গুচ্ছ কবিতা
শ্রাবণী গুপ্ত
ঈশ্বর
তোমাকে ঈশ্বর
আর নিজেকে ধূপ ভেবে পুড়িয়ে যাচ্ছি আমি
ধুলো গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে
ধুলো ছড়িয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে
তাবৎ সংযম জানে
পুড়ে যাওয়াও আসলে এক মোহ
ঈশ্বর কি আদৌ ধূপের গন্ধ ভালোবাসেন!
২.
তোমাকে ঈশ্বর নয়
প্রতিমা ভেবেছি আমি
মুঠোয় জ্বলন্ত ধুপকাঠি নিয়ে
শান্ত আমি লুকিয়ে পড়েছি
আঁশগন্ধ আঁচলের ছায়ায়
ধুপের অনুধ্যানে নয়
মায়ের হাতমোছা কাপড়ের গন্ধেই আমার ঈশ্বর খুঁজে পেয়েছি তাবৎকাল।
৩.
ধোঁয়া কখনও ধ্যানস্থ করে না
বরং একটু একটু করে প্রতিটি রন্ধ্রে
প্রোথিত করে ঈশ্বরের নশ্বর রূপ
প্রতিদিন ধুপ জ্বালেন মা
প্রতিদিন গুল গুগ্গুল...
রান্নাচালায় আগুনের রঙে
মা প্রতিদিন ঈশ্বর হয়ে ওঠেন
উনুনের ধোঁয়া আর ভাতের গন্ধে।
হাঁড়ির খবর
ঈশ্বরের উঠোনে তাদের খোলামেলা সংসার
ঈশ্বর খাওয়া শেষ করে নিদ্রায় গেলে তারা খেতে বসে
মা ভাতের বদলে এগিয়ে দেন পরমান্ন
কালো হাঁড়ির অন্ধকার থেকে চাঁদ উঠে আসে আর
প্রতিদিন একটু একটু করে আকাশ হয়ে ওঠেন মা।
জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇
ভাস্কর
নিজেকে খোদাই করে চলেছি দিনরাত
যেন কোনো মূর্তি গড়ে নিজেকেই অবাক করে দেবো!
হে বিদগ্ধ কারিগর—
আমাকেও মূর্তি গড়া শেখাও
ভাঙচুর করি নিজেকে...
সেই কবে থেকে
সশব্দ ছেনি হাতুড়ি নিয়ে বসে আছি
তুমি তো অবাক জাদুকর
আকাশ আর দিগন্ত গড়েছ
মাটি আর পাথর গড়েছ
অথচ একটিবারও কোনো শব্দ করোনি!
জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে 👇
0 Comments