জ্বলদর্চি

কয়েকটি রম্য কবিতা - ৯ / শুভশ্রী রায়

কয়েকটি রম্য কবিতা - ৯ 

শুভশ্রী রায়

অশরীরীর রাত

রাত গভীর, গা ছমছম ঘন আঁধার
অসময়ে বাইরে কারা থাকে আর?
থাকে হয়তো, ভূত-প্রেত অশরীরী
কে বা রাখছে সে জগতের খবরই!

রাত যত গভীর হয় ঘোর অনিশ্চিত
দেহজীবনে টান প্রেতের হয় কিঞ্চিৎ
বেঁচে থাকার ও পার থেকে, রজনীতে
সে চায় ঝলক জীবন দেখে নিতে;

আহা, এসেছে প্রেত কত আশা করে
দেখতে দাও ওকে জীবন চোখ ভরে!


সংবৃত

রাত তোমাকে ঘিরে একটু বেশী জমাট হলে
পেও না ভয় রাত্রির মনের কথা না জেনেই,
হয়তো বা, জীবিতদের সংসার দেখে নিতে
ওই পার থেকে আলাপী কেউ এসেছে চলে।

রাতেও দেহ ধারণ সোজা নয় তবে টান বাড়ে
প্রেতযোনি সংসার দেখতে চায় কাছে এসে,
তাকেও বহন করতে হয় কত কত অতৃপ্তি
জীবনের গৃহবাস দেখে স্বস্তির শ্বাস ছাড়ে।

প্রেত আসুক আরো কাছে রাত বেড়ে গেলে
ভয় পেয়ে তুমি তাকে দিও না স্বস্তির অভাব,
কী ক্ষতি, সেও যদি বেঁচে থাকা দেখতে চায়?
যে জীবনে সে ছিল, বাধ্য হয়ে গেছে ফেলে!

জেনে রাখো, থাকবে না সে বেশীক্ষণ মোটে
খুব কম সময়ের জন্য ইহজগতে ঢুকতে পায়,
পেও না ভয়, অতৃপ্ত কোনো প্রেত কাছে এলে
ভয় দেখাতে না, আকর্ষণ থেকে এসে জোটে।

জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇


জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে... 

ভোর স্বস্তি

রাত কেন এত লম্বা, ভেতরের কথা কী জানি?
আসলে বেশী দীর্ঘ নয়, ভুলটা করি আমরাই
ব্রহ্মান্ডের নিখুঁত মাপজোকে তার আসাযাওয়া
যেমন জীবন আর মৃত্যুর সামঞ্জস্যে বাঁচে প্রাণী।

ভোর কেন এত স্নিগ্ধ ও নির্মল, তাও অজানা
আচ্ছা এত জেনেটেনে করব কী সব কিছুই?
তার চেয়ে ভোর হলে বলি তাকে, জাদু করো
স্বস্তি তুমি সাময়িক, প্রশ্নে প্রশ্নে ক্লান্ত করব না।



পরী অধরা

কাছে আয় কাছে আয় পরী,
দুই হাত দিয়ে তোকে ধরি!
ছেড়ে দেব একটু ছুঁয়ে, সত্যি
কথা মিছে নয় এক রত্তি।

তোমার কাছে যাব কেন?
জালটা দেখা যাচ্ছে না যেন!
তোমার মুখে মিঠে মিছে বুলি
আগেকার কথা কেন ভুলি?

Post a Comment

0 Comments