জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা /পলাশ দাস


গুচ্ছ কবিতা 
পলাশ দাস

চাঁদ সরে গেলে 
 
চাঁদ সরে গেলে 
একটা কালো ছায়া ভেসে ওঠে চাঁদের পরিধি জুড়ে 
নখদন্তহীন শান্ত সমাহিত দেহ জুড়ে কবেকার শীত 
ফিরে যাওয়া ইচ্ছের ভিতর নেমে আসে
সেদিনের কোমল আলাপ 
মুচকুন্দ ফুলের শরীরে গন্ধ বেয়ে উঠলে 
আমরা চলে যাই জাল হাতে 
মানুষের মুখের ভিতর আরও মুখ জাগিয়ে তুলব বলে  
 

মিছিল 

আলোর মিছিলের শেষে ভেসে ওঠে 
একটা মুখ 
চিরকাল 
আমি দেখে গেলাম 
খুব ধীর পায়ে 
হাতে রান্নাঘর নিয়ে এগিয়ে আসে মা 
কথা খুব কম  
চোখের চাহনিও তেমন নেই 
ওই এক ঝলকে চোখের কালো পৃথিবীর ভিতর দেখা যায় 
মসৃণ আলো 


সফর 

সেই প্রথম ট্রেনে চড়া হয়েছিল আমার 
তবে সেটাই শেষ নয় 

তারপর বহুবার ভিড় ঠেলে ঠেলে 
নিজেকে জায়গা করে দিয়েছি 

কিন্তু সেই মানুষকে দেখা হয়নি 
যে বলেছিল, “খোকা, এসো এদিকে।” 

জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 
তল 

অদ্ভুত নীরবতার ভিতর নামিয়ে নিচ্ছি নিজেকে 
একটা তল খোঁজার চেষ্টা করছি 
ভাসতে ভাসতে নেমে যাচ্ছি 
শুধুই নামছি 
কত লোক, ডাকছে, চেল্লাচ্ছে  
কত কথা ছুঁড়ে দিচ্ছে 
এখন আর কানে নিই না 
কয়েকটা বক বিকেলের আকাশে উড়ে গেলে 
কেউ ফিরেও দেখে না  



আঙুল  

নীলের ভিতর থেকে ছড়িয়ে পড়ছে বাসন্তী আলো 
ছুড়ে দাও কয়েক কুচি পাথর 
আর একটি দেশলাই কাঠি

সব ভরে নেব পকেটে 
নিস্তব্ধ অন্ধকার থেকে বেরিয়ে গিয়ে 
খুঁজে নেব 
স্পর্ধার আঙুল 

আমার ঠোঁটের কোণে এখনও ধানের কণা লেগে আছে  

Post a Comment

0 Comments