তিনটি কবিতা
গৌতম বাড়ই
ভ্যালেন্টাইনস'ডের চিঠি
তুমি দূর থেকে আমাকে সমুদ্রের ঢেউ আর ঢেউয়ের বসন্তে হারিয়ে যেতে বলেছিলে। সামনে গেলে নাকি বুক ধড়ফড় করে তোমার। আমি কয়েক হাজার কিলোমিটার হেঁটেছি অথচ আজও সমুদ্রের কাছাকাছি যেতে পারিনি। হয়ত এ জন্মে আর সমুদ্রের বালিরেখা আর জলের মধ্যমায় দাঁড়াতে পারব না। গাঙচিলের কিঁয়াও কিঁয়াও ডাকে এক স্মরণীয় বিভীষিকা মুহূর্ত তৈরী করে মোহনার দিকে শুনেছি। সিক্সপ্যাকের উল্কিআঁকা বাহু সমস্ত নারীরক্তকে বুকে টেনে নেয় সমুদ্রের উত্তালে। সেই উদ্দামতার আকর্ষণে আজও এই পরিব্রাজক জীবনে সমুদ্রের মুখোমুখি হতে পারলাম না। তোমার ভয়ের সামনে না হয় নাই বা দাঁড়ালাম। মনের বাগানে বসন্তের এক ছোট্টচারা রোপণ করো---- এই ভ্যালেন্টাইনসে এরকম এক উদযাপন হোক জীবনে---।
সিজফায়ার
প্রত্যেকটি বৃহত্তর রক্তপাতের পর
বারবার একটি অভিন্ন সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়
শান্তির
মৃতের পরিমাণ থেকেও রক্তের হিংস্রছিটায়
দাগ রেখে যায় মনে
পৃথিবীর একলক্ষ যুদ্ধের পর মানুষেরা
সেই আদিমঅস্ত্রগুলো যাদুঘরে সাজিয়ে রাখে
মৌনতা প্রতিশোধ আশা করে শুধু
টগবগ করে ফুটে ওঠে শোণিতস্রোত
উজানী তারাদের রাতে
উজানী তারাদের রাতে
নিশ্চূপ তোমাকে মনে পড়ে
সারাটি দিনের ক্লান্তছায়া ঢেলেছো শরীরে
রাতগাঢ় হলে সমস্ত রহস্যদের ভিড় এখানে
দূরত্ব অতিক্রম করে যায় ব্যাকুল রাত্রি
আজ তাই
উজানী তারাদের রাতে
তোমাকেই খু-উ-ব মনে পড়ে গভীরছায়া
জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇
2 Comments
অপূর্ব কবিতা
ReplyDeleteধন্যবাদ
Delete