষের মন প্রাণ ধৌত করে বিমোহিত জলে
ঝোঁক
এক একটা ঝোঁক আসে
এক একটা বিকেলের রং মেখে
সেই রং ছড়িয়ে যায়
বাতাসের আলোয়
আমি রোদের কথা বলছি
পাখি উড়ে যাচ্ছে
নদী ফিরছে সন্ধ্যায়
নতুন জীবন উৎসর্গ পত্রে গান রচনা করে
বাসন্তী বাতাস ফাল্গুনী মুখি
পাথরটা সরে যায়
ঢেউ ওঠে অনিবার্য সমুদ্র তটে
দুটো কথা
বলি এসো পাশাপাশি বসে
বাগান এবং বাতাস
ছেলে এবং মেয়ে শিশির ভোরে ফুটে উঠলেই
উঠোনের বাগান জুড়ে আলোর খেলা
ফাল্গুন মাস জীবনের প্রচ্ছদ হয়ে উঠে-
হৈ হৈ করে যুবতী মৌমাছি ও প্রজাপতি দল
গোপন সংসারে সুখের বৃষ্টি নামে
মখমল
চতুরদশির জ্যোৎস্না গান করে
পিতার পবিত্র ভুবন ভরে ওঠে
সূর্যের সত্য কথা -
আমি ভেসে যাই অলীক জগতে
চাঁদ এবং মাঝ রাত প্রিয় বন্ধু ,
বন্ধু খেলা করে
বাগান জুড়ে মুখ্যমন্ত্রী বাতাস তখন
নীল ঘর সাজায় নক্ষত্রের দেশে
তরঙ্গ মালার দিকে
সাধনার হাত ছুঁব বলে
তরঙ্গ মালার দিকে তাকিয়ে আছি
আজন্মকাল
ছিপ ফেলে ; বসে যেভাবে মাঝি;
অপলক দৃষ্টিতে আমি -
বাতাস না জানে যেন
কত পাখি উড়ে গেল কত পাখি
প্রেমিকার পাশে বসে দুদন্ড সময়ে কাটালো
অলৌকিক ও শ্রেষ্ঠ স্পর্শের ধ্বনিতে উদ্বেলিত হল
কৃষ্ণ নাম
সে তো এলো না এখনো
মৌন
সমুদ্রতটে
এই তট প্রেমের সাধনালয়
একাকী নিঃসঙ্গ ভেসে যায় ঢেউ গহীন শিরায় শিরায়
তোলপাড় রাধা রাধা সুর
কত কাল আর কতকাল বাজিয়ে যাব
শুধু প্রেমের বাঁশি
লিপিকার জন্য এই জন্ম
এক জীবন কচুরিপনার মতো ভেসে থাকা
প্রজন্মতর যাপন
অনিন্দ্য সুন্দর
সে স্পর্শ দিলে শুয়োপোকা
মানুষ হয় বিস্ময়ে
হতবাক তাকায় সজনে ফুল
উৎসর্গ পত্রে লিখে রাখে
জেব্রা ক্রসিং সনেট
লিপিবদ্ধ গাছের পাতায়
ভারতবর্ষের সূর্য ওঠে
কলমিপাড়ায় পিকনিক স্পট
জানুয়ারির নির্বাচিত ফুলে সেজে ওঠে
বাসনালয়ে ইচ্ছার নীল সুর বাজে
জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে 👇
0 Comments