জ্বলদর্চি

গুচ্ছ কবিতা -২/বর্ণজিৎ বর্মন

গুচ্ছ কবিতা -2

বর্ণজিৎ বর্মন 


 সৃজন

যেভাবে তুমি কথা বলো 
ভাষার মাধুর্যে পুণ্য সরাগম কাছে বসে।
 
বিস্ময় জাগায় আমার মন রাজার দেশে
 
অক্ষরেরা উড়াউড়ি করে গাছে গাছে
পাখিরা অমর কবিতা লেখে 
ডাকনাম আর ছদ্দবেশে
 
 


 গোঁসাই

খুঁজছি আমি অনন্তকাল
খুঁজছি সুদূরের পানে চেয়ে
 
যদি পাই অধম হাতের তালুতে 
"গীতাঞ্জলী"র মানে
 
 
অথৈ তুমি অথৈ হলে
খুঁজতে গিয়ে তলিয়ে যাচ্ছ আরো

বাউল আমায় ভর করেছে-  গ্রাম্য গোঁসাই 
 
রবীন্দ্রনাথ হেসে উঠছেন আমার পাগলামো দেখে
অস্তিত্ব নয়, অনস্তিত্বে পেয়েছে আমাকে
 
গোঁসাই - তোমার পায়ে পড়ি
 একটি বার বুঝিয়ে দাও - পথটি ;
রবীন্দ্র সন্ধানে


জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇



 পাতা

পাতা যদি খসে পড়ে সবুজ শরীর হতে
 কী যন্ত্রণা ! দেহ জানে 
উঠোনের বর্ণমালা জুড়ে কাতরতার বাঁশি
 
 রক্তে ঢেউ খেলে একুশে ফেব্রুয়ারি
গাছ-পাতা, বর্ণমালা ভাষা পেয়েছে একাকী



 সরস্বতী আর বর্মন কোচিং সেন্টার 

মা অপেক্ষার প্রহর কবে শেষ হবে
দুটো কুল খাবো বান্ধবীদের সাথে 

ঘাসের অরণ্যে দাঁড়িয়ে সকালে
সূর্য ওঠা আর কুলগাছ দেখি
রোদ পড়েছে কাঁচা হলুদ মাখা কুলে 


দূর্বাসার মতো অপেক্ষা করি
 চান্স পেলে কুলের ওপরে ঢেলে দেব 
যাবতীয় লোভের অভিশাপ

বর্মন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক যতই বলুক
সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া নিষেধ


 বসতি 

ভাঙা স্থাপত্যের টুকরো দিয়ে 
সাজাই আপন বসতি 

নির্মাণ আর বিনির্মাণে 
থাকছে ঝুলে মনের গতি

হৃদয় মাঝে অনেক নদী 
 তির ভেঙে যায় , আমলকি বনও
হদিশ তার পাই না খুঁজে  
ভয় মেপে নেয় বসতিও

একলা তুমি একলা চল

Post a Comment

0 Comments