গুচ্ছ কবিতা
দেবাশিস সরখেল
সর্বনাশ ও ভ্রান্তি
তুমি দল বিরোধী নও
অন্য দলে জয়েন করনি
তোমাকে প্রতি বিপ্লবী বলে
দেগে দেওয়ার কোন স্কোপ নেই।
তুমি সর্বক্ষণের কর্মীদের অন্ধতা বিষয়ে বলতে চেয়েছিলে ।
তুমি মধ্যবিত্ত কর্মীদের বিপ্লবী সেজে থাকার নকল মুখোশটা ছিঁড়ে দিতে চেয়েছিলে।
তুমি বলেছিলে
বেসরকারি করণের বিরুদ্ধে এত বলে কয়ে
ব্যবসা ফাঁদছো কেন ?
আর তারা এমুখো হচ্ছে না
আলাপ-আলোচনা বন্ধ
কথা বন্ধ
যেন ভাসুর বউ আসিন।
ভোট এলে
লড়ে ভোটে জিততে চায় না ।
জিতে গেলে মন্ত্রী হতে চায় না ।
মন্ত্রী হলে ঘোড়ার গাড়ি চেপে বেড়ায় । জন মন বিচ্ছিন্ন করেছে এদের ।
চরম বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে জনমনে। কিন্তু কি চন মনে কি চনমনে ।
অজ্ঞতাকে মুদ্রা দোষ বলে কেউ আর মানতে চায় না ।
দার্শনিক লাশের ভেতর হারিয়ে ফুরিয়ে যাওয়া এইসব মানুষের দল।
করুনার যোগ্য নয় আর ।
তোমার বৃদ্ধ বয়সের হাহাকার কে শুনবে বলো ?
মুসাফির ফিরে চলো
মুছো আঁখি জল
নন কমরেড বউ যেন বউ নয় ।
কমরেড নিয়ে বউ বউ খেলা।
এই দেখে দেখে সারাটা জীবন তুমি চাল ধুয়ে এলে
এখন তাদের পৌষ পার্বণ পৌষ মাস
দিগন্ত রেখায় তোমার
সর্বনাশ ও ভ্রান্তি চিহ্নিত হয়ে আছে ।
বিপ্লবীর বিটি বর্তমানে বিন্দাস
তুমি নব পলাশের আগুন
তোমার ফাগুন পোড়াতে গিয়ে নেড়ে দিল কলকাঠি
তুমি বসে গেলে ডাটি থেকে খসে যাবে পতাকাকুঞ্জ।
প্রণয়ের পরিমাপ কিভাবে করছো তুমি
হেমন্ত রাতে যে শিশিরের ফোটা
তা কী নির্দিষ্ট আকাশের
তোমার রক্ষক বাঁকা বাহাদুর শের
চুহার মতন আচরণ করে
তোমার গল্প গর্বফুল মারতে বাধা দান করে ।
বিপ্লব তোমার ভিতরে সে বোঝেনা
আগুন তোমার ভেতরে সে বোঝেনা ।
কোলে সন্তান
ঘুম পাড়ানি গান চলে না তোমার
জীবনের জপমালা থেকে তুমি ফুল নিলে ভুল নিলে
পতাকাপুঞ্জকে করো নাই ধ্রুবতারা ।
তোমার জন্য ছিল পালিত বুড়োরা
কেন্দ্রীয় কমিটি।
অদ্য তোমার কোলে সদ্যোজাত বিটি ।
বিপ্লবের বারোটা বাজালে
জড়াইলে ভব জ্বালে ।
জীবনের চলতি জোয়ারে
মা-বাবার আশীর্বাদ পেলে
মিছে ঝান্ডার-পিছে ছোটাছুটি শান্ত হলো বলে
তোমার অমল ধবল পালে লাগিতেছে সুনন্দ বাতাস ।
জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇
জালাধানে আছো
কত আলো কত ভালো কত মুক্ত তারহীন
তড়িতে ত্বরিতে সমস্ত আকাশ হয়ে আছে ভারহীন ।
কোন ক্ষুদ্রতা কোন মাইনাস পয়েন্ট ধূসর পাড়ুক
কুচকুচে কাকেশ্বর
দেখতে না পেয়ে কি আনন্দ
যেন প্রকৃত প্রণয়গন্ধ
চন্দনছায়ায় দুলে হিরামন দুটি ।
ওদিকে জীবন স্বয়ং জানে
ঢ্যামনা মাগীটি হেগে এসে পাশ ফিরে শুলো ।
দেখা গেল জানু মালু আছে
ভবজালে জোড়ালো জম্পেশ ।
গতানুগতিক অংকটি
দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা মিলে
জুড়ে আছে জালাধান ।
রাগে লেল পাকা বেল
রঁ।ড় ভাড় বিলাপঘাঁটি
শীত শীত দুপুরে সুজন মেলায়
ভাঁড় ঢুকে যায় ।
হাড়ি ভেঙে ভাঁড় হাসায় ভাসায়
ঘাঁটির বাসিমাল মসলায় বেশি ঘাঁটাঘাটি করলে গন্ধ উঠতে পারে ভেবে
পেট মোটা রাঁড়গুলি সপাটে পালায় ।
সুন্দরের কাব্যের সুবিন্যস্ত পথে
ভাঁড় হাড়িকুড়ি ভেঙে ছত্রখান করে ।
দারুন বিরক্ত ঘাঁটি
ছুটি নিয়ে পালাতেও চায় ।
জীবকথা
এই দেশে
এই কৃষ্টি
এইখানে বগলার জীব
লালজবা
পাঠা ছাগলের নিশ্চিন্তে চিবোনো বেলপাতা ।
দন্ডী দিতে দিতে এগিয়ে যায় ১৫৭ অনুচর
আকন ধুতুরার ঝাড়
বিশ্বাস প্রত্যাশার রথচক্র মন্দির চত্বরে স্থানুবৎ ।
এখানে ঈশ্বর কণার গল্প বলতে গিয়ে
সেই দেশের কথা
সেই সৃষ্টির কথা আসে
ধান ভানতে গিয়ে
এইখানে যেই গান গাও
তাইতো হয়ে যায় শিবকথা
জীবকথা ।
0 Comments